বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনা এবং বিদেশী চক্রান্ত
আসুন একটা সমীকরণ মিলাই
১) হঠাৎ করে বাংলাদেশে বিদেশী হত্যা শুরু হলো। এরপর চেষ্টা হলো বাংলাদেশ আইএস আছে এরূপ স্বীকারক্তি আদায় করা। যদিও চক্রান্তকারীরা বিফল।
২) পঞ্চগড়ে হঠাৎ করে এক পুরোহিতকে গলাকেটে হত্যা করা হলো। এরপর সেই হত্যাকাণ্ডের অজুহাত ধরে কোর্টে উত্থাপন করা হলো রাষ্ট্রধর্ম বাতিল করার রিট। মিথ্যা বলা হলো- রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকলে সংখ্যালঘুরা নিরাপদ নয়।
৩) সম্প্রতি কুমিল্লা সেনানিবাসে হত্যা করা হলো তনু নামক এক নারীকে। এরপর সেই অজুহাত দাড় করিয়ে মন্ত্রীসভায় উঠলো ‘সেনানিবাস আইন, ২০১৬’। উদ্দেশ্য সেনাবাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করা। যদি আইন খসড়া ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উপরের অ্যানালাইসিসে একটি বিষয় স্পষ্ট,
সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে যে হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটছে, তা তৃতীয় কোন পক্ষ থেকে ঘটছে এবং কোন বিশেষ উদ্দেশ্য সার্ভ করার জন্যই তা করা হচ্ছে। ঐ তৃতীয় পক্ষই হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটাচ্ছে এবং সেটাকে অজুহাত করে ঐ আইন/ঘোষণা জারি করতে চাইছে।
সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে যে হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটছে, তা তৃতীয় কোন পক্ষ থেকে ঘটছে এবং কোন বিশেষ উদ্দেশ্য সার্ভ করার জন্যই তা করা হচ্ছে। ঐ তৃতীয় পক্ষই হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটাচ্ছে এবং সেটাকে অজুহাত করে ঐ আইন/ঘোষণা জারি করতে চাইছে।
তাই কোন একটি ঘটনা ঘটলেই সেটার দিকে চোখ বন্ধ করে ঝুকে পড়া উচিত নয়, কেননা, আমি যদি তার প্রচার মাধ্যম হয়ে কাজ করি, তবে চক্রান্তকারীদের উপকার এবং তারা সেটাই চায়।
প্রথমে লক্ষ্য করুন-
১) কোন ঘটনা ঘটার পর কে বিষয়টি প্রচার করছে। যদি দেখেন প্রথম আলো/বিডিনিউজ২৪/একাত্তর টিভি/ট্রিবিউন প্রচার করছে, বুঝবেন এটাতে তাদের নতুন কোন ধান্দা আছে। তাই তাদের ফাদে পা দিবেন না।
২) যদি ইস্যুটি ইমরান এইচ সরকার কিংবা তাদের সমগোত্রীয়রা প্রচার করে, তবে সেটাতেও পাত্তা দিবেন না। কারণ ইমরান এইচ নামক টাইপের ফিগারগুলোকে সৃষ্টি করা হয়েছে- ঐ চক্রান্তকারীদের ইস্যুগুলোকে অনলাইনে ছড়ানো এবং সফল করার জন্য।
৩) তারা যতই ভালো প্রচার করুক, বুঝবেন, এতে আপনার (মুসলমানদের) ক্ষতি হবে। ডাস্টবিন থেকে সুগন্ধ আশা করা বোকামি।
১) কোন ঘটনা ঘটার পর কে বিষয়টি প্রচার করছে। যদি দেখেন প্রথম আলো/বিডিনিউজ২৪/একাত্তর টিভি/ট্রিবিউন প্রচার করছে, বুঝবেন এটাতে তাদের নতুন কোন ধান্দা আছে। তাই তাদের ফাদে পা দিবেন না।
২) যদি ইস্যুটি ইমরান এইচ সরকার কিংবা তাদের সমগোত্রীয়রা প্রচার করে, তবে সেটাতেও পাত্তা দিবেন না। কারণ ইমরান এইচ নামক টাইপের ফিগারগুলোকে সৃষ্টি করা হয়েছে- ঐ চক্রান্তকারীদের ইস্যুগুলোকে অনলাইনে ছড়ানো এবং সফল করার জন্য।
৩) তারা যতই ভালো প্রচার করুক, বুঝবেন, এতে আপনার (মুসলমানদের) ক্ষতি হবে। ডাস্টবিন থেকে সুগন্ধ আশা করা বোকামি।
এটা স্পষ্ট- এ ঘটনার সাথে বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা র’-সিআইএস-মোসাদ জড়িত এবং বাংলাদেশকে কোন একটি অজুহাত দিয়ে দখল করারই ছক আটছে তারা। তাই সর্বদা চোখ কান খোলা রাখুন। কোন ঘটনা ঘটলে কিংবা মিডিয়ায় প্রচার করলেই তাতে ঝাপিয়ে পড়বেন না। মনে রাখবেন ঐ সংস্থাগুলো বাইরে থেকে কিছুই করতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা আপনার সহায়তা না পাবে। তাদের সিস্টেম হচ্ছে- কৈ এর তেলে কৈ ভাজা। তাই আপনি যেন তাদের ফাঁদে আটকে ‘কৈ ভাজার তেল’ হয়ে না যান সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখুন।
সবাইকে ধন্যবাদ।
No comments