বিপিএল খেলা এবং বাংলাদেশের মুসলমানদের অধ:পতন
বিপিএল উদ্ভোধন হচ্ছে আজ শুক্রবার, শেষ হবে শুক্রবার, মাঝে আরো ৪ শুক্রবার খেলা হচ্ছে। প্রত্যেকটা খেলাই মুসলমানদের বিশেষ ধর্মীয় নামাজ জুমার নামাজের সাথে কাছাকাছি সময়। যে মন দিয়ে ক্রিকেট খেলা দেখবে, তার পক্ষে মন দিয়ে নামাজ পড়াটা কঠিন। আপনাদের যদি বিশ্বাস না হয়, তবে আজকে মসজিদগুলো ঘুরে দেখুন, স্বাভাবিকের তুলনায় কম লোক হয়েছিলো কি না ? গত দুইসপ্তাহ টেস্ট ক্রিকেট থাকায় মসজিদগুলো প্রায় ৫০% শূণ্য ছিলো বলে জানিয়েছে অনেকে।
বিষয়গুলো যদি আপনারা স্বাভাবিকভাবে নেন তবে ভুল করবেন। এগুলো হচ্ছে ডিমোরাইজেশন স্টেজ। মুসলমানদের ডিমোরালাইজ করে দুর্বল করে দেয়া হয়, এরপর চাপিয়ে দেয়া হয় বিদেশী শত্রুদের। যেহেতু জাতি ডিমোরালাইজ তথা প্যারালাইজড তাই কিছু করার ক্ষমতা থাকে না তাদের।
আপনি হয়ত বলতে পারেন ‘ক্রিকেট পাগল জাতি আমরা’। না এগুলো আপনি বলবেন না প্লিজ, যে ইংল্যান্ড আপনাকে ক্রিকেট খেলা শিখিয়েছে, সে অনেক বুদ্ধি করেই শিখিয়েছে। বিশ্বাস না হয় দেখুন- ব্রিটেনের রানীর দুই নাতি প্রিন্স চালর্স ও প্রিন্স উইলিয়াম দুইজনেই অবসর পেলে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সাথে মিলে আফগানিস্তানে যায় মুসলমান মারতে, আর আপনাকে শিখাচ্ছে ক্রিকেট খেলা, এগুলো অবশ্যই এমনি এমনি নয়। আপনি কি কখন চিন্তা করার সাহস করেছেস, আপনি অবসর পেলে যাবেন কাশ্মীর-প্যালেস্টাইনের মুসলমানরে উদ্ধার করতে ? পারবেন না, সেই চিন্তার করার শাহসও তারা নষ্ট করে দিয়েছে। তাই খেলায় ব্রিটেনকে হারিয়েই আপনাকে সন্তুষ্ট থাকতে হয় কিন্তু বাস্তবতার দেখা কখন মিলবে না।
আমি জানি, আমার কথায় ক্রিকেট পাগল প্রজন্ম মাইন্ড করতে পারে। কিন্তু এতে আমার কিছু যায় আসে না। কারণ আমার চোখে ক্রিকেট পাগল প্রজন্মটা হচ্ছে জুয়ারী আর মাতালদের মত বিকারগ্রস্ত। জুয়ারী আর মাতালরা যেমন জুয়া-মদের নেশায় অলটাইম আসক্ত থাকে, জুয়া-নেশা করার জন্য প্রয়োজনের নিজের মাকেও বিক্রি করতে দ্বিধা করে না, ঠিক তেমনি ক্রিকেট পাগল প্রজন্মটা তাদের ক্রিকেটের নেশা মেটাতে দেশ-জাতিকে গোল্লায় ফেলতে রাজি, তবুও ক্রিকেট খেলা চাই চাই।
আপনি আমাকেও যতই বুঝান, আমি বুঝবো না। আমি বার বার বলবো- ক্রিকেট হচ্ছে মোরালিটি নষ্ট করার সবচেয়ে সহজ উপায় এবং এ কারণেই সম্রাজ্যবাদীরা মুসলিম দেশে এগুলোর বেশি বিস্তার ঘটাচ্ছে। মনে রাখবেন, আপনি যত ক্রিকেট ব্যস্ত থাকবেন, সম্রাজ্যবাদীদের ক্ষমতা তত দীর্ঘস্থায়ী হবে। দেখেন না বর্তমান বুদ্ধিমান সরকার অলটাইম ক্রিকেটকে প্রোমোট করে। সে চায় তার ক্ষমতা আরো দীর্ঘস্থায়ী হোক। এজন্য মিরাজকে বাড়ি বানিয়ে দেয়, সংসদে দাড়িয়ে ক্রিকেটারদের সুনাম করে, সবার আগে ক্রিকেটারদের সংবর্ধনা দেয়, মুক্তিযুদ্ধের সাথে ক্রিকেটের তুলনা করে । উদ্দেশ্য- মানুষ যেন ক্রিকেটে ভুলে থাকে, তার চুরি-দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী না হতে পারে, ফলশ্রুতি দীর্ঘস্থায়ী হবে তার অন্যায্য ক্ষমতা।
আপনি আমাকেও যতই বুঝান, আমি বুঝবো না। আমি বার বার বলবো- ক্রিকেট হচ্ছে মোরালিটি নষ্ট করার সবচেয়ে সহজ উপায় এবং এ কারণেই সম্রাজ্যবাদীরা মুসলিম দেশে এগুলোর বেশি বিস্তার ঘটাচ্ছে। মনে রাখবেন, আপনি যত ক্রিকেট ব্যস্ত থাকবেন, সম্রাজ্যবাদীদের ক্ষমতা তত দীর্ঘস্থায়ী হবে। দেখেন না বর্তমান বুদ্ধিমান সরকার অলটাইম ক্রিকেটকে প্রোমোট করে। সে চায় তার ক্ষমতা আরো দীর্ঘস্থায়ী হোক। এজন্য মিরাজকে বাড়ি বানিয়ে দেয়, সংসদে দাড়িয়ে ক্রিকেটারদের সুনাম করে, সবার আগে ক্রিকেটারদের সংবর্ধনা দেয়, মুক্তিযুদ্ধের সাথে ক্রিকেটের তুলনা করে । উদ্দেশ্য- মানুষ যেন ক্রিকেটে ভুলে থাকে, তার চুরি-দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী না হতে পারে, ফলশ্রুতি দীর্ঘস্থায়ী হবে তার অন্যায্য ক্ষমতা।
আমি তরুণ প্রজন্মকেই প্রথমে আহবান করবো- যদি দেশ ও জাতির ভালো চান তবে ক্রিকেটের নেশা থেকে সরে আসুন। অসম্ভব কিছু ভাববেন না, প্রথমে আপনি সরে আসুন এবং আওয়াজ তুলুন, দেখবেন আরো লাখো হাত আপনার স্বপক্ষে দাড়িয়ে গেছে।
No comments