আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ এবং মুসলিম হত্যাকান্ড
আমেরিকায় ইমাম-মুয়াজ্জিন খুন, বাংলাদেশের সিলেটে ইমাম খুন,
কারণ- হেইট ক্রাইম
গত কয়েকদিন আগে আমেরিকার নিউইয়র্কে গুলি করে হত্যা করা হয় বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ইমাম মুয়াজ্জিনকে। পরে বের হয় এটা ছিলো হেইট ক্রাইম, খ্রিস্টানরা ইমাম-মুয়াজ্জিনকে হত্যা করেছে।
গতকালকে বাংলাদেশের সিলেটে হত্যা করা হয়েছে এক ইমাম সাহেবকে। অনেকের সন্দেহের চোখ ইসকন নামক একটি সংগঠনের দিকে। কারণ ইমাম সাহেব সিলেটে মুসল্লী-ইসকন সংঘর্ষ নিয়ে একাধিক স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। এরপরই কে বা কারা তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখে যায়। ধারণা করা হচ্ছে ইসকনই ক্ষোভ মেটাতে তাকে হত্যা করেছে।
কিছু কিছু মানুষ অবশ্য ভাবছে- ইসকন একটি সংখ্যালঘু সংগঠন, তারা কি সংখ্যাগুরুকে হত্যা করার সাহস করবে ??
যারা এ ধরনের ভাবনা ভাবছেন, তারা বোকার স্বর্গে বাস করেন। কারণ ইসকন কি পারে এবং কতদূর এগিয়ে গেছে সেটা আপনি চিন্তাও করতে পারবেন না। ইসকন দু‘একটা লাশ ফেলে দিলে আইনী ভয় করে না। কারণ তাদের আইনী রাস্তাঘাট সবই চেনা। ইসকনের বর্তমাস সভাপতিই হচ্ছে পুলিশের সাবেক ডিআইজি সত্য রঞ্জন বাড়ৈ। এছাড়া বর্তমান প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা একজন ইসকন সদস্য।
পাশাপাশি, সিলেটে পুলিশের বড় বড় পদগুলো সব হিন্দুদের দখলে। যেমন- সিলেট পুলিশের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার বাসুদেব ভৌমিক, সিনিয়র সহকারি পুলিশ কমিশনার দেবব্রত সিনহা চৌধুরী, সিনিয়র সহকারি পুলিশ কমিশনার ফালগুনী পুরাকায়স্থ, সিনিয়র সহকারি পুলিশ কমিশনার বিভুতি ভূষণ ব্যানার্জী, সহকারি পুলিশ কমিশনার রাজীব দাস, সহকারি পুলিশ কমিশনার শঙ্কর কুমার দাস, পুলিশ ইন্সপেক্টর মৃদুল রঞ্জন দাস, পুলিশ ইন্সপেক্টর রঞ্জন কুমার শর্মা । প্রশাসনে যাদের এত লোক তারা কি ভাবেন দু‘একটা লাশ ফেলাতে কার্পণ্য করবে ??
উল্লেখ্য বর্তমান সিলেটি মুসলমানরা সিলেটে বসে ঘুমিয়ে থাকলেও ইসকন হিন্দুরা ঢাকায় প্রেসক্লাবে এক সমাবেশে বলে গেছে- তারা সিলেটের মুসলমানদের দেখে ছাড়বে।
আসলে বর্তমানে ইসকন যে একশন দেখাচ্ছে সেটা বহুদিন পজিশন ঠিক করেই দেখাচ্ছে। অপরদিকে বোকা মুসলমানরা ঘুুমিয়ে ঘুমিয়ে ভাবছে- দূর ইসকন আর কি এমন হিন্দি চুল ফেলাতে পারবে ?
ঘুমিয়ে থাকো মুসলিমরা, খরগোশ যেভাবে ঘুমিয়ে ছিলো সেভাবে ঘুমাও, কচ্ছপ যে কখন সীমানা পার করেছে তা টেরও পাবে না।
’
No comments