Header Ads

ad728
  • Breaking News

    শিক্ষানীতি-২০১০ এর আলোকে শিক্ষা আইন-২০১৬ প্রণয়ন, ব্যাখ্যা

    বাংলাদেশ সরকার শিক্ষানীতি-২০১০ এর আলোকে শিক্ষা আইন-২০১৬ প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। অনেকে হয়ত বিষয়টি বুঝতে পারেনি। যারা বুঝতে পারেনি, তাদের জন্য বলছি, এতদিন যে ধর্মবিরোধী শিক্ষানীতি ছিলো তার কোন আইনী ভিত্তি ছিলো না, এখন ঐ ধর্মবিরোধী শিক্ষানীতিকে আইন হিসেব জারি করে বৈধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যার ফলে ঐ ধর্মবিরোধী শিক্ষানীতির বিরোধী করলেই আপনার হবে জেল-জরিমানা।
    সত্যিই বলতে শিক্ষানীতি কাকে বলে তা সাধারণ মানুষ বুঝে না। কিন্তু সেই শিক্ষানীতির আদলে যে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন হয় তা সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে। শিক্ষানীতি-২০১০ এর কারণে পুরাতন শিক্ষা সিলেবাস থেকে যে সকল পাঠ্য বাদ দেওয়া হয়েছে এবং যে নতুন বিষয়বস্তুগুলো প্রবেশ করেছে সেগুলো দেখলে আশা করি বুঝতে পারবেন, শিক্ষানীতির সারমর্ম কি, এবং তার দ্বারা ছাত্র-ছাত্রীদের কি ক্ষতি হবে।
    পাঠ্যপুস্তকে বাংলা বই থেকে বাদ দেওয়া হলো-
    ১)) ক্লাস-২: ‘সবাই মিলে করি কাজ’ - শিরোনামে মুসলমানদের শেষ নবীর সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত।
    ২) ক্লাস-৩: ‘খলিফা হযরত আবু বকর’ শিরোনামে একটি সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত।
    ৩) ক্লাস-৪: খলিফা হযরত ওমর এর সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত।
    ৪) ক্লাস-৫ : ‘বিদায় হজ্জ’ নামক শেষ নবীর সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত।
    ৫) ক্লাস-৫: বাদ দেওয়া হয়েছে কাজী কাদের নেওয়াজের লিখিত ‘শিক্ষা গুরুর মর্যাদা’ নামক একটি কবিতা। যা বাদশাহ আলমগীর মহত্ব বর্ণনা উঠে এসেছে। এবং শিক্ষক ও ছাত্রের মধ্যে আদব কেমন হওয়া উচিত তা বর্ণনা করা হয়েছিলো।
    ৬) ক্লাস-৫ : শহীদ তিতুমীর নামক একটি জীবন চরিত। এ প্রবন্ধটিতে শহীদ তিতুমীরের ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘটনা উল্লেখ ছিলো।
    ৭) ক্লাস-৬ : ড. মুহম্মদ শহীদু্ল্লাহ লিখিত ‘সততার পুরুষ্কার’ নামক একটি ধর্মীয় শিক্ষনীয় ঘটনা।
    ৮) ক্লাস-৬ : মুসলিম দেশ ভ্রমণ কাহিনী- ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’।
    ৯) ক্লাস-৬ : মুসলিম সাহিত্যিক কায়কোবাদের লেখা ‘প্রার্থনা’ নামক কবিতাটি।
    ১০) ক্লাস-৭: বাদ দেয়া হয়েছে মরু ভাষ্কর নামক শেষ নবীর সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত।
    ১১) ক্লাস-৮: বাদ দেওয়া হয়েছে ‘বাবুরের মহত্ত্ব’ নামক কবিতাটি।
    ১২) ক্লাস ৯-১০: সর্ব প্রথম বাদ দেওয়া হয়েছে মধ্যযুগের বাংলা কবি শাহ মুহম্মদ সগীরের লেখা ‘বন্দনা’ নামক ধর্মভিত্তিক কবিতাটি।
    ১৩) ক্লাস ৯-১০: এরপর বাদ দেওয়া হয়েছে মধ্যযুগের মুসলিম কবি ‘আলাওল’ এর ধর্মভিত্তিক ‘হামদ’ নামক কবিতাটি।
    ১৪) ক্লাস ৯-১০: বাদ দেওয়া হয়েছে মধ্যযুগের মুসলিম কবি আব্দুল হাকিমের লেখা বঙ্গবানী কবিতাটি।
    ১৫) ক্লাস ৯-১০: গোলাম মোস্তাফার লেখা জীবন বিনিময় কবিতাটি। কবিতাটিতে মোঘল বাদশাহ বাবর ও তারপুত্র হুমায়ুনকে নিয়ে লেখা।
    ১৬) ক্লাস ৯-১০: কাজী নজরুল ইসলামের লেখা বিখ্যাত ‘উমর ফারুক’ কবিতা।
    এর বদলে বাংলা বইয়ে প্রবেশ করেছে-
    পাঠ্যবইয়ে যা প্রবেশ করেছে-
    ১) ক্লাস-৫ : স্বঘোষিত নাস্তিক হুমায়ুন আজাদ লিখিত ‘বই’ নামক একটি কবিতা, যা মূলত মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআন বিরোধী কবিতা।
    ২) ক্লাস-৬: প্রবেশ করানো হয়েছে ‘বাংলাদেশের হৃদয়’ নামক একটি কবিতা। যেখানে রয়েছে হিন্দুদের দেবী দূর্গার প্রশংসা।
    ৩) ক্লাস-৬: সংযুক্ত হয়েছে ‘লাল গরুটা’ নামক একটি ছোটগল্প। যা দিয়ে মুসলিম শিক্ষার্থীদের শেখানো হচ্ছে গরু হচ্ছে মায়ের মত, অর্থাৎ হিন্দুত্ববাদ।
    ৪) ক্লাস-৬: অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে ভারতের হিন্দুদের তীর্থস্থান রাচি’র ভ্রমণ কাহিনী।
    ৫) ক্লাস-৭: `লালু’ নামক গল্পে বাচ্চাদের শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে হিন্দুদের পাঠাবলীর নিয়ম কানুন।
    ৬) ক্লাস-৮: পড়ানো হচ্ছে হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ ‘রামায়ন’ এর সংক্ষিপ্তরূপ।
    ৭) ক্লাস ৯-১০: প্রবেশে করেছে ‘আমার সন্তান’ নামক একটি কবিতা। কবিতাটি হিন্দুদের ধর্মসম্পর্কিত ‘মঙ্গলকাব্যের অন্তর্ভূক্ত, যা দেবী অন্নপূর্ণার প্রশংসা ও তার কাছে প্রার্থনাসূচক কবিতা।
    ৮) ক্লাস ৯-১০: অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে ভারতের পর্যটন স্পট ‘পালমৌ’ এর ভ্রমণ কাহিনী।
    ৯) ক্লাস ৯-১০: পড়ানো হচ্ছে ‘সময় গেলে সাধন হবে না’ শিরোনামে বাউলদের বিকৃত যৌনাচার।
    ১০) ক্লাস ৯-১০: ‘সাকোটা দুলছে’ শিরোনামের কবিতা দিয়ে ৪৭ এর দেশভাগকে হেয় করা হচ্ছে, যা দিয়ে কৌশলে ‘দুই বাংলা এক করে দেওয়া’ অর্থাৎ বাংলাদেশকে ভারতের অন্তর্ভূক্ত হতে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।
    ১১) ক্লাস-৯-১০: প্রবেশ করেছে ‘সুখের লাগিয়া’ নামক একটি কবিতা, যা হিন্দুদের রাধা-কৃষ্ণের লীলাকৃর্তণ।
    যদিও বলা হচ্ছে সেক্যুলার শিক্ষা ব্যবস্থা, তাই ইসলামের বিষয়গুলো বাদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতায় দেখা যাচ্ছে, সেক্যুলার শিক্ষার নামে ইসলামী শিক্ষা বাদ দিয়ে হিন্দুয়ানী শিক্ষা চালু করা হয়েছে। অর্থাৎ মুসলমান শিশু-কিশোরদের হিন্দু বানানোই হচ্ছে শিক্ষানীতি-২০১০ এর কাজ। আর এই শিক্ষানীতিকে যদি আইনরূপে জারি করা হয়, তবে এর কারণে ভবিষ্যত প্রজন্ম যে নিজ ধর্মচ্যূত হয়ে হিন্দুত্ববাদ গ্রহণ করবে তাতে কোন সন্দেহ নাই।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728