শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরস্বতী পূজা ছাত্র-ছাত্রীদের কি শিক্ষা দেয় ?

গতকালকে বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো গণহারে বন্ধ করে করা হলো সরস্বতী পূজা। স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটিতে এমনভাবে পূজা করানো হলো যেন মনে হলো- এটা বুঝি হিন্দু-মুসলিম সবার জন্য বাধ্যতামূলক। তাই স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠতেই পারে, সরস্বতী আমাদের সন্তানদের কি শিক্ষা দিচ্ছে ? যেহেতু স্কুল-কলেজ বন্ধ করে জোর -জবরদস্তি করে পূজা করানো হচ্ছে, তাই এ পূজার নৈতিক ভিত্তিটাও জানা প্রয়োজন।

প্রথমেই শুরু করছি সরস্বতী পূজায় পাঠকৃত মন্ত্র নিয়ে, যেখানে বলা হয়-

“ওঁ জয় জয় দেবী চরাচর সারে, কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে।
বীনারঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী নমহস্তুতে।।”
অর্থ- সরস্বতী এমন দেবী যার স্তন দুটো শোভা বর্ধন করছে মুক্তার হারে। যে দেবী বীনা দ্বারা রঞ্জিত হয়েছে, হাতে পুস্তক আছে। সেই ভগবতী ভারতী দেবী কে নমস্কার করি।

অর্থাৎ সরস্বতী পূজার শুরুতেই করতে হয় নারীর স্তনকে প্রশংসা। এবার আপনি বলুন, ছোট বাচ্চারা এই পূজার মন্ত্র থেকে শিক্ষা নেবে ?

সরস্বতি পূজা হিন্দু সমাজে ব্যাপক ইরোটিক পূজা। পশ্চিমবঙ্গে সরস্বতী পূজার অপর নাম বাঙালীর ভ্যালেন্টাইন ডে, কারণ এই দিন কিশোর বয়সী ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে প্রেম-ভালোবাসার হাতে খড়ি হয়। মন দেয়া নেয়া থেকে শুরু হয় দেহ দেয়া নেয়া। (http://bit.ly/2kvpabz)

তবে কেউ যদি সরস্বতী দেবীর চরিত্র দ্বারা আকৃষ্ট হয়ে তার কথিত জীবনী খুজে পায় তবেও নৈতিক কিছু পাবে না, পাবে শুধু অনৈতিকতা। কারণ হিন্দু পুরান মতে সরস্বতী দেবি-
১) পিতা ব্রহ্মার সাথে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনকারী
২) স্বর্গের যৌনদাসী
৩) বহু পুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্কস্থাপনকারী। কখন অবৈধ সম্পর্ক আকাঙ্খাকারীনি।
৪) ভাই গনেশের সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনের কাহিনীও পাওয়া যায়।
৫) চিরকুমারী (!) সরস্বতীকে স্বর্গের দেবতারা কখনও স্ত্রী, কখনও সেবাদাসী, কখনও গণিকা, আবার কখনও অসুরদের রূপে ভুলিয়ে কাত করার জন্য ব্যবহৃত করেছে। (বিস্তারিত-http://bit.ly/2kZlX19)

সরস্বতী পূজার মূর্তি নিয়ে হিন্দুদের মধ্যে ব্যাপক লুচুপ্রথা চালু আছে। এ প্রসঙ্গে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তার ‘অর্ধেক জীবন’ নামক বইয়ের ৯১ পৃষ্ঠায় মূর্তি নিয়ে লিখেছিলো:
“মণিমেলায় প্রথমবারের স্বরসতী পূজোর আগের রাত্রিটি আমার কাছে চিরস্মরণীয়। একটু বিস্তৃতভাবেই বলতে হবে।...........................নিঃশব্দ, নিবিড় রাত্রি, আমি বসে আছি, আমার সামনে একটি মাটির মূর্তি ছাড়া আর কিছু নেই। .................প্রতিমার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে এক সময় সর্বাঙ্গে শিহরণ হল। কী অপূর্ব সুন্দর..........ভরাট, বর্তুল দুটি স্তন। সরু কোমর, প্রশস্ত উরুদ্বয়।....................তার অভিঘাতে তছনছ হয়ে যেতে লালগল আমার কৈশোর, জেগে উঠল পুরুষার্থ। অল্প অল্প শীতে উষ্ণ হয়ে উঠল শরীর।.....................চোরের মতন সতর্কভাবে একবার এদিক ওদিক তাকিয়ে আমি হাত রাখলাম দেবী মূর্তির বুকে। ................আমার শরীর আরো রোমাঞ্চিত হলো, কানদুটিতে আগুনের আচ। আমি প্রতিমার ওষ্ঠ চুম্বন করলাম। আমার জীবনের প্রথম চুম্বন।”

উপরের আলোচনা দ্বারা এটা স্পষ্ট, সরস্বতী পূজা কখন ছাত্র-ছাত্রীদের নৈতিক শিক্ষা দিতে পারে না। এমন কি হিন্দু সমাজও এই পূজার মাধ্যমে নৈতিকতা লাভ করতে পারেনি, সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সমাজে এটি অনুপ্রবেশ করে কিভাবে ? উল্লেখ্য বর্তমান পাঠ্যপুস্তকে ছাত্র-ছাত্রীদের ‘খিল আটি আনি পাটি’ শিক্ষা দেয়া হচ্ছে, আবার স্কুলগুলো বন্ধ করে পাঠ করানো হচ্ছে সরস্বতীর স্তনের প্রশংসা। জাতির নৈতিক অবস্থা কেন যে দিনে দিনে বারোটা বাজছে আশা করি বুঝতে পারছেন।
---------------------------------------------------

--আমার নতুন পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।

--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)