Header Ads

ad728
  • Breaking News

    সিলেটের তারাপুর চা বাগান নিয়ে কিছু কথা

    সিলেটের তারাপুরে ৩ হাজার পরিবারকে বাস্তুচ্যূত করা হবে কারণ তারা রাগীব আলীর থেকে জমি ক্রয় করেছিলো। খুব ভালো কথা। কিন্তু রাগীব আলী পঙ্কজ কুমার গুপ্তের কাছ থেকে যে জমি নিয়েছিলো সেই পঙ্কজ কুমার এত বড় জমি পেলো কোথায় ??? ইতিহাস বলে- পঙ্কজ কুমারের পূর্বপুরুষ ১৮৯২ সালে এই জমি ক্রয় করেছিলো এক ব্রিটিশ ব্যবসায়ীর পুত্র’র কাছ থেকে। ঐ জমির মালিক ব্রিটিশ ব্যবসায়ীর নাম হচ্ছে সি কে হার্ডসন। (http://goo.gl/chK9jh) কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হয়, সকল মিডিয়ায় অতি ভদ্রভাবে সি কে হার্ডসনকে ব্রিটিশ ব্যবসায়ী বলা হয়েছে, কিন্তু কেউ ভুলেও বলেনি সি কে হার্ডসন হচ্ছে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সদস্য। মূলতঃ সি কে হার্ডসন ছিলো বেনিয়া ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ব্যবসায়ী, যে সিলেটে (তখন ছিলো আসাম) ব্যবসার নাম দিয়ে শোষণ করতে এসেছিলো। উইকিতে সিলেটের ইতিহাসে (bn.wikipedia.org/wiki/সিলেটের_ইতিহাস) স্পষ্ট লেখা আছে ঐ সময় সিলেটের সমস্ত জমির মালিক ছিলো মুসলমানরা। কিন্তু সেখানে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এসে ব্যবসার নামে মুসলমানদের উপর কঠিন নির্যাতন শুরু করে এবং দখলদারি স্থাপন করে। অর্থাৎ বেনিয়া ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সদস্য হার্ডসন মুসলমানদের উপর নির্যাতন করেই তারাপুরের জমি দখল করেছিলো। এবং পরবর্তীতে সেই জমিই বিক্রি করা হয়েছিলো পঙ্কজ কুমারের পূর্বপুরুষের কাছে। তারাপুরবাসী যদি রাগীব আলীর থেকে জমি কিনে অন্যায় করে থাকে, তবে পঙ্কজ কুমারের পূর্বপুরুষ কি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির থেকে জমি ক্রয় করে ভালো কাজ করেছিলো? যে জমি মুসলমানদের থেকে জোর করে কেড়ে নেয়া হয়, সেই জমি কি মন্দিরের জন্য দান (দেবোত্তর) করা ঠিক ??? কবি এখানে কেন নিরব সেটাই আমার প্রশ্ন !!

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728