Header Ads

ad728
  • Breaking News

    গুলশান হামলা নিয়ে কিছু হিসেব-নিকাশ

    অনেকগুলো বিষয়ের হিসেব মিলছে না- ১) নিহত সাত জাপানির মধ্যে ছয় জন ছিলো মেট্রোরেল প্রকল্পের সমীক্ষক। এই সমীক্ষকদের রিপোর্টের উপর নির্ভর করছে ২২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পটির ভবিষ্যত। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, এক সাথে একই কাজের সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গ সেখানে গেলো কিভাবে ? তাদের কি কেউ দাওয়াত দিয়ে নিয়েছিলো ? বড় প্রজেক্টের এতগুলো বিদেশী কনসালটেন্স এক সাথে খুন হওয়ার পেছনে আর কি কারণ থাকতে পারে ? ২) নিহত ইতালি নাগরিকদের মধ্যে ৬ জন ছিলো গার্মেন্টস বায়ার। একসাথে এতজন গার্মেন্টস বায়ার ঐ রেস্ট্রুরেন্ট গেলো কিভাবে ? তাদেরকে কি কেউ দাওয়াত দিয়ে নিয়েছিলো ? একসাথে এতজন গার্মেন্টস বায়ার হত্যার কারণ কি থাকতে পারে ? ৩) হাসনাত করীম কে ? বলা হয়েছে তার মেয়ের জন্মদিন ছিলো। এইজন্য গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি রুমের মধ্যে প্রকাশ্যে খুনিদের পাশে হাটছিলেন কিভাবে ? আর পাহারা ছাড়া নারীদের বের করে আনলেনও বা কিভাবে ? ৪) ডিজিএফআইএ এর এক সদস্যের লিখিত বই ‘বাংলাদেশে র’-তে দেখেছিলাম, বলা হয়েছিলো- বিদেশী রেস্ট্রুরেন্টগুলো সাধারণত বিদেশী গোয়েন্দাদের বেনামে অফিস হয়ে থাকে। কারণ সেখানে খাবার খাওয়ার অজুহাত দিয়ে এসে গোয়েন্দারা মিটিং করতে পারে, কিন্তু কেউ সন্দেহ করতে পারে না, সবাইভাবে খেতে এসেছে। আর গুলশান ডিপ্লোমেটিক জোনের মত কড়া এলাকায় এ ধরনের একটি বিদেশী রেস্ট্রুরেন্টে-এ বিদেশী গোয়েন্দাদের ঘাটি হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। যদি ঐ রেস্ট্রুরেন্টটি সত্যিই বিদেশী গোযেন্দাদের মিলনস্থল হয় সেখানে জাপানি কনসালটেন্ট কিংবা ইতালিয় বায়াররা এমনি এমনি নাও যেতে পারে। কোন গোয়েন্দা সংস্থার লোক উদ্দেশ্যমূলক টার্গেট করে তাকের ডেকেও নিয়ে আসতে পারে। এমনও হতে পারে রেস্ট্রুরেন্টের সাথে সংশ্লিষ্ট লোকরাই খুনিদের ঢুকিয়েছে, যার কারণে পুরো ঘটনা ঘটে গেছে সহজে। ৫) নিহত বাংলাদেশীদের তালিকায় কিন্তু সাধারণ মানুষ নেই। যেমন প্রথম আলো- ডেইলি স্টারের ট্রান্সকম গ্রুপের মালিকের নাতি মারা গেছে। অথচ ট্র্যান্সকম গ্রুপের মালিক লতিফুর যে বিদেশী এজেন্ট এটা অনেকেরই জানা। অন্যদিকে নিহত অবিন্তা কবীর এলিগেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যানের মেয়ে। এছাড়া নিহত ইশরাত আখন্দ ছিলো বিজিএমইয়ের সাবেক মানবসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা। এতগুলো গুরুত্বপূর্ণ লোক এক সাথে সেখানে কিভাবে গেলো, নাকি তাদের কেউ ডেকে নিযে এসেছিলো বিষয়টি দেখবার বিষয় আছে। মনে রাখবেন, ‘জঙ্গী’ শব্দটা ব্যবহার হয় উদ্দেশ্যমূলকভা, কোন ঘটনার মূল উদ্দেশ্য আড়াল করার সবচেয়ে সহজ কৌশল জঙ্গী হামলার দাবি করা। যেমন কিছুদিন আগে মিতু হত্যাকাণ্ড ঘটনায় শুরুতে দাবি করা হয়েছে জঙ্গীরা হত্যা করেছে। কিন্তু এখন ঘটনার টার্ন নিয়েছে অন্যদিকে। এখন জঙ্গী হামলা গেলো কোথায় ? এটা ঠিক, যারা এরনের ঘটনাগুলো ঘটায় তাদের একটি মাত্র উদ্দেশ্য থাকে না। তারা একটা ঘটনা ঘটিয়ে অনেকগুলো উদ্দেশ্য হাসিল করে। গুলশান হামলার ক্ষেত্রেও তেমন কিছু থাকতে পারে। তবে উপরে বর্ণিত বিষয়গুলো বিবেচনা করলে ঘটনার অন্যকোন কেন্দ্রবিন্দুও বের হয়ে আসলেও আসতে পারে।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728