রাষ্ট্রধর্ম বিরোধী রিট খারিজ নিয়ে শাহরিয়ার কবিরের মন্বব্য

হিন্দুদের সাথে এক টেলি কনফারেন্সে শাহরিয়ার কবির বলেছে-
১) হাইকোর্ট একটি খোঁড়া যুক্তি দিয়ে রাষ্ট্রধর্ম বিরোধী রিটটি বাতিল করেছে।
২) রাষ্ট্রধর্ম কোন সভ্য দেশে থাকতে পারেনা।
৩) রাষ্ট্রধর্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।
৪) রাষ্ট্রধর্ম বাতিলে সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে ।
৫) বাংলাদেশ শুধু আস্তিকেরা স্বাধীন করেনি, নাস্তিকেরাও করেছে ।

১-নং বক্তব্য দিয়ে শাহরিয়ার কবির স্পষ্ট আদালত অবমাননা করেছে। এ কারণে তার শাস্তি হওয়া উচিত।
২- নং বক্তব্য দিয়ে সে পৃথিবীর ৬০টি রাষ্ট্রকে অসভ্য বলেছে। কারণ পৃথিবীর ৬০টি দেশের রাষ্ট্রধর্ম আছে।
৩-সে বলেছে রাষ্ট্রধর্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি । ইতিহাস বলে- ১৯৭১ সালে শাহরিয়ার কবির মুক্তিযুদ্ধই করেনি। অথচ এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করে খাচ্ছে। যে মুক্তিযুদ্ধই করেনি, তার মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোন বক্তব্যই গ্রহণযোগ্য নয়।
৪-রাষ্ট্রধর্ম বাতিলে হিন্দুরা আন্দোলন গড়ে তুলবে ? কি দরকার ?? কষ্ট করে বাংলাদেশে থাকার দরকার কি, ভারতে চলে গেলেই তো হয়।ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতার খোলসে গোঁড়া হিন্দুত্ববাদ চলছে। আসা করি ভারতে তারা ভালো থাকবে।
৫-নং বক্তব্য দ্বারা বলছে, আস্তিকরা স্বাধীন করেনি, নাস্তিকরা করেছে !! হাউ ফানি !! এখনই নাস্তিকেরা রাস্তায় নামলে ১০টা লোক পায় না, আর ৭১ সালে তারা লক্ষ লক্ষ অস্ত্রবাহী পাকিস্তানী সেনাদের কাবু করলো ?? এটা পাগলেও বিশ্বাস করবে না। বরং মুক্তিযুদ্ধের পর এরা যে দেশজুড়ে অরাজকতা ও গণহত্যা শুরু করেছিলো সেটা তো সবাই জানে। বাধ্য হয়ে বঙ্গবন্ধু নাস্তিক সন্ত্রাসী সিরাজ সিকদারকে ফাঁসি দিয়েছিলো।

শাহরিয়ার কবির হিন্দুদের পক্ষ হয়ে তিনটি দাবি তুলেছে-
ক) সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন হওয়া দরকার ।
খ) ন্যাশনাল মাইনরিটি কমিশন দেয়া উচিত এবং
গ) পৃথক সংখ্যালঘু মন্ত্রনালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
অর্থাৎ হিন্দুদেরকে বাংলাদেশের ফার্স্ট ক্লাস ফার্ষ্ট নাগরিকের মর্যাদা দিতে হবে। আগে তারা খাবে, তারপর মুসলমান। আগে তারা চাকরী পাবে, তারপর মুসলমান। আগে তাদের ছেলে-পেলে স্কুলে ভর্তি হবে তারপর মুসলমান। কেউ তাদের দিকে তাকিয়ে মুখ ভেংচি দিলেও তার ফাঁসি হয়ে যাবে। উঠতে বসতে হিন্দুদের সালাম দিতে হবে, তাদের সামনে মাথা নিচু করে চলতে হবে। সোজা ভাষায় হিন্দুদেরকে বাংলাদেশের মুসলমানদের দেবতার আসনে বসাতে হবে।

বলাবাহুল্য বাংলাদেশের জনংসংখ্যার মাত্র ২-৩% হিন্দু , অথচ তারাই এখন ৯৫% মুসলমানের ঘাড়ে বসার দুঃসাহস দেখাচ্ছে, ঘাড় মটকে খেতে চাইছে। অথচ এই মুসলমানরাই এতদিন তাদের ‘সংখ্যালঘু’ বলে আশ্রয় দিয়ে আদর-যত্ন করে পেলে-পুষে রেখেছিলো। এজন্যই কথায় বলে- “দাঁড়াতে দিলে বসতে চায়, বসতে দিলে শুতে চায়, আর শুতে দিলে নিজের করে পেতে চায়।” বাংলাদেশের হিন্দুদের হয়েছে সে অবস্থা।
তাইতো আমি হিন্দুদের বলি- এত কষ্ট করে তোমাদের বাংলাদেশে থাকার কি দরকার গো বাপু !! না পোষালে ভারতে চলে গেলেই পারো। সেখানে তোমরা গরুকে মা ডাকবে, এবং নিয়মিত গোবর-চনা পান করবে। বাংলাদেশকে ভারত বানানোর অধিকার তোমাদের দেওয়া হয়নি, বিষয়টা তোমাদের স্মরণ রাখা উচিত।

শাহরিয়ার কবিরের টেলিকনফারেন্সের সেই নিউজ-http://www.njbdnews.com/content/26314.html