Header Ads

ad728
  • Breaking News

    ছাত্রী উম্মে কুলসুম ঋতুর আত্মহত্যা ও আমাদের শিক্ষা

    ২০১৪ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বখাটের যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে ঢাকাস্থ খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়ার বাসায় আÍহত্যা করে ইস্টপয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী ঋতু। বখাটের নাম শিমুল চন্দ্র মণ্ডল। শিমুল চন্দ্র বিশ্বাসকে গ্রেফতার করার জন্য ঐ স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-অভিভাবকরা অনেক আন্দোলন করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় একটি বিশেষ কারণে শিমুল চন্দ্রকে গ্রেফতার করেনি প্রশাসন। (http://goo.gl/ZQuE5D) এই গ্রেফতার না করার পেছনে বিশেষ কারণটা হচ্ছে বখাটে শিমুল চন্দ্র একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী। এবং বখাটের উকিল বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে আন্দোলকারী বাংলাদেশ মাইনোরিটি ওয়াচ নাম সংগঠনের প্রধান অ্যাডভোকেট রবীন্দ্র ঘোষ। ঋতুর আত্মহত্যার ঘটনায় বখাটে অপরাধ করলেও অপরাধীকে বাচাতে সংখ্যালঘু ইমোশনটি খুব সুকৌশলে ব্যবহার করে অপরাধীর উকিল রবীন্দ্র ঘোষ। রবীন্দ্র ঘোষ নন্দীপাড়ায় গিয়ে হিন্দু লোকদের জোগাড় করে তাদের বোঝায়- “রঞ্জন (বখাটের বাবা) আপনাদের জাতি ভাই; তার পাশে আপনাদের থাকা উচিত। মুসলমানরা আপনাদের জন্য সব সময় হুমকিস্বরূপ; তাদের পাশে থেকে লাভ নেই। আপনারা মুসলমানদের সঙ্গে প্রয়োজনে সংঘর্ষ করবেন। আপনাদের যা হয় আমি দেখব। (সূত্র: দৈনিক যুগান্তর, ১লা ডিসেম্বর, ২০১৪ লিঙ্ক-http://goo.gl/FYKFtF) মজার ব্যাপার হচ্ছে, হিন্দুরা এক থাকায়, এবং রবীন্দ্র ঘোষের প্রতারণার কারণে বখাটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে উল্টো নিজেরাই সংখ্যালঘু নির্যাতনকারী হয়ে উঠে স্থানীয় মুসলমানরা ।মুসলমানদের বিরুদ্ধে উল্টো সংখ্যালঘু নির্যাতনে মামলা দায়ের করে স্থানীয় হিন্দুরা। ফলে স্থানীয় মুসলমানরাই ঘরছাড়া হয়ে পড়ে। (http://goo.gl/FYKFtF) পাঠক, ছাত্রী উম্মে কুলসুম ঋতুর আত্মহত্যার ঘটনা পুনরায় নিয়ে আসার কারণ মুসলমানদের শিক্ষা গ্রহণ। বিষয়টি একটু ভেবে দেখুন- বখাটে শিমুল চন্দ্র মণ্ডল একজন অপরাধী। তার ধর্ম হিন্দু, সে হিন্দুদের কোন উপকার করেনি। কিন্তু তারপরও সকল হিন্দুরা এক হয়ে ঐ অপরাধী শিমুলের পাশে দাড়িয়েছে , মুসলমানদের বিরুদ্ধে উস্কানি গিয়েছে। একমাত্র কারণ শিমুল চন্দ্র হিন্দু ধর্মাবলম্বী। অথচ, সম্প্রতি সিলেটে রাগীব আলীর বিরুদ্ধে এত কিছু ঘটলো, কিন্তু মুসলমান তার পক্ষে দাড়ালো না। যদিও রাগীব আলী সিলেটের জন্য অনেক কিছু করেছে, অনেক মসজিদ-মাদ্রাসা-স্কুল-রাস্তাঘাট-হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছে। দেখা গেলো, একের পর এক ঘটনা ঘটছে- বিচারপতি এসকে সিনহা আদেশ দিয়ে রাগীব আলীর জমি বাজেয়াপ্ত করলো, তাকে একঘরে করলো এবং সর্বশেষ দেশছাড়া করলো, কিন্তু তারপরও সিলেটবাসী তার পক্ষে একটা কথাও বললো না, একটা মিছিলও করলো না। বরং অনেক ‍সিলেটি মুসলমান তাকে দোষারোপ করলো- হিন্দুদের জমি দখলের কথিত অভিযোগে, তাকে উপাধি দিলো দানব বলে। অর্থাৎ হিন্দুরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে স্বজাতির পাশে দাড়ানোয় সব সময় একাট্টা, যদিও ঐ হিন্দু বড় অপরাধী হোক না কেন।কিন্তু মুসলমানদের বেলায় ঘটনা ঠিক উল্টো। মুসলমানদের চেতনা কাজ করে হিন্দুর পক্ষে ও মুসলমানের বিপক্ষে, যদিও আক্রান্ত মুসলমান তাদের অনেক উপকার করুক না কেন। এটা আপনাকে বুঝতে হবে- অতিকায় ডায়নোসর বিলুপ্ত হয়েছে, কিন্তু ক্ষুদ্র তেলাপোকা ঠিকই টিকে গেছে, শুধু নিরাপত্তা কৌশলের কারণে। ঠিক তেমনি বর্তমানে বাংলাদেশে যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে, তাতে বাংলাদেশে ৯৫% মুসলমান খুব শিঘ্রই বিলুপ্ত হয়ে যাবে, কিন্তু ২-৩% হিন্দু ঠিকই টিকে থাকবে, শুধু দেখতে থাকুন।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728