গুলশান হামলা এবং জাকির নায়েক
গত কয়েকদিন আমাকে অনেকেই অনুরোধ করেছেন জাকির নায়েককে নিয়ে পোস্ট দেওয়ার জন্য। কিন্তু আমি জাকির নায়েক নিয়ে কোন পোস্ট দেইনি। কেন দেইনি ?
কারণ আমি আসলে মূল ঘটনাটা বুঝতে চাইছিলাম। আমি প্রথমেই ধারণা করেছিলাম- এখানে একটি স্পষ্ট আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ইস্যু জড়িত। এরপর গত ২-৩ দিন আমি যে তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছি এবং পুরো ঘটনা অ্যানালাইসিস করে কয়েকটি বিষয় বুঝতে পেরেছি-
১) গুলশানে হামলাকারীরা জাকির নায়েকের ভক্ত ছিলো বলে তাকে ব্যান করা হয়েছে এটা সম্পূর্ণ বোগাস কথা। গুলশানের ঘটনা ছিলো জাকির নায়েককে ব্যান করার অজুহাত মাত্র। এবং সে অজুহাতটি সৃষ্টি করে দেয় বাংলাদেশে মার্কিনপন্থী দুটো পত্রিকা- ডেইলি স্টার ও প্রথম আলো।
২) জাকির নায়েককে ব্যান করেছে মূলত ভারতের বিজেপি সরকার। আওয়ামী সরকার (বড় অংশ) কিন্তু মোটেও জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে ছিলো না বরং পক্ষে ছিলো। বিজেপি’র চাপে পড়ে এবং ভারতের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী সরকার জাকির নায়েককে ব্যান করতে বাধ্য হয়। সালমান এফ রহমান ১০ মিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করেছে ভারতীয় টিভি’র এ খবর প্রকাশ বাংলাদেশ সরকারের উপর চাপ প্রয়োগের নামান্তর।
৩) বিজেপি জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে হলেও ভারতের বিরোধীদলীয় কংগ্রেস জাকির নায়েকের পক্ষে। ইতিমধ্যে এক কংগ্রেস নেতা জাকির নায়েককে ফেরত আনতে দাবি জানিয়েছে।
৪) পুরোটা ঘটনাই ঘটেছে আমেরিকার নির্দেশ ও ইচ্ছায়। জাকির নায়েক এখন ব্যান----- আমেরিকা-ব্রিটেন-কানাডা-ভারত-বাংলাদেশে।
৫) জাকির নায়েকের উপর আমেরিকা+ বিজেপি সরকারের ক্ষেপে থাকার কারণ ‘জাকির নায়েক একজন ইসলামী বক্তা’ এটা নয়, সম্ভবত আরেকটি পরিচয়ের কারণে। আপাতত আমি সেটা প্রকাশ করছি না।
৬) জাকির নায়েককে বাদ দেওয়ার ঘটনাটি ছিলো মূলত বৈশ্বিক রাজনীতির একটি অংশ যেখানে ধর্মের কোন সম্পর্ক আছে বলে মনে হয় না। তবে ঘটনাটি আড়াল করা হয়েছে ধর্মীয় ছদ্মাবরণে বা গুলশান হামলার অজুহাত দিয়ে। গুলশান হামলার মাস্টারমাইন্ডরা যতগুলো ফলাফল ঘরে তুলতে চেয়েছিলো তার মধ্যে একটি ছিলো ভারতে জাকির নায়েককে ব্যান ও সম্ভব হলে গ্রেফতার করা। সম্ভবত জাকির নায়েক সে বিষয়ে আগেই তথ্য পেয়েছিলেন এবং সে কারণেই ওমরাহ হজ্জের নামে দেশের বাইরে সরে পড়েছিলেন।
আমার অ্যানালাইসিস যে ১০০% সঠিক সেটা আমি বলছি না। কিন্তু সঠিক হলেও হতে পারে।
জাকির নায়েকের আরেকটি পরিচয় জানার অপেক্ষায় থাকলাম
ReplyDelete