বাংলাদেশে ইসরাইলি দালালদের গতিবিধি

কথা হচ্ছিলো বাংলাদেশে ইসরাইলি দালাল কারা ? তাদের কাজের গতিবিধিটা কেমন- এ সম্পর্কে বাংলাদেশে ধরা পরা মোসাদ এজেন্ট সালাউদ্দিন শোয়েব চৌধুরীর কথায় আসি। শোয়েব চৌধুরীরর উইকি লিঙ্কে লেখা আছে- শোয়েব চৌধুরী ধরা খাওয়ার পর তাকে মুক্ত করার জন্য যে ক্যাম্পেইন হয়েছিলো তার নেতৃত্ব দিয়েছিলো রিচার্ড বেনকিন নামক এক মার্কিন ইহুদী। রিচার্ড বেনকিন ও সালাউদ্দিন শোয়েব চৌধুরী একত্রে বেশ কয়েকটি ইসরাইলি সংগঠনের সাথে জড়িত। (https://en.wikipedia.org/wiki/Salah_Choudhury) এবার আমাদের জানা প্রয়োজন রিচার্ড বেনকিন কে ? রিচার্ড বেনকিন হচ্ছে এক মার্কিন ইহুদী, যে ইহুদী মানবাধিকার কর্মী হিসেবে নিজেকে দাবি করে। সে বাংলাদেশ নিয়ে নিয়মিত মাথা ঘামায়। শুধু মাথা ঘামায় বললে ভুল হবে, বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় জেলায় তার রয়েছে অবাধ যাতায়াত। রিচার্ড বেনকিন সম্পর্কে ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ দৈনিক আমারদেশ পত্রিকায় একটি রিপোর্ট আসে। রিপোর্টের হেডিং ছিলো- “হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান : ইহুদিবাদী মার্কিন লেখক বেনকিনের বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা : গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত্ করে হস্তক্ষেপ কামনা” রিপোর্টে বেনকিন সম্পর্কে বলা হয়- কে এই বেনকিন : ইহুদি ধর্মাবলম্বী মার্কিন নাগরিক ড. রিচার্ড এল বেনকিন প্রথমে আলোচনায় আসেন বাংলাদেশের সাংবাদিক সালাহ উদ্দীন শোয়েব চৌধুরীর মুক্তির ব্যাপারে জোরালো ভূমিকা রেখে। নিজস্ব ব্লগে বেনকিন লিখেছেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের বিরুদ্ধে পরিচালিত জাতিগত শুদ্ধি অভিযানের বিরুদ্ধে তথ্যানুসন্ধান কাজে তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণ করেছেন। এ ব্যাপারে তিনি বিশ্বব্যাপী প্রচারণা চালাচ্ছেন। বেনকিন বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর কথিত নিপীড়ন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের শুনানিতে অংশ নেন। বেনকিন একজন কট্টর ইসরাইলপন্থি। তার বিশ্বাস, চরমপন্থি ইসলামের বিরুদ্ধে ইহুদি ও হিন্দুদের অবশ্যই একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। সে মানবাধিকার সংগঠন ফোর্সফিল্ডের সভাপতি। এটা মূলত বাংলাদেশের হিন্দুদের নিয়ে কাজ করে। বাংলাদেশের হিন্দুদের ইস্যু নিয়ে ভারত, যুক্তরাষ্ট্রসহ পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ ও সেমিনারের আয়োজন করে ফোর্সফিল্ড। বাংলাদেশ সরকারের শীর্ষ পর্যায়েও তার যোগাযোগ রয়েছে বলে পরিচিতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। (লেখাটি পড়তে- http://archive.is/6EpZW) রিচার্ড বেনকিনকে ঢাকা প্রেসক্লাবে হিন্দুদের নিয়ে মানবন্ধনের নেতৃত্ব দিতেও তাকে দেখা যায়। তার ফেসবুক আইডিতে ঢুকে দেখা যায়, সে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত জেলাগুলোতে ঘুরে বেড়াচ্ছে হিন্দুদের উস্কে দেওয়ার জন্য (http://archive.is/qpsgV)। এর ক্ষেত্রে ছবিতে তার সাথে দেখা যায় রবীন্দ্রঘোষ নামক বাংলাদেশে সুপ্রীম কোর্টের এক আইনজীবিকে। অ্যাডভোকেট রবীন্দ্র ঘোষ (ফেবু আইডি-https://www.facebook.com/rabindra.ghosh.12) বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ নামক একটি সংগঠনের সভাপতি এবং রানা দাস গুপ্তের ঘনিষ্ট। রবীন্দ্রঘোষের পরিচয় সম্পর্কে বলতে একটি ঘটনা উল্লেখ করবো- ২০১৪ সালের ঘটনা, রাজধানীর খিলগাঁও নন্দীপাড়ায় হিন্দু বখাটে শিমুল চন্দ্র ও তার পরিবারের কারণে আত্মহত্যা করে কিশোরী উম্মে কুলসুম রিতু। রিতুর পরিবার শিমূল চন্দ্র মণ্ডল, তার বাবা রঞ্জন মণ্ডল ও মা মালতী রানী মণ্ডলকে দায়ী করে মামলা দায়ের করে। কিন্তু এসব আসামীদের একজনকেও গ্রেফতার করা হয়নি। কারণ ‘বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ’ নামক একটি সংগঠনের প্রধান রবীন্দ্র ঘোষ আসামীদের পক্ষে দাঁড়ায়। মন্ত্রণালয়ে লাইন করে সে উল্টো মেয়ের পরিবারকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসায়। এই রবীন্দ্র ঘোষ নন্দীপাড়া এলাকায় এসে কিছু হিন্দু লোক জোগাড় করে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করে, রঞ্জন আপনাদের জাতি ভাই; তার পাশে আপনাদের থাকা উচিত। মুসলমানরা আপনাদের জন্য সব সময় হুমকিস্বরূপ; তাদের পাশে থেকে লাভ নেই। আপনারা মুসলমানদের সঙ্গে প্রয়োজনে সংঘর্ষ করবেন। আপনাদের যা হয় আমি দেখব। (সূত্র: যুগান্তর goo.gl/quhPXx)