বিডিআর বিদ্রোহ এবং গুলশানের হামলায় মিডিয়ার ভূমিকা
বিডিআর বিদ্রোহের সময় লাইভ দেখাচ্ছিলো মুন্নীসাহা। মুন্নীসাহার লাইভ দেখানোর ফলে বিডিআর বিদ্রোহের গরম পুরো দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং দেশের সব ক্যাম্পে সেনাবাহিনী ও বিডিআরদের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। মুন্নীসাহার অপকর্মের কারণে কয়েকটি সীমান্ত এলাকা বিডিআর-আর্মি সংঘাত শুরুও হয়ে যায়। এত বড় অপকর্মের সাথে জড়িত থাকার পরও মুন্নী সাহার বিরুদ্ধে পরবর্তীতে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
গতকালকেও একই ঘটনা ঘটেছে। সাধারণ মানুষ ভাবছে- আহারে মিডিয়া কর্মীরা কত কষ্ট করছে। কিন্তু এদের উদ্দেশ্য যে রাষ্ট্রবিরোধী তা অনুধাবন মানুষ করতে পারে নাই। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ভাবে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়াই ছিলো কয়েকটি মিডিয়ার লক্ষ্য । এটা একটা মনোস্তাত্ত্বিক বিষয়, পুরোটাই উদ্দেশ্যমূলক এবং হামলাকারীদের সাথে মিডিয়ার সম্পর্ক থাকাটাও অস্বাভাবিক কিছু নয় । ‘বাংলাদেশে আইএস আছে এবং খুবই শক্তিশালী অবস্থানে’ এই মেসেজটা প্রচার করাই ছিলো গতকালকে হামলার উদ্দেশ্য, এবং কয়েকটি চ্যানেল তা সফলভাবে প্রচার করে দিয়েছে, যা সত্যিই সন্দেহের বিষয়।
যে সব মিডিয়া লাইভ সম্প্রচার করেছে এবং যে সব মিডিয়া ও ব্যক্তি এখনও প্রচার করে যাচ্ছে বাংলাদেশে আইএস আছে, গতকালকের ঘটনার সাথে তাদের জড়িত থাকার সম্ভবনা অত্যধিক। বিদেশী শক্তি ডেকে এনে বাংলাদেশকে ইরাক-সিরিয়া বানানো এদের আলটিমেট লক্ষ্য ।
তা্ই আমার মনে হয়, শুধু সন্ত্রাস দমন করলেই হবে না, সন্ত্রাসবাদীদের মেসেজ প্রচারকারী এ সকল মিডিয়াকেও আইনেরও আওতায় আনতে হবে। তাদের লাইলেন্স বাতিল করতে হবে।
একই সাথে ইউরোপ-আমেরিকা বা ইন্ডিয়ার হামলাসমূহের সাথে তুলনা করলে গতকালকে বাংলাদেশের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খুবই সামান্য হয়েছে এবং খুব সময়ে বাংলাদেশ বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। তাই অযথা ভীতি প্রচারের কোন কারণ নাই। বাংলাদেশে যে কোন ধরনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশী বাহিনী-ই যথেষ্ট, ভারত কিংবা আমেরিকার এখানে মাথা ঘামানোর কোন কারণই থাকতে পারে না।
#No_ISIS_in_BAngladesh
#USA_India_Oil_Your_Own_Machine
No comments