জ্বলছে বি-বাড়িয়া, সারাদেশের মুসলমানরা চুপ কেন ? তোমাদের ধর্মের নাম কি ক্রিকেট খেলা ??

কাবা ঘরের ছবির উপর শিবের মূর্তির স্থাপনের ঘটনার জের ধরে আজকে সারাদিন উত্তপ্ত ছিলো বি-বাড়িয়া জেলা। জেলার প্রত্যেকটি রাস্তায় রাস্তায় সাধারণ জনগণ রাস্তায় নেমে এসেছে। কাবাঘরের অবমাননার ঘটনার প্রতিবাদ জানায় এবং দোষী হিন্দুত্ববাদীর ফাসির দাবি করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার র্যা ব-পুলিশ ও বিজিনি মোতায়েন করেছে। তবুও থেমে নেই বি-বাড়িয়ার মুসলমানরা।

কিন্তু অতি দুঃখের বিষয় বি-বাড়িয়া জেলা যখন দুঃখ-কষ্ঠে জ্বলছে, তখন সারা দেশের বাকি মুসলমানরা ঘুমিয়ে আছে, বাংলাদেশ ক্রিকেট খেলায় জিতেতে এই খুশিতে আনন্দে লাফাচ্ছে। অথচ উচিত ছিলো বাংলাদেশের প্রত্যেক আনাচে-কানাচে এই জঘন্য ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করা, প্রতিবাদ মিছিল করা, হিন্দুত্ববাদীদের ফাসির দাবি তোলা। প্রত্যেক ইসলামী সংগঠনের পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো, কিন্তু তার কিছুই করেনি কেউ।

আমি আপনাদের উদ্দেশ্যে বলছি- এখনও সময় রাস্তায় নামুন, প্রতিবাদ করুন, হিন্দুত্ববাদীদের বিচার চান।
মনে রাখবেন, এগুলো হচ্ছে টেস্টকেস। এরমাধ্যমে আপনার মধ্যে লুকিয়ে থাকা ধর্মীয় ও জাতিগত ভালোবাসার পরিমাণ পরিমাপ করছে সম্রাজ্যবাদীরা। যদি আপনি ফেল মারেন, তবেই শুরু যাবে তাদের আক্রমাণ।

আর সংখ্যাগুরু বলে কখনই আত্মতুষ্টি ভুগবেন না। কারণ-
কাশ্মীর কিন্তু সংখ্যাগুরু মুসলমানদের ছিলো, কিন্তু আজকে তা সংখ্যালগু হিন্দুরা দখল করে ফেলেছে; আরাকান এক সময় সংখ্যাগুরু মুসলমানদের ছিলো, কিন্তু এখন তা বৌদ্ধ সংখ্যালঘু রাখাইনরা দখল করে ফেলেছে;
উইঘুর সংখ্যাগুরু মুসলমানদের ছিলো, কিন্তু তা সংখ্যালঘু বৌদ্ধ হানরা (চীনা) দখল করে ফেলেছে;
প্যালেস্টাইন এক সময় সংখ্যাগুরু মুসলমানদের ছিলো, কিন্তু তা সংখ্যালঘু ইহুদীরা দখল করে ফেলেছে;
মিন্দনাও এক সময় সংখ্যাগুরু মরো মুসলমানদের দখলে ছিলো, কিন্তু তা এখন ফিলিপাইন দখল করে ফেলেছে;
হায়দ্রাবাদ সংখ্যাগুরু মুসলমানদের দখলে ছিলো, কিন্তু তা এখন সংখালঘু হিন্দুরা দখল করে ফেলেছে।

তাই বাংলাদেশে মুসলমানরা সংখ্যাগুরু আর হিন্দুরা সংখ্যালঘু বলে বাংলাদেশের মুসলমানরা কখন স্বাধীনতা হারাবে না, এটা বলা যায় না। অন্তত ইতিহাস এবং বর্তমানে বাংলাদেশের হিন্দু ও ভারতের আস্ফালন তা বলে না। সুতরাং সময় থাকতে রাস্তায় নামুন, অন্যায়ের প্রতিবাদ করুন, নয়ত পরাধীনতার শিকল ছাড়া আর উপায় থাকবে না।