কিভাবে একজন সুস্থ ব্যক্তিকে জঙ্গি বানাবেন ?
সম্প্রতি গুলশানে হামলা হওয়ার পর অনেকেই অবাক হয়েছেন, ভেবেছেন ৬ মাস আগে যে ছেলেগুলো সুস্থ-স্বাভাবিক ছিলো, তারা কিভাবে গুলশানে হামলা চালালো, এটা কিভাবে সম্ভব ??
অনেকে দাবি করেছে- তাদের ইসলামী মতাদর্শ দিয়ে উন্মাদ করা হয়েছে। আসলে ব্যাপারটা সে রকম না। এ সকল ছেলের উপর মনোবিজ্ঞানের একটি পদ্ধতি (অপচিকিৎসা) প্রয়োগ করা হয়েছে, যার কারণে এ ধরনের একটি আত্মঘাতি হামলা তারা নির্বিকারে এবং ভীতিহীনভাবে করতে সমর্থ হয়। এ ধরনের কাজকে অনেকে ব্রেইনওয়াশ বলতে পারেন, তবে মনোবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে মাইন্ড কন্ট্রোলিং।
এ পদ্ধতির নাম MK-Ultra Project (https://goo.gl/nCYP8s)। এ পদ্ধতি সর্বপ্রথম সফলভাবে প্রয়োগ করে হিটলারের নাৎসী বাহিনীর ডাক্তার জোসেফ ম্যাঙ্গেলে। MK-Ultra Project এর একটি অত্যাধুনিক ও সফল সংষ্করণের নাম হচ্ছে Project Monarch (http://goo.gl/GqdQss) । নাৎসিদের পরে মাইন্ড কন্ট্রোলিং এর এই পদ্ধতি পরবর্তীতে রাশিয়ান গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবি ব্যবহার করে। এবং বর্তমানে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এবং ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ বর্তমানে এ মানসিক অপচিকিৎসা করে সারা বিশ্বকে অস্থিতিশীল করে যাচ্ছে।
কিভাবে ব্যবহার হয় Monarch মাইন্ড কন্ট্রোলিং সিস্টেম-
ধাপ-১ : এ পদ্ধতি প্রয়োগের জন্য সর্বপ্রথম দরকার তার কনসাস মাইন্ড (চেতন মন) কে দূরে ঠেলে (আপাতত বন্ধ করে) দেওয়া। এটা বিভিন্ন প্রকারে হতে পারে। অতিরিক্ত টর্চার করে কনসাস মাইন্ডকে (চেতন মন) দূরে ঠেলে দেওয়া যায়। এছাড়া কোন ব্যক্তি যদি মারাত্মক হতাশাগ্রস্ত হয় সেক্ষেত্রে কনসাস মাইন্ড (চেতন মন) দূরে সরানো যায়, তবে সেক্ষেত্রে উচ্চমাত্রায় সাইক্রিয়াটিক ড্রাগ ব্যবহার করা হয়।
ধাপ-২: কনসাস মাইন্ড (চেতন মন) সরিয়ে দেওয়ার পর সাবকনসাস মাইন্ড (অবচেতন মন) অরক্ষিত হয়ে যায়। এটা একটি মারাত্মক পর্যায়। এ পর্যায়ে ব্যবহার করা হয় LSD (https://goo.gl/TVpPnx) ধরনের সাইক্রিয়াটিক ড্রাগ। এ পর্যায়ে ঐ ব্যক্তিকে যাই হিপনোটিক সাজেশন দেওয়া হয় তাই নিদ্বিধায় সাবকনসাস মাইন্ডে ইনপুট করে এবং সময়ত তা বাস্তবায়ন হয়। এ সময় সিনেমার মাধ্যমে, ভিডিও’র মাধ্যমে তাকে বিভিন্ন দৃশ্য দেখানো হয় এবং বলা হয়- তুমি অমুক স্থানে বোমা ফোটানোর পর সাথে সাথে শান্তিতে চলে যাবে এবং প্রয়োজনে শান্তির স্থানের বানানো ভিডিও দেখানো হয়। এ ধরনের ব্যক্তি হিপনোটাইজড বা সম্মোহিত ব্যক্তি হয়ে থাকে। এরপর ঐ ব্যক্তি স্বাভাবিক হওয়ার পরে সম্মোহিত হওয়ার ঘটনা সব ভুলে যায় (যেহেতু হিপনোটাইজড করার সময় এলএসডি ড্রাগ ব্যবহার করা হয়েছিলো) । এ অবস্থায় তাকে বলে ‘স্লিপার এজেন্ট’ বা ‘ঘুমন্ত ঘাতক’।
ধাপ-৩: পরবর্তীতে তার অবচেতন মনকে আবার জাগিয়ে তোলার জন্য ব্যবহার করা ‘ট্রিগার ওয়ার্ড’ (এক ধরনের বাক্য বা কবিতা বা সিগনাল)। এবং যায়গা মত পৌছিয়ে শুধু ট্রিগার ওয়ার্ড শোনালেই অবচেতন মন জেগে উঠে এবং হামলা শুরু করে। এ অবস্থায় ঐ ব্যক্তির স্বাভাবিক অবস্থা থাকে না, একটি সাধারণ ছেলে খুনের পর খুন করলে তার হাত কাপে না এবং নিদ্বিধায় সে সুইসাইড করতে পারে, কারণ Monarch সিস্টেমের মাধ্যমে তার সাবকনসাস মাইন্ডে সেভাবেই প্রোগ্রামিং করা হয়েছিলো।
আসলে এভাবে মাইন্ড কন্ট্রোলিং এর মাধ্যমে সুইসাইড হামলার করার সাথে ইসলাম ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই, বরং এটি মনোবিজ্ঞানীক অপচিকিৎসা যা হিটলারের নাৎসী বাহিনী, রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবি, ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এবং আমেরিকার সিআইএ বহুদিন ধরে ব্যবহার করে আসছে।
কেজিবি এ পদ্ধতিতে ব্রেইনওয়াশ করে, এ বিষয়টি ফাস করে ১৯৭৭ সালে আমেরিকা একটি সিনেমা তৈরী করে। যার নাম - Telefon। সিনেমার একটি ভিডিও লিঙ্ক আপনাদের দিলাম, যেখানে দেখতে পাবেন একটি সাধারণ মানুষকে মাইন্ড প্রোগ্রামিং এরপর টেলিফোনে ‘ট্রিগার ওয়ার্ড’ শুনিয়ে কিভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনায় আত্মঘাতি বোমা হামলা চালানো হয় -
সিনেমার ভিডিও লিঙ্ক- https://goo.gl/suHGsC
No comments