শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের এক মহিলার প্রেগনেন্সির স্ট্যাটাস

গত কয়েকদিন ধরে, শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের এক মহিলা তার ফেসবুক আইডিতে- তার প্রেগনেন্সির ছবি দিচ্ছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে তার স্বামী তার পেটের মধ্যে কান পেতে আছে। ঐ মহিলা দাবি করছে- এর মাধ্যমে তার মাতৃত্বের প্রকাশ ঘটছে।
আমার যতদূর মনে পরে, এই মহিলা এর আগেও বলেছিলো- প্রত্যেক মহিলার উচিত নিজ পুত্রদের নিজের মাসিক সম্পর্কে ধারণা দেয়া । এছাড়া আরো বলেছিলো- প্রত্যেক মহিলার উচিত স্বামী-স্ত্রী দাম্পত্য সম্পর্কের মাধ্যমে কিভাবে সন্তান জন্ম হয়, তা সন্তানদের ধারণা দেয়া।

আসলে এই মহিলা যা শিক্ষাচ্ছে- সেটা পুরোটাই উল্টো সিস্টেম। এর উদ্দে্শ্য হচ্ছে, সোজা পথ থুয়ে সমাজকে বাকা পথে নিয়ে যাওয়া, সোজা ভাষায় সমাজে বিশৃঙ্খলতা সৃষ্টি করা।

যেমন- এই ছবির মাধ্যমে ঐ মহিলা প্রচার করতে চাইছে ‘মাতৃত্ব’। অথচ মহিলার পেটে কান লাগিয়ে আছে তার স্বামী। এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে- একটা ছবি দেখে মানুষের মনে কিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে সেটা নির্ভর করে ছবির কারেক্টারগুলোর সম্পর্কের উপর। যেমন ধরুন একজন মা তার সন্তানকে জড়িয়ে ধরে রেখেছে, এটা দেখে মানুষের মনে মা ও সন্তানের মমত্ব সম্পর্কে অনুভূতি সৃষ্টি হবে। আবার ধরুন, একজন হাসবেন্ড তার ওয়াইফকে জড়িয়ে ধরে রেখেছে, এটা দেখে কারো মনে করে কিন্তু মাতৃত্বের কথা আসবে না, আসবে দাম্পত্য সম্পর্কের কথা।

এখন একটা মহিলা তার স্বামীকে দিয়ে তার পেট ধরিয়ে, পেটে মাথা লাগিয়ে, পেটে মুখ লাগিয়ে ছবি আপলোড দিলো আর বললো এর মাধ্যমে তার মাতৃত্বের চেতনার বিকাশ ঘটছে, তবে কিন্তু ভুল হবে। কারণ তার হাজবেন্ডের সাথে তার মাতৃত্বের সম্পর্ক নয়, রয়েছে দাম্পত্যের সম্পর্ক।

আসলে এ ধরনের মহিলারা চায় সমাজে অসম পরিবেশ সৃষ্টি করতে, পুত্রকে মাসিকের কথা বলতে হবে, সন্তানকে বাবা-মা’র দাম্পত্য সিস্টেমের কথা বলতে হবে, অর্থাৎ এক যায়গার জিনিস আরেক যায়গায় লাগানো। ঠিক যেভাবে নাস্তিকরা সামনের অধিকার থুয়ে পেছনের অধিকার (সমকামীতা) চায়, ঠিক তেমন।

যে মহিলা মাতৃত্বের ছবির যায়গায় স্বামীর ছবি লাগিয়ে মানুষ মিস গাইড করে, সেই তো দুইদিন পর দাম্পত্যের ভাব প্রকাশে স্বামীর যায়গায় পুত্রের ছবি লাগাতে দ্বিধাবোধ করবে না। সমাজকে নষ্ট করা যার উদ্দেশ্য, সমাজকে ভালো জিনিস শেখাবে কিভাবে সে ??