মন্দিরের কীর্তণের জন্য কি জুমার নামাজটা একটু বন্ধ রাখা যায় না ?
সিলেটের মুসলমানরা এত সাম্প্রদায়িক কেন ? মন্দিরে কীর্তণের সময় কি জুমার নামাজটা একটু বন্ধ রাখা যেতো না ? একটু সহনশীল হলে তো আর এত মারামারি হতো না। সংখ্যালঘুদের কি অধিকার বলে কিছু নেই ??
আমরা হিন্দুরা কি ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের কম অধিকার দিযেছি ??
-ভারত জুড়ে গরু জবাই নিষিদ্ধ করে দিয়েছি। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় গরু জবাই করলে যদি ২ বছরের কারাদণ্ড হয়, তবে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় গরু জবাই করলে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছি। মুসলমানদের ঘরে যদি ছাগলের মাংশ পেয়েছি, তবুও ঘর থেকে টেনে হেচড়ে পিটিয়ে হত্যা করেছি।
-মুসলামানদের বলেছি- যদি সূর্য পূজা করতে পারো, বন্দে মাতরম গাইতে পারো তবেই ভারতে থাকতে পারবে, অন্যথায় নয়। আরো বলেছি- ভারতে থাকতে হলে হিন্দু হয়ে থাকতে হবে। আমরা মুসলমানদের শিক্ষা-দীক্ষা-চাকুরী থেকে বঞ্চিত করেছি।
-হিন্দু ভাইদের বলে দিয়েছি- মুসলিম মহিলারা মারা গেলে কবর থেকে তুলে ধর্ষণ করো। দাঙ্গার সময় হিন্দু বোনরা তাদের স্বামী-ভাইয়ের বালা খুলে দিয়ে বলেছে- মুসলমান নারীদের ধর্ষণ করো, নয়ত চুড়ি পরে থাকো।
- আমাদের হিন্দু নেতারা বার বার ঘোষণা দিয়েছে- সকল মুসলমানকে ভারত খেতে তাড়িয়ে দেওয়া হবে। আমরা জোর করে মুসলমানদের হিন্দু ধর্মে দিক্ষিত করেছি।
-কোন মুসলমানের কাছে যদি গরুর মাংশ আছে বলে সন্দেহ হয়েছে, তবে তাকে ধরে এনে গোবর খাওয়িয়ে দিয়েছি।
-আমরা সবাই মিলে এমন এক নেতাকে নির্বাচিত করেছি যে মুসলিম গণহত্যায় পটু। যাকে সবাই গুজরাটের কসাই বলে। আমাদের নেতা বলেছে- ‘কুকুর মরলে আমি কষ্ট পাই, কিন্তু মুসলিম মরলে পাই না।’
-৬৯ বছরে ১ লক্ষ দাঙ্গা করেছি। হায়দারবাদে ১০ লক্ষ মানুষ মেরেছি। গুজরাটে মায়ের পেট থেকে ভ্রুণ বের করে আগুনে নিক্ষেপ করেছি।
-সীমান্ত এলাকাগুলোয় মুসলমানদের বলেছি- তোমরা ভারতীয় নয়, তোমরা বাংলাদেশী। তোমরা আমাদের দেশ থেকে বের হয়ে যাও। আর পাশের দেশ বাংলাদেশের হিন্দুদের বলেছি- তোমরা আমাদের ভাই, তোমরা আমাদের দেশে আসো।
-আমরা শুধু মুসলমান হওয়ার জন্য সীমান্তে প্রতিদিন বাংলাদেশীদের হত্যা করেছি। আমরা প্রায় বাংলাদেশকে হুমকি দেই-তোমাদের দেশটা আমরা দখল করে নিবো। এই তো কিছুদিন আগে আমরা পশ্চিমবঙ্গের নামটাও চেঞ্জ করে ‘বাংলা’ করে নিয়েছি। উদ্দেশ্য যদি পাশের বাংলাটা আমাদের বাংলার মধ্যে ঢুকে যায়।
-আমরা ভারতে মুসলমানদের আযান নিষিদ্ধ করেছি, ঈদের ছুটি কেটে নিয়েছি, মুসলমানদের মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির বানিয়েছি। এবার তো ডাইরেক্ট কোরবানী নিষিদ্ধ করে দিয়েছি।
আমরা ভারতে মুসলমানদের এত অধিকার দিয়েছি, আর বাংলাদেশের মুসলমানরা আমাদের হিন্দুদের এতটুকু অধিকার দিতে চায় না ? মন্দিরে কীর্তণের সময় জুমার নামাজটা বন্ধ রাখলে এমন কি ক্ষতি হতো আপনি বলুন। মুসলমানরা কি কখনই সহনশীল হবে না ? আসলে মুসলমান মাত্র সাম্প্রদায়িক-জঙ্গী, এজন্যই এমনটা করতে পারে।
No comments