আন্দোলনের সময় ইসলামী দলগুলোর যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত
আজকে শিক্ষানীতি নিয়ে হেফাজতের বিক্ষোভ মিছিল, খুব ভালো কথা। কিন্তু এ আন্দোলনের সময় তাদের কিছু বিষয় খেয়াল রাখা উচিত। যেমন-
১) সমাবেশের সময় যেন কোন গণ্ডগোল, বিশৃঙ্খলতা বা মারামারি-ভাংচুর না হয়। এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটলে, তার অজুহাতে পুরো আন্দোলনের কার্যকারিতা বা ধারাবাহিকতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। বিরোধী পক্ষ চাইবেই এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটিয়ে শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন নষ্ট করে দিতে। কিন্তু বিরোধীদের সেই সুযোগ দেওয়া যাবে না। তাই শান্তিপূর্ণ সমাবেশ-মিছিল হওয়ার দিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে।
২) সমাবেশ বা মিছিলের সময় এমন কোন শ্লোগান দেওয়া যাবে না, যা উস্কানিমূলক। একটি মাত্র্র্র উস্কানিমূলক শ্লোগানই একটি সমাবেশের যথার্থতা নষ্ট করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
৩) এ সমাবেশ-আন্দোলনের উদ্দেশ্য শিক্ষানীতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা উচিত। শিক্ষানীতি নিয়ে আন্দোলন সমাবেশ যেন রাজনৈতিক সমাবেশ না হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। একটি মহল চাইবে আন্দোলনের উদ্দেশ্য ঘুরিয়ে তার ব্যক্তি স্বার্থ হাসিল করার জন্য, কিন্তু সেটা করতে দেওয়া যাবে না। ইসলামী সমাবেশ যেন কারো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার না করা হয় সেদিকে সজাক দৃষ্টি রাখতে হবে ।
৪) যারা মুসলমানদের ধর্মনষ্ট করে ইসলাম বিরোধী সিলেবাস প্রণয়ন করেছে তাদের বিচার দাবি করতে হবে। বিশেষ করে এ ধর্মবিরুদ্ধ সিলেবাদের মূল হোতা নাস্তিক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের পদত্যাগ, গ্রেফতার ও ফাঁসি দাবি করতে হবে। শিক্ষামন্ত্রনালয়ের সাথে জড়িত সকল হিন্দু কর্মকর্তার পদত্যাগ করার দাবি তোলাও জরুরী। এছাড়া ষষ্ঠশ্রেণীর ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বইয়ে কোরআন হাদীস বিকৃতকরার জন্য লেখকদের ফাসি দাবি এবং বইটি পাঠ্যসূচি থেকে তুলে নেওয়ার দাবি তুলতে হবে।
৫) মনে রাখতে হবে, শিক্ষানীতি থেকে নাস্তিক্যবাদ ও হিন্দুত্ববাদ বাদ দেওয়া শুধু হেফাজতের একার দাবি নয়, এটা পুরো জাতির দাবি। কিন্তু জাতির ব্যক্তি মানুষগুলো সেই দাবি তুলতে পারছে না, যেই দায়িত্ব পালন করছে হেফাজত। এজন্য হেফাজতকে নিরপেক্ষ, অরাজনৈতিক, সুশৃঙ্খল ও গ্রহণযোগ্য থাকা অত্যান্ত জরুরী।
No comments