Header Ads

ad728
  • Breaking News

    বাংলাদেশের ক্ষমতা নিয়ে আমেরিকার চাওয়া

    গত কয়েকদিন আগে আমি একটা পোস্টে বলেছিলাম- আওয়ামীলীগ হচ্ছে রাশিয়াপন্থী। আমেরিকা চাইছে বাংলাদেশের রাশিয়াপন্থী গভঃমেন্ট সরিয়ে মার্কিনপন্থী কাউকে ক্ষমতায় আনতে। এই পোস্টের পাঠকদের মধ্যে কেউ কেউ বিরোধীতা করেছিলেন, বলেছিলেন- “আওয়ামীলীগ রাশিয়াপন্থী নয়, ভারতপন্থী।” আবার কেউ কেউ বলেছিলো- “আওয়ামীলীগ যাক, তবে আপাতত ভারতের আগ্রাসন থেকে বাচা যাবে।” আসলে দুটো কথাই ভুল। আওয়ামীলীগ মোটেও ভারতপন্থী নয়, বরং রুশপন্থী। এবং এটা মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে স্পষ্ট দেখা যায়। রাশিয়া অস্ত্র ও সমর্থন দিয়ে বাংলাদেশকে সহায়তা করে। যেহেতু তখন ভারতে রুশপন্থী কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিলো, তাই রাশিয়া-ভারত একযোগে বাংলাদেশকে সাপোর্ট দিয়েছিলো। অপরদিকে মার্কিন ব্লকটি পুরোটাই বাংলাদেশে স্বাধীনতার বিরোধীতায় লিপ্ত ছিলো। শেখ হাসিনার রাশিয়া থেকে নিয়মিত অস্ত্র ক্রয়, দলের কার্যপ্রণালী এবং পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে গরম গরম বক্তব্যই বলে দেয় আওয়ামীলীগ কোন ব্লক মেইনটেইন করে। এছাড়া বর্তমানে রাশিয়ার সহয়োগীতায় রুপপুর পারমানবিক প্রকল্প পুরো সম্পর্ক স্পষ্ট করে দেয়। উল্লেখ্য ভারত হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক প্রধান । সব সুপার পাউয়াররা চেষ্টা করে আগে ভারতকে নিয়ন্ত্রণে করতে। কারণ ভারতকে নিয়ন্ত্রণ করা গেলে পুরো দক্ষিণ এশিয়ার উপর প্রভাব বিস্তার করা সহজ হবে। এতদিন কংগ্রেস ছিলো ভারতের ক্ষমতায়, যে সুপরিচিত রুশ ব্লকের সদস্য। কিন্তু কিছুদিন আগে ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদি, যে মূলত মার্কিনপন্থী। মোসাদ শুরু থেকেই মোদিকে সাপোর্ট করে যাচ্ছে। এটা থেকে বোঝা যায়- যারা বলেছেন- আওয়ামীলীগ গেলেই ভারতীয় গ্রিপ থেকে বাংলাদেশে রক্ষা পাবে এটা ভুল। কারণ ভারতের ক্ষতায় এখন মার্কিনপন্থী মোদি। তাই আওয়ামীলীগ গিয়ে মার্কিনপন্থী কোন সরকার আসলেও লাভ হবে না, কারণ ঐ সরকারও ভারতের মুখাপেক্ষী থাকবে, এবং আমেরিকা ভারতের মাধ্যম দিয়েই বাংলাদেশকে শোষণ করবে। এখন কেউ কেউ হয়ত বলতে পারেন- আওয়ামীলীগ রুশপন্থী, মোদির ভারত আমেরিকাপন্থী। তাহলে আওয়ামী সরকার কেন এত ভারত তোষণ করছে ? তাদের মধ্যে কোন বিরোধ হচ্ছে না কেন ? তারা তো বন্ধুর মতই রয়েছে। আসলে আপনার কাছে মনে হলেও আমার কাছে ব্যাপারটা তা মনে হচ্ছে না। আমি দেখেছি- আওয়ামী গভঃমেন্টের সাথে শুরু থেকেই বিজেপি সরকারের দ্বন্দ্ব দেখা যাচ্ছিলো এবং বর্তমানে বিষয়টি আরো কড়া হয়েছে। কিন্তু আওয়ামীলীগের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি, ভারতের হাতে অত্যধিক ব্যবসা ছেড়ে দেওয়া, মোটা অংকের ব্রোকারি মানি, দুর্নীতিতে দুই দেশ একত্রে লুটপাট সব মিলিয়ে আওয়ামী সরকার ভারতের কাছে অনেকটা জিম্মি হয়ে পড়ছে এবং দেশকেও জিম্মি কলে ফেলছে। তাই এখন আওয়ামীলীগ চাইলেও ভারতের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারছে না, ইচ্ছা-অনিচ্ছায় মার্কিনপন্থী ভারতের জালে আটকা পড়েছে। তাই সাধারণ মানুষ এমনটাই ভাবছে।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728