Header Ads

ad728
  • Breaking News

    বুড়িগঙ্গা নদীর কাছে ক্ষমা চাওয়া ও ফুল নিক্ষেপ করা

    গতকালকে বাংলাদেশের কিছু লোক বুড়িগঙ্গা নদীর কাছে ক্ষমা চায়, এবং নদীর মধ্যে ফুল নিক্ষেপ করে।অঙ্গীকার বাংলাদেশ’ ও ‘অনির্বাণ-৭১’ নামে পৃথক দুটি সংগঠনের উদ্যোগে এই সমাবেশ হয়। (http://bit.ly/2d8j7Xj) নদীর কাছে ক্ষমা চাওয়া, ফুল নিক্ষেপ করা এই কালচারগুলো জানি কেমন ! মুসলমানদের ইতিহাসে এ ধরনের কালচার, অর্থাৎ নদীকে আলাদা কিছু মনে করে তার কাছে ক্ষমা চাওয়া বা ফুল নিক্ষেপ করার মত কালচার পাওয়া যায় না, বরং এ ধরনের অদ্ভূত কালচারের বিরুদ্ধচারণ করতে দেখা যায়। এ সম্পর্কে মুসলমানদের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর এর সময়কার একটি ইতিহাস পাওয়া যায়। ঐ সময় মুসলমানরা মিশর বিজয় করে। সে সময় মিশরে পাঠানো সেনাপতির নাম ছিলো আমর ইবনুল আস। মুসলিম সেনাপতি মিশরে গিয়ে একটি সেখানে একটি অদ্ভূত কালচার লক্ষ্য করেন। দেখতে পান, বছরের একটি সময় মিশরের গুরুত্বপূর্ণ নদী নীলনদের পানি শুকিয়ে যেতো। নীলদের পানি শুকিয়ে গেলে স্থানীয়রা একটি কাজ করতো। তারা একটি সুন্দরী যুবতীকের ধরে এনে নদীর ভূমিতে বলী দিতো। দাবি করা হতো- বলী দেওয়ার পর নাকি নীলনদের পানি ফিরে আসতো। মুসলমানরা মিশর বিজয়ের পর একটি সময় নীলনদের পানির শুকিয়ে যায়। তখন স্থানীয় মিশরীয়রা মুসলিম সেনাপতি আমর ইবনুল আসকে বলতে থাকে নারী বলী দিতে। কিন্তু মুসলিম সেনাপতি আমর ইবনুল আস নারী বলী দিতে অস্বীকার করেন এবং খলিফার কাছে বিষয়টি জানিয়ে চিঠি লিখে। মুসলমানদের দ্বিতীয় খলিফা ঐ চিঠির জবাব দেন এবং সেনাপতিকে ধন্যবাদ দেন ঐ অনৈসলামিক কালচার পালন না করার জন্য। এ সময় মুসলমানদের দ্বিতীয় খলিফা নীল নদের উদ্দেশ্যেও একটি চিঠি লিখেন। চিঠিটি আমি হুবুহু তুলে ধরছি।- من عبد الله عمر أمير المؤمنين إلى نيل مصر أما بعد: فان كنت تجري من قبلك ومن أمرك فلا تجر فلا حاجة لنا فيك وإن كان الله الواحد القهار هو الذي يجريك فنسأل الله أن يجريك فألقى عمرو البطاقة في النيل فجرى أفضل مما كان অর্থ-“আল্লাহর বান্দা আমীরুল মুমিনীন ওমর (রাঃ) এর পক্ষ হতে মিশরের নীল নদের প্রতি প্রেরিত এই পত্র। অতঃপর হে নীল নদ! তুমি যদি নিজের ক্ষমতা বলে ও নিজের পক্ষ হতে প্রবাহিত হয়ে থাক, তাহলে তুমি আজ হতে আর প্রবাহিত হয়ো না। তোমার কাছে আমাদের কোন প্রয়োজন নেই। আর তুমি যদি মহা পরাক্রমশালী এক আল্লাহর হুকুমে প্রবাহিত হয়ে থাক,তাহলে আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি তিনি যেন তোমাকে প্রবাহিত করেন”। এই চিঠি মিশরে পৌছানোর পর মুসলিম সেনাপতিসহ সকল এলাকাবাসী চিঠিটি নিয়ে নদীতে নিক্ষেপ করেন। নদীতে নিক্ষেপ করার সাথে সাথে আশ্চর্যজনকভাবে নদীতে ১৬ হাত পানি চলে আসে। (পুরো ইতিহাস পড়তে- ক)http://bit.ly/2dhWnWB, খ)http://bit.ly/2cZ6Fak, গ)http://bit.ly/2cPLpEG) উপরের ইতিহাস অনুসারে নদীকে আলাদা শক্তি মনে করে নদীর কাছে ক্ষমা চাওয়া, ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা করা এ ধরনের বিষয়গুলো আসলে মুসলিম কালচারের সাথে মিলে না, কারণ মুসলমানরা নদীকে আলাদা কোন শক্তি মনে করে না। বিপরীতপক্ষে অন্যধর্মগুলোতে যেমন হিন্দু ধর্মে নদীকেও দেবতা মনে করা হয়। যেমন স্বরসতী আগে নদী ছিলো বলে বিশ্বাস করে হিন্দুরা। গঙ্গা নদীকে ডাকে মা-গঙ্গা বলে, অঞ্জলী বলে ফুল ভাসিয়ে দেয়। এছাড়া প্রাচীন গ্রিসে নদী-দেবতা হিসেবে অ্যাকিলাসকে স্মরণ করা হতো। প্রাচীন মিশরে ফারাওদের সময়ে যে নদ-নদীগুলোকে শক্তি বা দেবতারূপে স্মরণ করা হলো তা তো উপরের ইতিহাস থেকেই পাওয়া গেলো। আমার মনে হয় নদীকে ফুল দেওয়া কিংবা নদীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার মত কালচারগুলো হটাৎ করে মুসলমানদের মধ্যে কেন প্রবেশ করছে তা মুসলমানদের চিন্তা করা উচিত।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728