৬ষ্ঠ শ্রেণীর ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ বইয়ের ৫৮ ভুল শুধরে নতুন করে করা হলো ২৪ ভুল
২০১৬ এর পাঠ্যপুস্তকের ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ বইয়ে ৫৮টি ভুল ধরিয়ে দেয়া হয়েছিলো (http://bit.ly/2hNxZxt)। সেই ভুল নিয়ে যখন বাংলামেইল২৪ এর সাংবাদিক এনসিটিবি চেয়্যারম্যান নারায়নচন্দ্র সাহাকে জিজ্ঞেস করলেন((http://bit.ly/2izwOyU)),
তখন নারায়ন চন্দ্র সাহা বললো- “আমি তো নতুন এসেছি, এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানার সুযোগ হয়নি। আপনি যদি একবার কারেকশন কপিটি দিয়ে যান, পরবর্তীতে ছাপার সময় আমরা সঠিকভাবে ছাপাতে পারব।”
এছাড়া এনসিটিবির প্রধান সম্পাদক প্রীতিশকুমার সরকার বাংলামেইল২৪ এর সম্পাদকে বলেছিলো-- “এ বইটিতে ভুল আছে এরকম কোনো অভিযোগ বা তথ্য আমাদেরকে দেননি। ”
যাই হোক এ বছর নতুন বইয়ে ঐ ৫৮টি ভুল শুধরানো হয়েছে। তবে নতুন বইয়ে আরো ২৪টি ভুল করা হয়েছে। এছাড়া বানান অস্পষ্ট করা হয়েছে ২টি স্থানে, এছাড়া প্রচলিত শব্দ বাদ দিয়ে অপ্রচলিত শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে ৭টি স্থানে, যা বাংলাভাষী শিক্ষার্থীদের আরবী ভাষা শিক্ষা করা আরো কঠিন করে তুলবে।
তখন নারায়ন চন্দ্র সাহা বললো- “আমি তো নতুন এসেছি, এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানার সুযোগ হয়নি। আপনি যদি একবার কারেকশন কপিটি দিয়ে যান, পরবর্তীতে ছাপার সময় আমরা সঠিকভাবে ছাপাতে পারব।”
এছাড়া এনসিটিবির প্রধান সম্পাদক প্রীতিশকুমার সরকার বাংলামেইল২৪ এর সম্পাদকে বলেছিলো-- “এ বইটিতে ভুল আছে এরকম কোনো অভিযোগ বা তথ্য আমাদেরকে দেননি। ”
যাই হোক এ বছর নতুন বইয়ে ঐ ৫৮টি ভুল শুধরানো হয়েছে। তবে নতুন বইয়ে আরো ২৪টি ভুল করা হয়েছে। এছাড়া বানান অস্পষ্ট করা হয়েছে ২টি স্থানে, এছাড়া প্রচলিত শব্দ বাদ দিয়ে অপ্রচলিত শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে ৭টি স্থানে, যা বাংলাভাষী শিক্ষার্থীদের আরবী ভাষা শিক্ষা করা আরো কঠিন করে তুলবে।
আসুন ২০১৭ সালের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বইয়ের ভুলগুলো দেখি-
১) পৃষ্ঠা-৩ : কালেমা তায়্যিবা লিখতে ২ বার ভুল হয়েছে, ১ স্থানে বানান অস্পষ্ট করা হয়েছে।
২) পৃষ্ঠা-৪ ও ৫ : কালেমা শাহাদাত লিখতে ৩ বার ভুল হয়েছে,
৩) পৃষ্ঠা-৬ : ইমান মুজমাল অধ্যায়ে শুরুতেই ভুল হয়েছে ১টি।
৪) পৃষ্ঠা-৯ : রিসালাত লিখতে বানান অস্পষ্ট করা হয়েছে ।
৫) পৃষ্ঠা-৩৫ : অপ্রচলিত শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, যা বাংলাভাষী শিক্ষার্থীদের আরবী ভাষা শিক্ষা করা আরো কঠিন হয়ে পড়বে।
৬) পৃষ্ঠা-৩৬ : বহুল প্রচলিত শব্দ ব্যবহার না করে অপ্রচলিত শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, যা বাংলাভাষী শিক্ষার্থীদের আরবী ভাষা শিক্ষা করা আরো কঠিন হয়ে পড়বে।
৭) পৃষ্ঠা- ৪৭ : হাদিস লিখতে ১টি ভুল ।
৯) পৃষ্ঠা- ৫৭ : সূরা ফাতিহা লিখতে ৬ নম্বর আয়াতে দুইটি ব্যকরণগত ভুল।
১০) পৃষ্ঠা-৫৯: সৃরা নাসের ১ম আয়াতে ১টি বড় ধরনের ভুল ।
১১) পৃষ্ঠা-৬১ ও ৬২ : সূরা ফালাক্বে ২টি ভুল (সব মিলিয়ে ৩টি) ।
১২) পৃষ্ঠা-৬৩ ও ৬৩ : সূরা হুমায়ায়ে ২টি ভুল (সব মিলিয়ে ৫টি ভুল)
১৩) পৃষ্ঠা- ৭১: হাদীস লিখতে ২টি ভুল, ২ স্থানে অপ্রচলিত শব্দের ব্যবহার, যা বাংলাভাষী শিক্ষার্থীদের আরবী ভাষা শিক্ষা করা আরো কঠিন হয়ে পড়বে।
১৪) পৃষ্ঠা-৮০ : হাদীস লিখতে ১টি ভুল।
১৫) পৃষ্ঠা-৮৩ : সূরা নহলের ৯০ নং আয়াত লিখতে ১টি ভুল। একটি হাদীস লিখতে ১টি ভুল।
১৬) পৃষ্ঠা-৮৮ : সূরা বাকারার ৪২ নং আয়াত লিখতে ১টি ভুল ।
১৭) পৃষ্ঠা-৮৯: ৩ স্থানে অপ্রচলিত শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, যা বাংলাভাষী শিক্ষার্থীদের আরবী ভাষা শিক্ষা করা আরো কঠিন হয়ে পড়বে।
ভুল ২৪টি, বানান অস্পষ্ট ২টি স্থানে, অপ্রচলিত শব্দ ব্যবহার করে আরো জটিল করা হয়েছে ৭ স্থানে । মোট সমস্যা ৩৩টি ।
যে বইটি নিয়ে এত বিতর্ক, সেই বইটিতে কেন বার বার কোরআন হাদীস লিখতে ভুল হবে ? এটাকি অনিচ্ছাকৃত ভুল নাকি ইচ্ছাকৃত ও উদ্দেশ্যমূলক মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া ?? এতবার বলার পরও যখন ভুল হয় তখন এসব ফালতু লোকগুলোকে দায়িত্বে রাখার মানেটা কি ?? এতবার ভুল হওয়ার কারণে অবশ্যই শিক্ষামন্ত্রী, এনসিটিবি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করা উচিত।
(পোস্টটি লিখতে সাহায্য করেছেন একটি মাদ্রাসার সিনিয়র আরবী শিক্ষক। তার মত হচ্ছে- “ এভাবে বিকৃত বানানে কোরআন হাদীস পড়লে একজন শিক্ষার্থী কুফরী করে ঈমানহারা হয়ে যাবে”)
------------------------------------------------------
--আমার নতুন পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)
No comments