ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করায় হিন্দু শিক্ষককে গণধোলাই
বাংলাদেশের নারায়নগঞ্জ জেলায় এক হিন্দু শিক্ষক ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করায় পাবলিক গণধোলাই দিয়েছে। শিক্ষকের নাম শ্যামল কান্তি ভক্ত, সে বন্দর থানার কল্যান্দি এলাকার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
জানা যায়, গত ৮মে ৮ম শ্রেণীর ছাত্র রিফাতকে প্রহার করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত। সে মার খেয়ে আল্লাহ রাসুলের নাম বলে উঠলে শ্যামল কান্তি তা নিয়ে কটুক্তি করে বলে- “কিসের ইসলাম, তোদের আল্লাহ-নবী নাপাক তোরা মুসলমানরাও নাপাক।”
বেধরক পিটুনিতে ছাত্র রিফাত অচেতন হয়ে পড়ে। পরে রিফাতের মা রিনা বেগম তার ছেলেকে এভাবে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় লিখিত ভাবে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদকে অবহিত করেন এবং বিচার দাবি করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার বিষয়টি সুরাহার জন্য বিদ্যালয়ে সভা ও সালিশ বৈঠক বসেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা। ছাত্র রিফাত তার বক্তব্যে ধর্ম নিয়ে শিক্ষকের কটুক্তির কথা শুনে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং সভা চলাকালে ব্যাপক জনরোষ তৈরি হয়। উত্তেজিত এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানায় ব্যাপক গণধোলাই দেয়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ এসে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে উদ্ধার করলেও উত্তেজিত জনতা প্রায় ৬ ঘন্টা পুলিশ ও শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী হাবীব, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদ, জেলা জাতীয়পার্টির সভাপতি আবুল জাহের, কলাগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান বন্দর থানার ওসি আবুল কালামসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তরা উত্তেজনা জনতাদের শান্ত করতে ব্যর্থ হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দাঙ্গা পুলিশ ডাকা হয়। পরে নারায়ণগঞ্জ -৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। অভিযুক্ত শিক্ষককে পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। (সূত্র:http://goo.gl/AzCZqT)
No comments