আইএস আসলে কে ?
সোজা উত্তর- একটা গুন্ডাবাহিনী
কার গুন্ডা বাহিনী ?
উত্তর- আমেরিকার গুন্ডা বাহিনী।
কেউ কথা না শুনলে কোন রাজনৈতিক নেতারা যেমন গুন্ডা বাহিনী পাঠিয়ে থ্রেট দেয়, ঠিক তেমনি আমেরিকার কথা না শুনলে সে আইএস গুন্ডা পাঠিয়ে বাংলাদেককে থ্রেট দিলো। এর বেশি কিছু নয়।
অনেকে হয়ত ভাবছে- “আহারে, বাংলাদেশ থেকে কতগুলো ছেলে আইএস’ এ যোগ দিয়েছে, বাংলাদেশে আইএস হামলা করেছে, বাংলাদেশ কি তবে জঙ্গীবাদী রাষ্ট্র হয়ে গেলো?”
না এ ধরনের চিন্তার করার কোন কারণ নাই। কারণ ফ্রান্স থেকে শত শত তরুণ আইএস যে যোগদান করেছে, ফ্রান্সে আইএস একাধিকবার হামলা করে শত শত মানুষকে হত্যা করেছে। তাই বলে কিন্তু ফ্রান্স জঙ্গীবাদী রাষ্ট্র হয়ে যায়নি। ফ্রান্সে মার্কিন সেনাও পাঠানো হয়নি।
অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে দু’চারটা ছেলে আইএস-এ গেলে, দু’একটা হামলা করলে, কিংবা বাংলায় কথা বললে, এটা কখনই প্রমাণ হয় না- বাংলাদেশে আইএস ঘাটি গেড়েছে। বরং গতকালকে প্রকাশিত ভিডিও বলে দিচ্ছে বাইরে কোন দেশ থেকে ভিডিও তৈরী করে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে এই মার্কিন গুণ্ডারা।
আমি আপনাদের স্পষ্ট করে বলছি- আইএস নিয়ে ভয় পেয়ে কোন লাভ নেই। কারণ ভয় সৃষ্টি করাই তাদের কাজ। আপনি যদি ভয়-ই পেয়ে যান, তাহলে কিন্তু তাদের মিশন সফলতা। তাই ভয় না পেয়ে আইএস জুজুকে ছুড়ে ফেলে দেওয়াই আইএস বিরোধী সাধারণ মানুষের সবচেয়ে বড় কার্যক্রম।
উল্লেখ্য, আইএস নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৫ সালে একটি বক্তব্য দিয়েছিলো। আমি সেই বক্তব্যটা হুবুহু তুলে ধরলাম-
দেশে আইএস আছে স্বীকার করতে প্রচণ্ড চাপ রয়েছে : শেখ হাসিনা
``প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে জঙ্গি সংগঠন আইএস আছে এমন স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করছে আন্তর্জাতিক মহল। বাংলাদেশে যদি আইএস আছে, জঙ্গি আছে একবার স্বীকার করানো যায়, তাহলে বাংলাদেশের কী অবস্থা হবে, দেশের মানুষকে একবার ভেবে দেখতে হবে। সিরিয়া, মিশর, আফগানিস্তান, ইরাকে, পাকিস্তানে কী হচ্ছে।" (http://goo.gl/ROQYWF)
No comments