আমেরিকা খুব ভালো জাতি, খুব উন্নত জাতি, কিন্তু কেন ?

ইউরোপীয়রা যখন নতুন আমেরিকায় যায়, তখন শুরুতেই তারা চিন্তা করে - আমরা যদি সামনে এগিযে যেতে চাই, তবে পুরাতনকে মিটিয়ে দিতে হবে। কারণ পুরাতনকে যদি সঙ্গে রাখা হয়, তবে সেই পুরাতন ভবিষ্যতে তাদের পেছনে আটকে রাখবে। তাই পিছনের বাধন মানে আমেরিকার আদিবাসী রেড ইন্ডিয়ানকে সমূলে উৎপাটন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো মার্কিনীরা। গণহারে হত্যা করেছিলো রেড ইন্ডিয়ানদেরকে, রাখেনি কোন অস্তিত্ব। এমনকি কোন কোন বর্ণনায় পাওয়া যায় রেড ইন্ডিয়ানদের হত্যা করে তাদের মাংশ পর্যন্ত ভক্ষণ করতো মার্কিনীরা। আদিবাসী রেড ইন্ডিয়ানদের অস্তিত্ব শেষ, ব্যস এবার শুরু হোক নতুন আমেরিকার পথ চলা। একই ইতিহাস দেখা যায়, অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রে। বর্তমান অস্ট্রেলিয়রা আদিবাসীদের হত্যা করে সমূলে উৎপাটন করেছিলো। ইউরোপীয়দের দৃষ্টিতে ঐ আদিবাসীরা ছিলো অসভ্য, বর্বর, নানা ধরনের পৌত্তলিকতায় বিশ্বাসী। এই অসভ্য শ্রেনীকে বাচিয়ে রাখা, আর নিজ দেশের উন্নয়ন সংকুচিত করা একই কথা।
ব্যতিক্রম ছিলো মুসলমানরা। মুসলমানরা যখন ভারতবর্ষে আসে তখন সেখানে পায় অসভ্য বর্বর হিন্দু জাতিকে। হিন্দু জাতি এতটাই অসভ্য ও বর্বর যে, তারা নিজ নারীদের পোষাক পর্যন্ত পড়তে দিতে না, নারীদের স্বামী মারা গেলে মৃত স্বামীর সাথে জীবন্ত স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারতো, নারীদের যোনী পূজা করতো, পুরুষের লিঙ্গ পূজা করতো, পশুর মল-মূত্র ভক্ষণ করতো, নরবলী দিতো, নারীদের মন্দিরে আটকে রেখে ধর্ষণ করতো। মাটির মূর্তির হিংস্র রূপ বানিয়ে পূজা করতো। কিন্তু মুসলমানরা আমেরিকান বা অস্ট্রেলীয়দের রীতি অনুসরণ করেনি। হিন্দুদের হত্যা করেনি, বরং তাদের আদর-যত্ন করে গ্রহণ করেছিলো, তাদের আদব-ভদ্রতা শিখিয়েছিলো। এতে হয়ত তারা উপর দিয়ে কিছুটা আদব-ভদ্রতা শিখে, কিন্তু ভেতরে ভেতরে মুসলমানদের উপর শত্রুতা পোষণ করতে থাকে। এবং মুসলমানদের ফের এ অঞ্চল থেকে উৎপাটন করতে কলকৌশল করে। বর্তমানে ভারতবর্ষ যতটুকু পিছিয়ে আছে, তার পেছনে রয়েছে মুসলমানদের সেই ঐতিহাসিক ভুল। মুসলমানরা যদি ঐ সময় মার্কিন বা অস্ট্রেলিয়দের অনুসরণ করে স্থানীয় আদিবাসীদের উৎপাটন করতো তবে আজকে ভারতবর্ষ আরো অনেক উন্নত হতে পারতো।