লিজ নেওয়া যায়গায় মসজিদ নির্মাণ প্রসঙ্গে
অনেকেই দাবি করেছে, গেন্ডারিয়াতে লিজ নেওয়া জমিতে মসজিদ নির্মাণ করা ঠিক হবে কি না ? আমিও যদিও ইসলাম বেত্তা নই, তবে যতটুকু আমার বুঝ সে অনুসারে আলোচনা করবো।
লিজ নেওয়া জমিতে মসজিদ নির্মাণের জন্য যেটা প্রয়োজন, সেটা হলো সরকারের অনুমতি নেওয়া।
এখানে মনে রাখতে হবে, সরকার কিন্তু ঐ ব্যক্তিদের লিজ দিয়ে ঐ এলাকায় আবাদ করার সুযোগ করে দিয়েছে, সে হিসেবে একভাবে কিন্তু সাধারণ অনুমতি দিয়েই দিয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি যে বাধা এসেছে, সেটা কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোন বাধা নয়, সেটা কথিত পরিতোষ কুমার রায় নামক এক ব্যক্তির আপত্তি। অর্থাৎ একজন হিন্দু ব্যক্তি বলেছে- এ এলাকায় মসজিদ নির্মাণ করলে তার সমস্যা, এটা কিন্তু সরকারের সমস্যা নয়। ঐ হিন্দুর আপত্তির কারণে পুলিশ বিষয়টিতে বাধা দিয়েছে। কিন্তু ঐ এলাকায় মসজিদ নির্মাণ নিষিদ্ধ, সরকারের পক্ষ থেকে এমন কোন বক্তব্য বা বিবৃতি কিন্তু আসে নাই।
এখানে আরো উল্লেখ্য, সরকার কিন্তু কোন জমির মালিক নয়। সরকার হচ্ছে জনগণের সেবা করার জন্য জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি। কোন জমি যদি খাস জমি হয়, তবে ঐ জমির মালিক ঐ দেশেরই জনগণ এবং জনগণের কল্যানার্থেই ঐ জমি ব্যয় করা উচিত।
এখন যেহেতু, ঐ এলাকায় মুসলমানদের জন্য একটি মসজিদ খুব প্রয়োজনীয়, তাই সরকারের উচিত, সরকারী উদ্যোগে সেখানে একটি মসজিদ নির্মাণ করে দেয়া। এটা সরকারেরই দায়িত্ব এবং সরকারেরই কর্তব্য। যেহেতু পাবলিক নিজ প্রয়োজন মেটানোর জন্য দায়িত্ব কাধে তুলে নিয়েছে, সেহেতু সরকারের এখানে না করার কোন কারণ থাকতে পারে না।
আরো উল্লেখ্য,
একশ্রেণীর বেকুবকে দেখলাম বলছে, “ মসজিদ দিয়ে সরকারি জমি দখলের পায়তারা”। আসলে এরা নিতান্তই বোকা। যারা ঐ মসজিদটি নির্মাণ করছে, তারা তো ঐ জমিটি বহু বছর যাবত ভোগদখল করেই আসছে, আরো বহু বছর তারা ভোগ দখলের সুযোগ পাবে। এখন তারা বরঞ্চ নিজেদের ভোগদখল ছেড়ে জনকল্যাণে জমিটি ছেড়ে দিতে চাইছে। এটা তো তাদের সেক্রিফাইস, কখনই কূটউদ্দেশ্য নয়। যারা ঐ মুসলমানদের সম্পর্কে এমন বিকৃত তথ্য ছড়াচ্ছে তারা অবশ্যই ঐ কথিত পরিতোষ কুমার রায়ের অবৈধ সন্তান, এতে কোন সন্দেহ নাই।
No comments