আপনারা কি জানেন ? হাতিরঝিল প্রকল্প একটি মাত্র মন্দিরের কারণে নষ্ট হতে বসেছে ?
আপনারা কি জানেন ?
বাংলাদেশের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন এবং গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক রোড হাতিরঝিল প্রকল্প একটি মাত্র মন্দিরের কারণে নষ্ট হতে বসেছে ?
হ্যা , একটি মাত্র মন্দিরের কারণে হাতিরঝিল রোডের রামপুরা টিভি সেন্টারের প্রবেশমুখটি নষ্ট হয়ে গেছে, এতে আলটিমেটলি পুরো সংযোগ সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, হাতিরঝিল সংযোগ সড়কের রামপুরা প্রবেশমুখে ‘গৌরাঙ্গ মন্দির’ নামক একটি ইসকন মন্দির আছে (ইসকন হচ্ছে পশ্চিমাপন্থী এনজিও টাইপ উগ্রহিন্দু সংগঠন, যাদের সাথে মূলধারার সনাতনী হিন্দুদের দ্বন্দ্ব চরমে)। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিলো মন্দিরটি স্থানান্তর করা হবে। কেননা মন্দিরটি না সরালে কোন মতেই রামপুরার প্রবেশমুখটি স্বাচ্ছন্দ্যময় হবে না। এক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থায় ডিআইটি সড়কে রামপুরা টিভি সেন্টারের বিপরীত দিক দিয়ে রাস্তা উন্মু্ক্ত করে হাতিরঝিল সংযোগ সড়ক চালু হয়ে যায়। কিন্তু বাধ সাথে ইসকন মন্দির কর্তৃপক্ষ। তারা সেনাবাহিনী কর্তৃপক্ষকে সাফ সাফ জানিয়ে দেয়, তারা কিছুতেই মন্দিরটি সরাবে না।
উল্লেখ্য (গুগল ইমেজ লক্ষ্য করুন) ১ নং রাস্তা দিয়ে ঐ সকড়টি প্রবেশ করলেও ৪ নং পজিশনের গৌরাঙ্গ ইসকন মন্দিরটির জন্য ৮ নং পজিশনে রাস্তার মধ্যে প্রায় ৯০ ডিগ্রি একটি বাক উৎপন্ন হয়। ফলে রাস্তাটি হয়ে ওঠে ঝুকিপূর্ণ। অন্যদিকে ইসকন মন্দির কর্তৃপক্ষ গো ধরে বসে থাকে, তারা কিছুতেই মন্দিরটি সরাবে না। এমতবস্থায় বাধ্য হয়ে ১ থেকে ৮ নং প্রবেশ সড়কটি বাতিল করে দেয় হাতিরঝিল কর্তৃপক্ষ, টিন দিয়ে আটকে দেয়া হয় সড়কটি। এরবদলে নতুন করে উন্মুক্ত করা হয় ৭ নং পজিশনে একটি অপরিকল্পিত নতুন রাস্তা। উল্লেখ্য ২ নং পজিশন থেকে উৎপন্ন হয়ে আসা একটি লুপও সম্প্রতি নির্মাণ হচ্ছে, যারা মাধ্যমে বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়িগুলো ফ্লাইওভারের মাধ্যম ৬ হয়ে ৩ নং পজিশনে হাতিরঝিল সড়কে নামতে পারবে।
এবার আসুন দেখি, মন্দিরের কারণে রাস্তাটি বাতিল করে নুতন সড়ক চালু করায় কি কি ক্ষতি হবে-
১) ১ নং প্রবেশ মুখ দিয়ে গাড়িগুলো হাতিরঝিলে ১৫-২০ ডিগ্রি কোন উৎপন্ন করে মূল সড়কে প্রবেশ করবে। ফলে খুব সহজেই রাস্তায় প্রবেশ করতে পারবে গাড়িগুলো। কিন্তু ১ নং প্রবেশমুখ বাতিল করে ৭ নং প্রবেশমূল চালু করায় পুরো সিস্টেমটি নষ্ট যাবে। কারণ ৭ নং প্রবেশমুখ হচ্ছে মূল সড়ক, যেখানে প্রবেশ করতে হবে ৯০ ডিগ্রি করে। আগে যদি ১ নং সড়ক দিয়ে প্রবেশ করতে ৪ সেকেন্ড লাগতো এখন লাগবে ৪০ সেকেন্ড। ফলে অবশ্যই অবশ্যই যানজট সৃষ্টি হবে।
২) ২ নং পজিশন থেকে উৎপন্ন লুপ দিয়ে গাড়িগুলো ৬ নং হয়ে ৩ নং পজিশনে হাতিরঝিলে গিয়ে পড়বে। কিন্তু ৭ নং থেকে আগত গাড়িগুলো ৩ নং পজিশনে গিয়ে লুপ থেকে আগত গাড়িগুলোর সাথে সাংঘর্ষিক পজিশন সৃষ্টি হবে, কারণ ৩ নং স্থানে রাস্তার বিস্তৃতি মাত্র ১৫ ফিট হবে। এতে কিছুতেই রাস্তা ও লুপ একসাথে চালু রাখা যাবে না, একটি বন্ধ করে অন্যটি চালু রাখতে হবে। অথচ আগের সিস্টেমে সংযোগ সড়ক ও লুপ থেকে আগত গাড়িগুলো মধ্যে কোন সমস্যাই সৃষ্টি হতো না।
৩) ৫ নং পজিশনে রামপুরা টিভি সেন্টার মোড়ে সব সময় জ্যাম লেগে থাকে। গাড়িগুলো যদি ১ নং পজিশন দিয়ে হাজিরঝিলে প্রবেশ করতো তবে গাড়ির সংখ্যা কমে জ্যামও কম হতো এবং হাতিরঝিল যাওয়ার জন্য গাড়িগুলোকে প্রায় হাফ কিলো জ্যাম ঢেলে সংযোগ সড়কে ঢুকতে হতো না। আর এখন যেই কষ্টের সেই কষ্টই থেকে গেলো।
উপরের বিষয়গুলো বিবেচনা করলে দেখবেন,
একটি মাত্র মন্দির বাচানোর জন্য হাতিলঝিলের গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশমূখটি সম্পূর্ণরূপে নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। এতে হাতিলঝিল রাস্তা থেকে যে সুবিধা প্রাপ্তির কথা ছিলো সেটা না হয়ে উল্টো জনগণের ভোগান্তি বেড়ে গেছে এব্ং যেই যানজট থাকার সেই যানজটই থাকছে, বরং আরো বেড়ে গেছে।
একটি মাত্র মন্দির স্থানান্তরের করতে না পারায় হাতিরঝিলের মত এত দামি একটি প্রকল্প নষ্ট হয়ে যেতে পারে না। বিষয়টি নিয়ে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যেন দ্রুত মন্দিরটিকে সরিয়ে দিয়ে হাতিরঝিল প্রকল্পের প্রকৃতসৌন্দর্য্য ও স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনা হয়।
বাংলাদেশের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন এবং গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক রোড হাতিরঝিল প্রকল্প একটি মাত্র মন্দিরের কারণে নষ্ট হতে বসেছে ?
হ্যা , একটি মাত্র মন্দিরের কারণে হাতিরঝিল রোডের রামপুরা টিভি সেন্টারের প্রবেশমুখটি নষ্ট হয়ে গেছে, এতে আলটিমেটলি পুরো সংযোগ সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, হাতিরঝিল সংযোগ সড়কের রামপুরা প্রবেশমুখে ‘গৌরাঙ্গ মন্দির’ নামক একটি ইসকন মন্দির আছে (ইসকন হচ্ছে পশ্চিমাপন্থী এনজিও টাইপ উগ্রহিন্দু সংগঠন, যাদের সাথে মূলধারার সনাতনী হিন্দুদের দ্বন্দ্ব চরমে)। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিলো মন্দিরটি স্থানান্তর করা হবে। কেননা মন্দিরটি না সরালে কোন মতেই রামপুরার প্রবেশমুখটি স্বাচ্ছন্দ্যময় হবে না। এক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থায় ডিআইটি সড়কে রামপুরা টিভি সেন্টারের বিপরীত দিক দিয়ে রাস্তা উন্মু্ক্ত করে হাতিরঝিল সংযোগ সড়ক চালু হয়ে যায়। কিন্তু বাধ সাথে ইসকন মন্দির কর্তৃপক্ষ। তারা সেনাবাহিনী কর্তৃপক্ষকে সাফ সাফ জানিয়ে দেয়, তারা কিছুতেই মন্দিরটি সরাবে না।
উল্লেখ্য (গুগল ইমেজ লক্ষ্য করুন) ১ নং রাস্তা দিয়ে ঐ সকড়টি প্রবেশ করলেও ৪ নং পজিশনের গৌরাঙ্গ ইসকন মন্দিরটির জন্য ৮ নং পজিশনে রাস্তার মধ্যে প্রায় ৯০ ডিগ্রি একটি বাক উৎপন্ন হয়। ফলে রাস্তাটি হয়ে ওঠে ঝুকিপূর্ণ। অন্যদিকে ইসকন মন্দির কর্তৃপক্ষ গো ধরে বসে থাকে, তারা কিছুতেই মন্দিরটি সরাবে না। এমতবস্থায় বাধ্য হয়ে ১ থেকে ৮ নং প্রবেশ সড়কটি বাতিল করে দেয় হাতিরঝিল কর্তৃপক্ষ, টিন দিয়ে আটকে দেয়া হয় সড়কটি। এরবদলে নতুন করে উন্মুক্ত করা হয় ৭ নং পজিশনে একটি অপরিকল্পিত নতুন রাস্তা। উল্লেখ্য ২ নং পজিশন থেকে উৎপন্ন হয়ে আসা একটি লুপও সম্প্রতি নির্মাণ হচ্ছে, যারা মাধ্যমে বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়িগুলো ফ্লাইওভারের মাধ্যম ৬ হয়ে ৩ নং পজিশনে হাতিরঝিল সড়কে নামতে পারবে।
এবার আসুন দেখি, মন্দিরের কারণে রাস্তাটি বাতিল করে নুতন সড়ক চালু করায় কি কি ক্ষতি হবে-
১) ১ নং প্রবেশ মুখ দিয়ে গাড়িগুলো হাতিরঝিলে ১৫-২০ ডিগ্রি কোন উৎপন্ন করে মূল সড়কে প্রবেশ করবে। ফলে খুব সহজেই রাস্তায় প্রবেশ করতে পারবে গাড়িগুলো। কিন্তু ১ নং প্রবেশমুখ বাতিল করে ৭ নং প্রবেশমূল চালু করায় পুরো সিস্টেমটি নষ্ট যাবে। কারণ ৭ নং প্রবেশমুখ হচ্ছে মূল সড়ক, যেখানে প্রবেশ করতে হবে ৯০ ডিগ্রি করে। আগে যদি ১ নং সড়ক দিয়ে প্রবেশ করতে ৪ সেকেন্ড লাগতো এখন লাগবে ৪০ সেকেন্ড। ফলে অবশ্যই অবশ্যই যানজট সৃষ্টি হবে।
২) ২ নং পজিশন থেকে উৎপন্ন লুপ দিয়ে গাড়িগুলো ৬ নং হয়ে ৩ নং পজিশনে হাতিরঝিলে গিয়ে পড়বে। কিন্তু ৭ নং থেকে আগত গাড়িগুলো ৩ নং পজিশনে গিয়ে লুপ থেকে আগত গাড়িগুলোর সাথে সাংঘর্ষিক পজিশন সৃষ্টি হবে, কারণ ৩ নং স্থানে রাস্তার বিস্তৃতি মাত্র ১৫ ফিট হবে। এতে কিছুতেই রাস্তা ও লুপ একসাথে চালু রাখা যাবে না, একটি বন্ধ করে অন্যটি চালু রাখতে হবে। অথচ আগের সিস্টেমে সংযোগ সড়ক ও লুপ থেকে আগত গাড়িগুলো মধ্যে কোন সমস্যাই সৃষ্টি হতো না।
৩) ৫ নং পজিশনে রামপুরা টিভি সেন্টার মোড়ে সব সময় জ্যাম লেগে থাকে। গাড়িগুলো যদি ১ নং পজিশন দিয়ে হাজিরঝিলে প্রবেশ করতো তবে গাড়ির সংখ্যা কমে জ্যামও কম হতো এবং হাতিরঝিল যাওয়ার জন্য গাড়িগুলোকে প্রায় হাফ কিলো জ্যাম ঢেলে সংযোগ সড়কে ঢুকতে হতো না। আর এখন যেই কষ্টের সেই কষ্টই থেকে গেলো।
উপরের বিষয়গুলো বিবেচনা করলে দেখবেন,
একটি মাত্র মন্দির বাচানোর জন্য হাতিলঝিলের গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশমূখটি সম্পূর্ণরূপে নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। এতে হাতিলঝিল রাস্তা থেকে যে সুবিধা প্রাপ্তির কথা ছিলো সেটা না হয়ে উল্টো জনগণের ভোগান্তি বেড়ে গেছে এব্ং যেই যানজট থাকার সেই যানজটই থাকছে, বরং আরো বেড়ে গেছে।
একটি মাত্র মন্দির স্থানান্তরের করতে না পারায় হাতিরঝিলের মত এত দামি একটি প্রকল্প নষ্ট হয়ে যেতে পারে না। বিষয়টি নিয়ে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যেন দ্রুত মন্দিরটিকে সরিয়ে দিয়ে হাতিরঝিল প্রকল্পের প্রকৃতসৌন্দর্য্য ও স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনা হয়।
No comments