Header Ads

ad728
  • Breaking News

    হঠাৎ বাংলাদেশ জুড়ে ‘গীতা স্কুল উদ্ভোধন’, স্বার্থ কি ??



    গত কয়েক মাস ধরে সারা বাংলাদেশ জুড়ে গীতা স্কুল উদ্ভোধন করা হচ্ছে। জেলায় জেলায়, থানায় থানায় স্থাপিত হচ্ছে গীতা স্কুল। খবরে-
    ১) খুলনার কয়রায় গীতা স্কুল উদ্বোধন (http://bit.ly/2fKRSng)
    2) বগুড়ায় গীতা স্কুল ও ধর্মচর্চা কেন্দ্র উদ্বোধন (http://bit.ly/2fj5R0K)
    ৩) শ্রীমঙ্গলে একের পর এক চালু হচ্ছে গীতা স্কুল (http://bit.ly/2f1pagG)
    ৪) হবিগঞ্জে ২টি গীতা স্কুল উদ্ভোধন (http://bit.ly/2fKSAAW)
    ৫) চাদপুরে গীতা স্কুলের উদ্বোধন (http://bit.ly/2fm7k6F)
    ৬) উত্তর কাট্টলীতে দুটি গীতা স্কুল উদ্বোধন (http://bit.ly/2eGAhZA)
    প্রত্যেকটি গীতা স্কুলের উদ্ভোধন হয়েছে গত ৬ মাসের মধ্যে। খবরগুলোতে বলা হচ্ছে, শারোঞ্জলি ফোরাম, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদসহ কয়েকটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন এই স্কুলগুলোর পেছনে কাজ করছে।
    স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসতে পারে, এতকিছু থাকতে হিন্দুরা হঠাৎ করে বাচ্চাদের গীতা স্কুল খোলার দিকে মনোযোগ দিলো কেন ??
    এর কারণ- গীতা হচ্ছে হিন্দুদের যুদ্ধ চিন্তা জাগ্রত করা গ্রন্থ। এ সম্পর্কে হিন্দু ওয়েবসাই বলা হচ্ছে- “মহাভারতের একটি অংশের নাম গীতা । গীতা অর্থ গীত বা গান । কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধকে কেন্দ্র করে এই গান রচিত হয়েছিল । কৃষ্ণ (কাল) অর্জুন (সাদা) প্রতীকের মাধ্যমে কথোপকথন এই গানের বিষয়বস্তু । গীতার মতে যুদ্ধক্ষেত্র কুরক্ষেত্র, ধর্মক্ষেত্ররূপে স্বীকৃত । ধর্মক্ষেত্রে কুরুক্ষেত্রে সমবেত যুযুৎসব অর্জুন শুভ্র বা কোমল অন্তরের মানুষ । সে যুদ্ধ, হত্যা রক্তপাত পছন্দ করতো না । সে ছিলো যুদ্ধবিরোধী। অপরদিকে কৃষ্ণরূপে যাকে চিত্রিত করা হয়েছে সে ছিলো যুদ্ধের পক্ষে । হত্যা এবং ধ্বংস তার কাছে অতি সাধারণ বিষয় । অর্জুন যখন বললো, আমি যুদ্ধ করব না তখন কৃষ্ণ বললো হে পার্থ কাতর হইওনা । এই পৌরুষ হীনতা তোমাকে শোভা পায়না (২/৩)। প্রকৃত জ্ঞানী ব্যক্তিরা কি মৃত, কি জীবিত কাহারও জন্য শোক করেন না (২/১১) । গতানূগতা সূংশ্চনানু শোচন্তি পন্ডিত । অতএব তুমি যুদ্ধ কর (২/১৮) যুধ্যস্ব ভারত । ধর্ম যুদ্ধ অপেক্ষ ক্ষত্রিয়ের পক্ষে শ্রেয় আর কিছু নাই । ধর্মাদ্ধি যুদ্ধাচ্ছ্রেয়োহনাৎ ক্ষত্রিয়স্য নবিদ্যতে (২/৩১) হত বা প্রাপ্ন্যসি স্বর্গ জিত্বাবা ভোক্ষ্য সেম হীম (২/৩৭)এই যুদ্ধে হত হলে স্বর্গ লাভ আর জয়ী হলে পৃথি বীলাভ । এত সব লোভনীয় বক্তব্যের পরও অর্জুন অস্ত্র ত্যাগ করে বসে আছে ।”
    (http://bit.ly/2fm3b2L)
    সোজাভাষায় অর্জুনের প্রতি কৃষ্ণের যুদ্ধ করার উস্কানি গ্রন্থের নামই হচ্ছে গীতা। এ কারণে কয়েক বছর আগে রাশিয়াতে গীতাকে নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো। কারণ হিসেবে বলা হয়েছিলো- গীতা মানুষের মধ্যে উগ্রবাদ ছড়ায়।”(http://bit.ly/2fj7wU3)
    আর এখন বাংলাদেশের হিন্দু বাচ্চাদের সেই যুদ্ধ পদ্ধতি শেখানো হচ্ছে গীতা স্কুলগুলোর মাধ্যমে। কথা হচ্ছে- এই যুদ্ধ কার বিরুদ্ধে করবে তারা ?? উত্তর মুসলমানদের বিরুদ্ধে। তার মানে বাংলাদেশে বসে, বাংলাদেশের মুসলমানদের যুদ্ধের উস্কানি শেখাচ্ছে হিন্দুরা। আর হঠাৎ করে দেশজুড়ে গীতা স্কুল উদ্ভোধন হওয়ার মানে হিন্দুরা বাংলাদেশে বড় ধরনের দাঙ্গার প্রস্তুতিও নিচ্ছে।
    বলাবাহুল্য বাংলাদেশের অনেক এলাকায় এখন মুসলমানরা আরবি বই রাখতে পারে না। পুলিশ ধরে নিয়ে যায় জিহাদি বই বলে। অথচ হিন্দুরা এখন বাংলাদেশে বসে কুরুক্ষেত্রের (হিন্দুদের ধর্মীয় যুদ্ধ) ডাক দিচ্ছে। কিছুদিন আগে চট্টগ্রামে হিন্দুরা কুরুক্ষেত্রের শ্লোগান দিয়েছিলো। গতকাল প্রেসক্লাবে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-আদিবাসী পার্টি নামক একটি সংগঠন ক্যামেরা-পুলিশের সামনেই কুরুক্ষেত্রের ডাক দিয়ে শ্লোগান দেয়, আজকেও প্রেসক্লাবে-শাহবাগে হিন্দুরা কুরুক্ষেত্রের ডাক দিয়ে শ্লোগান দিয়ে। চট্টগ্রাম-ঢাকায় হিন্দুরা ঘরে ঘরে অস্ত্র মজুদের আহবান জানায়। চট্টগ্রামে গরু কোরবানী করলে মুসলমানদের জবাই করার হুমকি দেয়।
    আমি জানি এখনও বোকা মুসলমানরা হিন্দুদের মন্দির ভাঙ্গা হচ্ছে বলে কেদেকেটে বুক ভাসাচ্ছে। কিন্তু এটা যে হিন্দুদের কৌশল তা মুসলমানরা বুঝতেই পারেনি। হিন্দুরা মিথ্যা নাটক সাজিয়ে মুসলমানদের কোনঠাসা করছে, আর নিজ বাচ্চাদের কুরুক্ষেত্রের ট্রেনিং দিচ্ছে। আপনি নিজেও বুঝছেন না, কিভাবে আপনাকে পরাধীনতার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728