অসাম্প্রদায়িকতার ভুত ও ইমোশোনালি ব্ল্যাকমেইল
একটা কথা এখন খুব প্রচলিত । সেটা হলো- “রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন”। রাগ করা কিন্তু সব সময় খারাপ না, মাঝে মাঝে রাগ দেখিয়ে অনেক কার্য সিদ্ধি করা যায়। কিন্তু তারপরেও বলা হচ্ছে ‘রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন’।
ঐ বিশেষ প্রবাদের সাথে আমি মিলিয়ে আরেকটা কথা বলবো- “ইমোশোনাল ব্ল্যাকমেইল হলেন তো হেরে গেলেন”। মুসলমানদের জন্য এই কথাটা এখন খুব প্রযোজ্য। মুসলমানরা ইমোশোনাল ব্ল্যাকমেইল হওয়ার মাধ্যমেই কিন্তু হেরে যায়। যেমন ধরুন, একটা যুদ্ধ চলছে। এমন সমন সময় প্রতিপক্ষের একজন মায়াকান্না জুড়ে দিলো। তখন যোদ্ধাদের মন গলে গেলো, ভাবলো থাক যুদ্ধ না করে ফেরত যাই, অপরকে দুঃখ দিয়ে লাভ কি। ঠিক সেই সময় অপরপক্ষ (যে পক্ষ কান্না করেছে) থেকেই মায়াকান্নায় ভুলা যোদ্ধাদের উপর আঘাত করে তাদের শেষ করা হলো। এখানে যোদ্ধাদের ভুল ছিলো- তারা যে উদ্দেশ্যে যুদ্ধ করতে এসেছে, সেটা সম্পন্ন না করে মায়াকান্না ভুলে গেলো মানে ইমোশোনালি ব্ল্যাকমেইল হলো।
গতকাল প্রথম পর্যন্ত বি-বাড়িয়ার পরিস্থিতি মুসলমানদের পক্ষে ছিলো। কিন্তু পরিস্থিতি ঘুরিয়ে দিলো-
Niharendu Chakraborty
Al Imran
Samia Jasmin
Zia Chowdhury
Mh Rahman
নামক বি-বাড়িয়ার কয়েকজন ও তাদের সহযোগীরা
Niharendu Chakraborty
Al Imran
Samia Jasmin
Zia Chowdhury
Mh Rahman
নামক বি-বাড়িয়ার কয়েকজন ও তাদের সহযোগীরা
এরমধ্যে নেতৃস্থানীয় হচ্ছে Niharendu Chakraborty যে প্রথমদিন মুসলমানদের আন্দোলনকে ‘হৈ চৈ’ এবং রসরাজ নিরাপরাধ বলে স্টাটাস দিয়েছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে সে ভোল পাল্টে মুসলমানদের ইমোশোনালি ব্ল্যাকমেইলের রাস্তা ধরে। সেই পথেইকয়েকজন মুসলমানকে পরিচালিত করে কথিত হিন্দু বাড়ি ভাঙ্গার অজুহাত দিয়ে মুসলমানদের দুর্বল করে দেয়। এরা প্রচার করলো-
-ইসলাম শান্তির ধর্ম
-হিন্দুর উপর অত্যাচার করা আমাদের নিষেধ
-আমাদের রাসূল বিদায় হজ্জের ভাষণে অমুসলিমদের প্রতি ভালো ব্যবহার করতে বলেছেন (শেষ সময় তিনি যে মুশরিকদের আরব থেকে বের করে দিতে বলেছিলেন, সেটা বলে না)
-আমাদের রাসূল মদিনায় ইহুদীদের সাথে এক সাথে মিলেমিশে ছিলেন (ইহুদীরা শর্ত ভঙ্গ করে শত্রুতা করায় তাদের যে জবাই করা হয়েছিলো সেই ইতিহাস বলে না)
-আমরা হিন্দুদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী
-হিন্দু মুসলিম ভাই-ভাই, আমরা অসমাম্প্রদায়িক, নাসিরনগর অসাম্প্রদায়িকতার রাজধানী
- যারা মন্দির ভেঙ্গেছে তাদের ধরিয়ে দেয়া হবে। তারা জঙ্গী
-ব্লা ব্লা
-ইসলাম শান্তির ধর্ম
-হিন্দুর উপর অত্যাচার করা আমাদের নিষেধ
-আমাদের রাসূল বিদায় হজ্জের ভাষণে অমুসলিমদের প্রতি ভালো ব্যবহার করতে বলেছেন (শেষ সময় তিনি যে মুশরিকদের আরব থেকে বের করে দিতে বলেছিলেন, সেটা বলে না)
-আমাদের রাসূল মদিনায় ইহুদীদের সাথে এক সাথে মিলেমিশে ছিলেন (ইহুদীরা শর্ত ভঙ্গ করে শত্রুতা করায় তাদের যে জবাই করা হয়েছিলো সেই ইতিহাস বলে না)
-আমরা হিন্দুদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী
-হিন্দু মুসলিম ভাই-ভাই, আমরা অসমাম্প্রদায়িক, নাসিরনগর অসাম্প্রদায়িকতার রাজধানী
- যারা মন্দির ভেঙ্গেছে তাদের ধরিয়ে দেয়া হবে। তারা জঙ্গী
-ব্লা ব্লা
ব্যস গেলো মুসলমানদের আন্দোলন ফিউজ হয়ে, এবার শুরু হিন্দুদের খেলা।“ মোল্লারা হিন্দুর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে ! ধর মোল্লাদের। মুসলমানদের এত বড় সাহস, সবগুলো জেলে ভর”, এবার কিন্তু হিন্দুদের কোন মায়া দয়া থাকবে না। যে দোষী আর কে নির্দোষ সেটার বিচার না করেই গণহারে তারা মুসলমানদের কষ্ট দেবে। আর বেকুব মুসলমানরা অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলে নিজের দলের শিকল নিজের গলায় পড়ে নিবে।
প্রত্যেকটা কাজের সিস্টেম লস বা ইরোর থাকে। নাসিরনগরে মুসলমানদের প্রতিবাদের সময় কিছু ঘটনা ঘটতেই পারে, কিন্তু সেটা দ্বারা পুরো ঘটনাকে নিস্তেজ করার কোন মানে হয় না। মনে রাখবেন হিন্দুরা কিন্তু এগুলো গোনাতেই ধরে না। মোদি গুজরাটে ২০০০ মুসলমানকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে, তাই বলে তাকে ভোট দেয়া যাবে না, এমন কোন বিশ্বাস হিন্দুরা কখনই পোষণ করেনি। বরং মুসলমানকে হত্যা করায় তারা খুশি হয়ে মোদিকে সর্বকালের সবচেয়ে বেশি ভোট দিয়ে জয়লাভ করিয়েছে। যে হিন্দুদের মনমানসিকতা এ জঘন্য, তাদের সাথে আপনি সমঝোতা করে পারবেন ? তাদের জন্য মায়া দেখিয়ে আপনি লাভবান হতে পারবেন ?? অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলে সে বরং আপনাকে লক্ষ্যচূত করে দিবে এবং এরপর সুযোগবুঝে আপনাকেই আক্রমন করে বসবে।
তাই আন্দোলনে নামলে কথিত অসাম্প্রদায়িকতা ভুলে যান, ন্যাকাকান্না ভুলে যান, অপরপক্ষের দ্বারা ভুলেও ইমোশোনালি ব্ল্যাকমেইল হবেন না। মনে রাখবেন- “ইমোশোনালি ব্ল্যাকমেইলি হলেন, তো হেরে গেলেন।”
No comments