নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে কেন এত জঙ্গী পাওয়া যাচ্ছে ?
বাংলাদেশে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রমিনেন্ট নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটি। সেখানে টিউশন ফি সবচেয়ে বেশি আবার ছেলেমেয়েরা স্বাধীনতা পায়ও বেশি। উন্নত প্রযুক্তি বলেন আর অবাধ স্বাধীনতা বলেন, কোন ভার্সিটি যেন নর্থ সাউথের ধারে কাছেও নেই।
সাধারণত সমাজ ব্যবস্থায় যখন আপনি কোন পরিবর্তন আনতে চাইবেন, তখন আপনাকে পুরোনো ভিত্তি ভেঙ্গে দিতে হবে, আর পুরোনো ভিত্তি ভাঙ্গতে চাই রেভুলেশন কিংবা নেগেটিভ অর্থে বলতে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি। আর সেটার জন্য দরকার এক্সট্রিমিজম তৈরী করা। এ কারণে কোন একটি মধ্যপন্থী সমাজে একদিকে এক্সট্রিমিজম সৃষ্টি করলে, অপরদিকে অটোমেটিমক এক্সট্রিমিজম তৈরী হবে।
এটা অনস্বীকার্য বাংলাদেশে কিন্তু এর আগে কথিত জঙ্গী-সন্ত্রাসী এতটা দেখা যেতো না। কিন্তু এখন হঠাৎ করে কেন এই উৎপাত ? এমনকি ভালো ভালো ঘরের ছেলেরা পর্যন্ত সেখানে যোগ দিচ্ছে !
এর কারণ সমাজে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ধর্মবিমুখী এক্সট্রিমিজম অথবা নাস্তিকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে নর্থসাউথে ধর্মে নিষিদ্ধ তথা প্রথা বিরুদ্ধ কার্যক্রম অবাধে ঘটছে, এমনকি ভার্সিটির পক্ষ থেকে তা উৎসাহিত করা হচ্ছে । যেহেতু প্রত্যেকটি ক্রিয়ার একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে, তাই সেখানে ধর্মের নামেও এক্সট্রিমিজম সৃষ্টি হচ্ছে এবং হওয়াটাই স্বাভাবিক। বলাবাহুল্য গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের স্কুলের কারিকুলামেও ধর্মবিরুদ্ধ শিক্ষা প্রবেশ করেছে, তাই অদূর ভবিষ্যতে তার প্রতিক্রিয়ায় যে স্কুল থেকেও জঙ্গী বের হবে না, তা কিন্তু আপনি বলতে পারেন না।
আমি লেখার শুরুতেই কিন্তু বলেছি, সমাজকে অস্থিতিশীল করতেই এ সকল অপপ্রয়াস। বলাবাহুল্য সমাজকে অস্থিতিশীল করে ফায়দা লুটা ইহুদীদের অনেক পুরান পলিসি। এরা নিজেরাই নাস্তিক তৈরী করে এবং এরপর সেই নাস্তিক দমন করার জন্য জঙ্গী তৈরী হয় যায়। দুই দলে মারামারি বাধিয়ে মাঝখান দিয়ে ফসল নিজের ঘরে তুলে নেয় তারা।
এর সমাধান কি ?
সমাধান খুব সোজা, স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটির কারিকুলাম থেকে নাস্তিকতা ও ধর্মবিমুখী শিক্ষা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করতে হবে। সিলেবাসগুলোতে আগের মত ধর্মীয় শিক্ষার পর্যাপ্ত প্রবেশ করিয়ে সামাজকে নিউট্রালাইজ করতে হবে। তবেই এক্সট্রিমিজম মানে কথিত জঙ্গীবাদের উত্থান ঠেকানো সম্ভব, এছাড়া জঙ্গিবাদ ঠেকানোর আপাতত আর কোন উপায় দেখছি না।
No comments