বাংলা পরীক্ষার প্রশ্নে এন্টি ইসলামীকদের কৌশলগত আক্রমণ: মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ উস্কে আঘাত
সেই দিন একাত্তর টিভির একটা টক শো শুনছিলাম, বিষয়বস্তু-রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। নিয়ে আসা হয়েছে তিন জন ইসলামী ব্যক্তিত্বকে। অনুষ্ঠানটির এক পর্যায়ে ফোনে এক দর্শক ফোন করে, দর্শকের প্রশ্নটা ছিলো এরকম- “ইসলামের এত ভাগ কেন ? একেক জন কেন একেক ইসলাম পালন করেন, সবাই কেন এক হন না?” (লিঙ্ক: https://youtu.be/j03g7ey4dZQ, প্রশ্নটি করা হয় ৯:৫০)
আমি ভালোভাবে চিন্তা করলাম-
একাত্তর টিভি একটি এন্টি ইসলামী টেলিভিশন,
অনুষ্ঠানটি রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে, ইসলামের বিরোধীতা করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য,
কিন্তু এর মধ্যে অপ্রাসঙ্গিক বিষয় হিসেবে- কিছু বিষয়ে মুসলমানদের মধ্যে মতবিরোধের বিষয়টি সামনে নিয়ে আসা হলো কেন ???
আমি ভালোভাবে চিন্তা করলাম-
একাত্তর টিভি একটি এন্টি ইসলামী টেলিভিশন,
অনুষ্ঠানটি রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে, ইসলামের বিরোধীতা করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য,
কিন্তু এর মধ্যে অপ্রাসঙ্গিক বিষয় হিসেবে- কিছু বিষয়ে মুসলমানদের মধ্যে মতবিরোধের বিষয়টি সামনে নিয়ে আসা হলো কেন ???
এরপর আমি নিশ্চিত হলাম- আসলে একাত্তর টিভি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নিজেরাই প্রশ্নটি করিয়েছিলো। এখানে খেয়াল করুন- রাষ্ট্রধর্ম থাকবে, এই ইস্যুতে সকল মুসলমান এক, কিন্তু এমন একটা প্রশ্ন করা হলো যেন- যেটার সহজ অর্থ- আপনারা এক হচ্ছেন কেন, দ্বিধাবিভক্ত হন, মনে করিয়ে দেওয়া হলো - মুসলমানদের দ্বিধাবিভক্তি হওয়ার বিষয়টি।
মূলতঃ অমুসলিমদের চক্রান্ত-ই এটা। সকল মুসলমানের মধ্যে বিভেদ উস্কে দেওয়া, পরষ্পরের মধ্যে লাগিয়ে রাখা, যেন সবাই কিছুতেই এক না হতে পারে। আর এ সুযোগে তারা তাদের চক্রান্ত সফল করতে পারে।
প্রসঙ্গটা নিয়ে আসলাম এ কারণে-
আজকে বাংলাদেশের এইচএসসি পরীক্ষায় বাংলা পরীক্ষা হয়েছে। এই পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডে এমন সব প্রশ্ন হয়েছে- যা পুরোটাই উদ্দেশ্যমূলক এন্টি ইসলামীকদের কাজ। যদিও মুসলমানরা সেটা বুঝতে পারবে না, কারণ এখানে উদ্দেশ্যমূলক দ্বিধাবিভক্তি করে দেওয়া হয়েছে। যেমন-
আজকে বাংলাদেশের এইচএসসি পরীক্ষায় বাংলা পরীক্ষা হয়েছে। এই পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডে এমন সব প্রশ্ন হয়েছে- যা পুরোটাই উদ্দেশ্যমূলক এন্টি ইসলামীকদের কাজ। যদিও মুসলমানরা সেটা বুঝতে পারবে না, কারণ এখানে উদ্দেশ্যমূলক দ্বিধাবিভক্তি করে দেওয়া হয়েছে। যেমন-
১) প্রশ্নপত্রের ২ নং পাতায় ৫ নং প্রশ্নে বলা হয়েছে- মানুষ ধর্মই সবচেয়ে বড় ধর্ম। হিন্দু-মুসলমানদের মিলনের অন্তরায় বা ফাকি কোনখানে তা দেখিয়ে দিয়ে এর গলদ দূর করা এর অন্যতম উদ্দেশ্য।
২) প্রশ্নপত্রের ৩ নং পাতার ৭ নং প্রশ্নের বলা হচ্ছে- মহাসড়কের পাশে পুরাতন কবরকে মাজার বানিয়ে জমজমাট ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে মোখলেস। ........ল্যাংটা বাবার সাথে বেদায়বি.........”
৩) প্রশ্নের ৪ নং পাতায় ৮ নং প্রশ্নে বলা হলো-“আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত যুবক এমদাদ। ধর্ম-খোদা-রাসূল কিছুই বিশ্বাস করে না। খেলাফত আন্দোলনে যোগ দিয়ে একেবারে বদলে গেলো। পীরের মুরীদ হয়েছে এবং নিয়মিত নামাজ পড়ছে। পীরের ভণ্ডামী ও লোলুপ দৃষ্টি এমদাদের কাছে ধরা পড়লো। মুরীদের সুন্দরী বউকে জোরপূর্বক তালাক পড়িয়ে বিয়ে করেছে। এমদাদ এতে ত্রুব্ধ হয়ে পীরের মেহেদী রঞ্জিত দাড়ি ধরে হেচকা মাটিতে ফেলে দিলো।”
২) প্রশ্নপত্রের ৩ নং পাতার ৭ নং প্রশ্নের বলা হচ্ছে- মহাসড়কের পাশে পুরাতন কবরকে মাজার বানিয়ে জমজমাট ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে মোখলেস। ........ল্যাংটা বাবার সাথে বেদায়বি.........”
৩) প্রশ্নের ৪ নং পাতায় ৮ নং প্রশ্নে বলা হলো-“আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত যুবক এমদাদ। ধর্ম-খোদা-রাসূল কিছুই বিশ্বাস করে না। খেলাফত আন্দোলনে যোগ দিয়ে একেবারে বদলে গেলো। পীরের মুরীদ হয়েছে এবং নিয়মিত নামাজ পড়ছে। পীরের ভণ্ডামী ও লোলুপ দৃষ্টি এমদাদের কাছে ধরা পড়লো। মুরীদের সুন্দরী বউকে জোরপূর্বক তালাক পড়িয়ে বিয়ে করেছে। এমদাদ এতে ত্রুব্ধ হয়ে পীরের মেহেদী রঞ্জিত দাড়ি ধরে হেচকা মাটিতে ফেলে দিলো।”
পাঠক ! এ প্রশ্নগুলো নিয়ে লিখলে অনেক লেখা যাবে। কিন্তু কৌশলগত দিক থেকে সংক্ষেপে যদি বলি তবে তার মর্মার্থ হবে- (১) নং দ্বারা হিন্দু-মুসলিম এক হতে বলা হচ্ছে, কিন্তু (২)+(৩) দ্বারা অনর্থক গল্প বানিয়ে আপেক্ষিক বিষয় (মানুষ ভালো-মন্দ উভয় হতে পারে) দিয়ে বিভেদ উস্কে দেওয়া হচ্ছে। মুসলমানদের পৃথক হওয়ার জন্য মিথ্যাগল্প ফেদে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে । গল্পের অজুহাত দিয়ে নামধারী খারাপ বিষয়গুলো সামনে নিয়ে এসে মুসলমানদের হীনমন্য করা হচ্ছে, ইসলামকে অপমান করা হচ্ছে। এ প্রশ্ন পুরোটাই উদ্দেশ্যমূলক, একটি জাতীয় পরীক্ষার প্রশ্নে এ ধরনের উস্কানিমূলক প্রশ্ন করা কখনই স্বাভাবিক নয়। বিশেষ করে ন্যাংটা ও ভণ্ডদেরকে ইসলামের নামে ছাত্র-ছাত্রীদের পরিচিত করা হবে কেন ? এর দ্বারা অবশ্যই একজন ছাত্র-ছাত্রী ইসলাম থেকে আরো দূরে সরে যেতে পারে।
উল্লেখ্য বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ মার্কামারা নাস্তিক, এছাড়া পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সচিব হিন্দু, নাম বজ্র গোপাল ভৌমিক। এছাড়া বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়্যারম্যানও হিন্দু, নাম- নারায়ন চন্দ্র পাল। এমনকি বর্তমানে ঢাকা বোর্ডের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকও হিন্দু, নাম- শ্রীকান্ত কুমার চন্দ।
এরা যে সম্মিলিতভাবে চক্রান্ত করে
-বিভেদ উস্কে দিয়ে মুসলমানদের নিজ ধর্ম থেকে দূরে সরিয়ে দিতে চাচ্ছে,
-ইসলামকে অপমান করতে যাচ্ছে,
-মুসলমানদের হিন্দুদের দিকে ঝুকিয়ে দিতে চাইছে
আজকে ঢাকা বোর্ডের বাংলা সৃজনশীল প্রশ্নই তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ। মুসলমানদের উচিত সকল বিভেদ ভুলে এ প্রশ্নের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করা এবং এন্টি ইসলামীকদের কৌশলগত আক্রমণ প্রতিহত করা।
-বিভেদ উস্কে দিয়ে মুসলমানদের নিজ ধর্ম থেকে দূরে সরিয়ে দিতে চাচ্ছে,
-ইসলামকে অপমান করতে যাচ্ছে,
-মুসলমানদের হিন্দুদের দিকে ঝুকিয়ে দিতে চাইছে
আজকে ঢাকা বোর্ডের বাংলা সৃজনশীল প্রশ্নই তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ। মুসলমানদের উচিত সকল বিভেদ ভুলে এ প্রশ্নের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করা এবং এন্টি ইসলামীকদের কৌশলগত আক্রমণ প্রতিহত করা।
ছবি: বাংলা প্রশ্নপত্রের ছবি
No comments