Header Ads

ad728
  • Breaking News

    বাংলাদেশের রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং বাংলাদেশের সম্ভাব্য ভবিষ্যত পরিণতি

    এ ছবিটা যে বুঝবে, সে বর্তমান বাংলাদেশের রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং বাংলাদেশের সম্ভাব্য ভবিষ্যত পুরোপুরি বুঝতে পারবে------ আফগানিস্তান : আগে ছিলো কমিউনিস্ট সরকার। সেটাকে দমন করার জন্য আমেরিকা স্থানীয়দের অস্ত্র দিলো। তাদের দিয়ে দমন করলো রাশিয়াকে। এরপর নিজেরাই আবার তাদের দমন করে নিয়ে এলো ১০০% মার্কিনপন্থী সরকার। পাকিস্তান : ক্ষমতায় ছিলো পারভেজ মোশাররফ। মোশাররফকে সবাই আমেরিকার দালাল ভাবতো। এটা ভুল। পারভেজ মোশাররফ নিজপন্থী (অর্থাৎ কারো দালাল না)। পারভেজ মোশাররফকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো। চীনপন্থী বেনজির ভুট্টোকে হত্যা করা হলো। ক্ষমতায় আনা হলো নওয়াজ শরীফকে, যে পুরোপুরি মার্কিনপন্থী। ভারত : ক্ষমতায় বহুদিন ছিলো রুশপন্থী কংগ্রেস সরকার। তাকে সরিয়ে ক্ষমতায় আনা হলো ১০০% মার্কিন দালাল মোদিকে। শ্রীলংকা : ক্ষমতায় ছিলো রাজাপাকসে। তাকে ব্যাকিং দিতো চীন, সাথে ছিলো রাশিয়া। রাজাপাকশেকে সরিয়ে ক্ষমতায় আনা হয়েছে মৈত্রীপালা সিরিসেনাকে। ইতিমধ্যে তামিল টাইগারদের দমনের জন্য রাজাপাকশেকে পশ্চিমারা যুদ্ধাপরাধী বলে গন্য করেছে এবং সম্ভবত রাজাপাকশের বিচার হতে চলেছে। নেপাল : নেপালে এখন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি এবং রাষ্ট্রপতি বিদ্যা ভণ্ডারী। এরা একীকৃত মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য, তাদের পেছনে চীন-রাশিয়ার প্রভাব বিদ্যামান। এ কারণে বর্তমান মোদি সরকারের সাথে তাদের দ্বন্দ্ব চরমে। আমেরিকা ও মোদি চেয়েছিলো নেপাল হিন্দু রাষ্ট্র থাকুক, কিন্তু চীন-রাশিয়া চেয়েছে ধর্মনিরপেক্ষ হোক। ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসন ঠেকাতে নেপাল বাধ্য হয়ে সকল ভারতীয় টিভি চ্যানেল নিষিদ্ধ করে। মায়ানমার : ক্ষমতায় ছিলো চীনপন্থী সামরিক জান্তা। তারা গিয়ে ক্ষমতায় এখন চলে এসেছে অং সাং সুকি, যে শতভাগ মার্কিনপন্থী। ভুটান : ভুটানকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বলা যায়। তাই ভারতে যে পন্থী সরকার হোক ভুটান তার বাইরে নয়। তাই ভুটানকে এখন মোদিপন্থী বা মার্কিনপন্থী বললে সমস্যা হবে না। উল্লেখ্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে লেখাপড়া করা এবং জাতিসংঘ থেকে সনদপ্রাপ্ত। মালদ্বীপ : ক্ষমতায় আব্দুল্লাহ ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুম, মার্কিনপন্থী। দুই বছর আগে ইয়ামিন সরকার একজন রাশিয়ান এজেন্ট গ্রেফতার করে এবং মার্কিন ঘাটি গুয়ামে পাঠিয়ে দেয়। উল্লেখ্য মালদ্বীপ মার্কিন-সৌদি বলয়ে সংযুক্ত থাকার কারণে ইরানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। বাংলাদেশ : বাংলাদেশে বর্তমান আওয়ামী সরকার রাশিয়াপন্থী। উপরের বিশ্লেষন দ্বারা স্পষ্ট বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়াতে দুটো দেশ মার্কিন গ্রিপের বাইরে আছে-- ১) নেপাল ২) বাংলাদেশ তাই এ দুটো দেশে এখন রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেবে এবং নানা ধরনের সহিংস ঘটনা ঘটতে থাকবে। এসব ঘটনা ততক্ষণ পর্যন্ত স্থায়ী হবে, যতক্ষণ না মার্কিনপন্থী কোন দল ক্ষমতায় না আসে। বাংলাদেশ ও নেপাল বাদে বাকিদেশগুলোর দিকে খেয়াল করুন, সেগুলো যখন মার্কিন গ্রিপের বাইরে ছিলো তখন সেখানে নানা ধরনের যুদ্ধ, সহিংসতা, বোমা হামলা হয়েছে। কিন্তু যেই মার্কিনপন্থী ক্ষমতায় এসেছে, ব্যস সব চুপ। তাই বাংলাদেশের ক্ষমতায় মার্কিন পছন্দের কেউ না বসা পর্যন্ত আপাতত বাংলাদেশ স্থিতিশীল হচ্ছে না। তবে নিশ্চিত থাকুন, মার্কিন পছন্দের মধ্যে আওয়ামী-বিএনপি কোনটাই নেই। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পছন্দের কেউ (ড. ইউনুস-ফজলে আবেদের মত) ক্ষমতায় আসলে হয়ত দৃশ্যত বাংলাদেশে স্থিতিশীল আসতে পারে, কিন্তু বাস্তবে সেটা বাংলাদেশের জন্য ভয়ঙ্কর কোন ভবিষ্যত ডেকে আনতে পারে। হতে পারে সেটা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের মত। সেটা হয়ত বাংলাদেশীদের জন্য আরো অন্ধকার কোন কিছু......

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728