Header Ads

ad728
  • Breaking News

    দূর্গা পূজা কিন্তু কখনই হিন্দুদের কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান ছিলো না।

    ইতিহাসে দুর্গাপূজা সর্বপ্রথম পালিত হয় অত্যাচারী রাজা কংসনারায়ণের দ্বারা ঘোড়শ শতাব্দীতে ধনরত্নের দাপট দেখানোর উদ্দেশ্যে। তখন হিন্দু জমিদার ও মহাজনরা টাকার খেলা দেখানোর জন্য এই দুর্গাপূজা নামক মচ্ছবে লিপ্ত হতো। কিন্তু এটা ছিলো বাসন্তী (চৈত্র মাসের) দুর্গাপূজার ইতিহাস, (আশ্বিন মাসের) শারদীয় নয়। শারদীয় দূর্গা পূজা নামক উৎসবের প্রথম সৃষ্টি ১৭৫৭ সালের পলাশী যুদ্ধের পর। পলাশীর যুদ্ধের পর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দস্যুদের এক সংবর্ধনা দিতে চেয়েছিলো বাংলার কতিপয় বিশ্বাসঘাতক হিন্দু। মূলত ঐ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান থেকেই আজ এই ‘শারদীয় দূর্গা পূজা’র সৃষ্টি। উল্লেখ্য পলাশীর যুুদ্ধে যারা বাংলার সাথে যারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলো তার মধ্যে অন্যতম ছিলো নবকৃষ্ণ নামক এক হিন্দু। নবকৃষ্ণ পেশায় ছিলো মুন্সি এবং আরবী,ফার্সী, ইংরেজী, সংস্কৃত সহ অনেক ভাষা জানতো। পলাশী চক্রান্তে মূলত এই নবকৃষ্ণই ক্লাইভের দোভাষী হিসাবে কাজ করেছিলো। এই নবকৃষ্ণ না থাকলে ক্লাইভ এত সহজ ভাবে এবং দ্রুত দেশীয় জমিদার ও রাজাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারতো না, পারতো না বাংলা দখল করতে। পলাশীর যুদ্ধের পর বৃটিশরা মুর্শিদাবাদের ৫০ কোটি টাকা লুন্ঠন করেছিলো। ভাগের বাটোয়ারা অনুযায়ী নবকৃষ্ণ পেয়েছিলো আট কোটি টাকা। পলাশী যুদ্ধের পর বিশ্বাসঘাতক নবকৃষ্ণ চেয়েছিলো ক্লাইভকে সংবর্ধনা দিতে। কিন্তু সে সময় কলকাতায় বড় কোন গির্জা ছিলো না। তাই নবকৃষ্ণ এক ফন্দি আটলো। সে বাড়িতে ৪দিন দিন ব্যাপী এক পার্টি দিতে চাইলো, যা সেকলের কাছে পরিচিত ছিল কোম্পানীর পূজো হিসেবে। যা আজও শোভাবাজার রাজবাড়ির পূজো বলে টিকে আছে। কালক্রমে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান পরিণত হয় শারদীয় দূর্গা পূজা রূপে। তাই দেশপ্রেমিকরা এই পুজোকে ‘বেইমানের পুজো’ বলে আখ্যা দিতো৷ বঙ্কিমচন্দ্রও জানত যে লর্ড ক্লাইভের আমলেই দুর্গার সৃষ্টি। সে এও জানত যে ওটা ইংরেজদেরই কারসাজি। “বঙ্কিমচন্দ্র বিদ্রুপ করিয়া লিখিয়াছিল যে, পরে দুর্গাপূজার মন্ত্রও ইংরাজিতে পঠিত হইবে।” (তথ্যসূত্র : এ এক অন্য ইতিহাস- গোলাম আহমদ মোর্তজা, বিশ্ববঙ্গীয় প্রকাশন, কলকাতা, পৃষ্ঠা ৩২-৩৪) পূজা নামক এ অনুষ্ঠানগুলোতে মদ-বাইজি এবং বারবাণিতাদের অবাধ আয়োজন থাকতো। সাথে ব্রিটিশদের জন্যে থাকতো গোমাংস সহযোগে ডিনার। উনবিংশ শতকে নবকৃষ্ণের দেখা দেখি সব পুজোতেই মদ্যপান, নারী এবং গোমাংস সহযোগে উদ্যোম পার্টি করা হতো ব্রিটিশদের নিয়ে। দুর্গাপুজোর জনপ্রিয়তার এটাই মূল কারন যে তা বৃটিশদের পৃষ্ঠপোষকাতে তাদের উমেদারদের জন্যেই জনপ্রিয় হয়েছে। ১৮৪০ সাল পর্যন্ত এই ট্রাডিশন বজায় ছিল। অনেক ব্রিটিশ নিজেরাই পুজো দিতো-পার্টি দিতো। শেষে পুজোর সময় বারবানিতা এবং বাইজিদের নিয়ে এত টানাটানি এবং টানাটানি থেকে রেষারেশি,মারামারি হতে লাগল, কোম্পানী আইন করে, বৃটিশদের দূর্গাপুজো থেকে বিরত করে। দূর্গা পূজা যদি হিন্দুদের ধর্মীয় পূজাই হতো তবে সারা ভারত জুড়ে তার অস্তিত্ব মিলতো। কিন্তু দেখা যাচ্ছে শুধু বঙ্গতেই এই পূজার অস্তিত্ব মিলছে। তার মানে ইতিহাস অনুসারে এটা হিন্দুদের কোন ধর্মীয় অনু্ষ্ঠান নয়, বরং ব্রিটিশদের মনোরঞ্জনে বাংলার বিশ্বাসঘাতক হিন্দুদের সৃষ্টি করা একটি পার্টি মাত্র, যা ২০০ বছর ব্রিটিশ দাসত্বের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। বিশ্বাস কতিপয় বিশ্বাসঘাতক হিন্দু ও যবন খ্রিস্টানদের বানানো এ পূজা কিছুতেই কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান হতে পারে না। তাই এ পূজা বর্জন করাই খাটি হিন্দুত্বের লক্ষণ হওয়ার কারণ বলে মনে করি। পড়তে পারেন:১৯৯৭-এর ৫ই অক্টোবর তারিখের কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার রবিবাসরীয়তে ‘ক্লাইভের দুর্গোৎসব’ প্রবন্ধ।

    5 comments:

    1. Vai, apnar kache 1997 er robibashorio ache? Digital copy holei cholbe. Reference ta porar khub icche. Amar mail: majhahoba@gmail.com

      ReplyDelete
    2. Thank you for sharing.
      We as Muslims need to know why Hindus do things what they do, even they are not prescribed in their so called religion?

      ReplyDelete
    3. Vai, apnar kache 1997 er robibashorio ache? Digital copy holei cholbe. Reference ta porar khub icche. Amar mail: md.z.h.yuusuf@gmail.com

      ReplyDelete
    4. এটা আঞ্চলিক ভেদে বিভক্ত, দূর্গা বঙ্গে, মহারাষ্ট্রে গনেশ, হনুমান, নাগ অন্যান্য অঞ্চলে।

      ReplyDelete
    5. Valo hoiya zao mamu. Durga puja saro

      ReplyDelete

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728