বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতার আসল রূপ
বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ-
-এখানে পূজা করতে বোনাস দেওয়া হয় (বৈশাখী পূজা বোনাস), আর ইসলামী অনুষ্ঠানে (ওয়াজ মাহফিলে) নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
-এখানে অবৈধ ঘোষণা করে বুড়িগঙ্গার তীরে ২২টি মসজিদ ভেঙ্গে ফেলা হয়, আর ঢাকেশ্বরী মন্দির বর্ধনের জন্য উল্টো শতাধিক মুসলিম পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়।
-এখানে শিক্ষা সিলেবাস থেকে ইসলামী আর্টিকেল তুলে দেয়া হয়, তার বদলে রাধা-কৃষ্ণের কীর্তন ও দেবী অন্নপূর্না ও দূর্গার প্রশংসা ঢুকানো হয়।
-এখানে হাতিরঝিলের শুধু সৌন্দর্য্য বর্ন্ধনের জন্য ২টি মসজিদ উচ্ছেদ করা হয়, তবে প্রবেশমুখের গৌরাঙ্গ মন্দিরের জন্য উল্টো সড়কের ধারাই বদল করা হয়।
-এখানে মুসলিম হলে চাকুরী জুটবে না, তবে হিন্দু হলে সরকারী চাকুরী নিশ্চিত।
-এখানে মিডিয়ায় প্রচার পায় মুসলিমরা হিন্দুদের জমি দখল করছে, তবে প্রকৃততথ্য অর্পিত/দেবোত্তর সম্পত্তির নামে মুসলিম জমি লুটপাট হচ্ছে।
-এখানে মুসলিম ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো অযত্নে-অবহেলায় ধ্বংস হয়, আর হিন্দু স্থাপনাগুলোর পেছনে কোটি কোটি ব্যয় করে তা পর্যটন স্পট করা হয়।
-এখানে হিন্দুরা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে, তবে শাস্তিস্বরূপ এটিএম বুথে হিজাব নিষিদ্ধ হয়।
- এখানে হিন্দুয়ানী কালচারকে প্রগতিশীলতা ভাবা হয়, আর ইসলামী কালচার ব্যাকডেটেড আর মৌলবাদী কালচার মানা হয়।
-এখানে অহরহ মুসলিম আইন (উত্তরাধিকার আইন) পরিবর্তন করা হয়, তবে হিন্দুদের একটা আইনেও (নারীদের উত্তরাধিকার আইন) হাত দেওয়া যায় না।
-এখানে মুসলিমরা আদরযত্ন করে হিন্দুদের পূজা অর্চনা করতে সুযোগ করে দেয়, আর হিন্দুরা মুসলমানদের কোরবানী/রাষ্ট্রধর্ম বাতিল করতে প্রকাশ্যে কার্যক্রম চালায়।
-এখানে হিন্দু হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস ভাবা হয়, আর মুসলিম হলে জঙ্গি হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়।
-এখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দাড়ি-টুপি-হিজাব নিষিদ্ধ হয়, তবে হোলি পূজা, জন্মাষ্টমী, স্বরসতী পূজা বাধ্যতামূলক করা হয়।
এই হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ। এটাই হচ্ছে তার ধর্মনিরপেক্ষতার আসল স্বরূপ।
“ইসলাম আউট, হিন্দু ইন”- এটাই প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষতা।
সবাইকে ধন্যবাদ।
“ইসলাম আউট, হিন্দু ইন”- এটাই প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষতা।
সবাইকে ধন্যবাদ।
No comments