কুমিল্লা সিটিতে রাস্তায় কোরবানী করতে নিষেধাজ্ঞা
কুমিল্লা সিটিতে কিছু্তেই রাস্তায় কোরবানী করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে মেয়র সাক্কু।
এক সভায় মেয়র সাক্কু বলে-
“কোনো অবস্থাতেই এবার রাস্তায় কোরবানী পশু জবাই করতে দেয়া হবে না। যাদের বাড়িতে পর্যাপ্ত জায়গা আছে তারা বাড়িতে কোরবানীর পশু জবাই করতে পারবেন। তবে কোরবানীর বর্জ্য কোরবানীর পরপরই সম্পূর্ণভাবে পরিস্কার করতে হবে। এ বছর কোরবানীর পশু জবাই’র জন্য সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ১৪৯টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিটি নির্ধারিত স্থানে কোরবানীর পশু জবাই করার জন্য ইমাম ও পশুর মাংস কাটার জন্য কসাই উপস্থিত থাকবেন। কোরবানীর পশু কোন নির্ধারিত স্থানে জবাই করা হবে তা কোরবানীদাতাদের এসএমএস এর মাধ্যমে জানানো হবে। কোরবানী বর্জ্য তাৎক্ষণিকভাবে অপসারণের জন্য ২৮টি গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বেলা ২টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এসব গাড়ি বর্জ্য অপসারণের কাজে ব্যবহার করা হবে। চামড়া ক্রয়ের ক্ষেত্রে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
(http://goo.gl/vHPY1Q)
মেয়র সাক্কুর বক্তব্য অনুসারে কুমিল্লার রাস্তায় কোরবানী নিষিদ্ধ হলো। অথচ কুমিল্লা শহরে সকলের বাসার সামনে আলাদা স্থান নেই, ফলে অনেকেই রাস্তার সামনে কোরবানী দিতো। এ বছর সরকারী হিসেবেই কুমিল্লায় শুধু গরু জবাই হবে ২ লক্ষ ৯০ হাজার (http://goo.gl/IPbdc9)। বেসরকারি হিসেবে এর পরিমাণ আরো বাড়বে। এছাড়া গরু ছাড়াও ছাগল-ভেড়া-মহিষ তো আছেই। সব মিলিয়ে কুমিল্লা সিটিতে প্রায় ৩ লক্ষের মত পশু কুরবানী হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
তাহলে ৩ লক্ষ পশু জবাইয়ের জন্য স্পট মাত্র ১৪৮টি
তাহলে প্রতি স্পটে জবাই করতে হবে প্রায় ২ হাজার পশু
এবং মোট গাড়ির সংখ্যা যেহেতু মাত্র ২৮টি তাই
প্রায় গড়ে প্রায় ১০ হাজার পশুর বর্জের জন্য রয়েছে ১টি মাত্র গাড়ি।
তারমানে বোঝা যাচ্ছে-
সরকারীভাবে ভালো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। মানুষকে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা দিয়ে এবং ভুলভাল তথ্য দিয়ে কোরবানীতে নানা ধরনের বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে । উল্লেখ্য কুমিল্লায় এবার দূর্গা পূজা উপলক্ষে মণ্ডপ ছিলো ৭০০ (http://goo.gl/uqHD5b)। অনেক স্থানে রাস্তা বন্ধ করে হিন্দুরা পূজা করে । কিন্তু মুসলমানদের আজকে কুরবানী দেওয়ার সময় পরিষ্কারের অজুহাত দিয়ে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে, যা পুরোই উদ্দেশ্যমূলক ও ভারতের অনুকরণে সাম্প্রদায়িক সিদ্ধান্ত।
মেয়র সাক্কুর কুরবানী বিরোধী বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই।
No comments