Header Ads

ad728
  • Breaking News

    প্রসঙ্গ: সুপ্রীম কোর্ট অডিটোরিয়ামে অশ্লীল নৃত্যের আয়োজন : এক ভিখারীর কাছে জনগণের প্রত্যাশা থাকবেই বা কতটুকু ?


    `বিচারবিভাগের প্রতি আস্থা‘ কথাটা একজন নাগরিকের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। একজন নাগরিক যখন নিজ আশ্রয়ের জন্য সর্বোচ্চ প্রয়োজন অনুভব করেন, তখন সংবিধান মতে তার শেষ আশ্রয়স্থল হলো বিচারবিভাগ এবং আরো স্পষ্ট করে বলতে সুপ্রীম কোর্ট। অর্থাৎ সংবিধান মতে জনগণের চাওয়া-পাওয়ার চূড়ান্ত আশ্রয়স্থল সুপ্রীম কোর্ট। এমনকি কোন নাগরিক যদি সরকার-প্রশাসনের থেকেও অবিচার পায়, তবে এই সুপ্রীম কোর্টে বিচার দিতে পারে। সে দিক থেকে বিবেচনা করলে বিচারবিভাগের হওয়া উচিত সর্বোচ্চ নৈতিকতা সমৃদ্ধ ও জনদরদী। কিন্তু দুঃখের বিষয় বিচারবিভাগ ও তার সংশ্লিষ্ট মানুষগুলোর বিভিন্ন কার্যাবলী কিন্তু সেই কথা বলে না।
    সম্প্রতি হাইকোর্ট থেকে এক রায়ে ভারতীয় টিভি চ্যানেল এর বিরুদ্ধে রিট খারিজ করে দেয়া হয়েছে। বিচারকগণ ভারতীয় টিভি চ্যানেলের পক্ষে। এই সময় ভারতীয় টিভি চ্যানেলের পক্ষে শুনানির সময় সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু বলেছিলো- `স্টার জলসা ও স্টার প্লাসে প্রদর্শিত সিরিয়ালে কোনো প্রকার অশ্লীল দৃশ্য প্রদর্শিত হয় না। এসব সিরিয়াল প্রদর্শন করার কারণে সমাজের তেমন কোনো ক্ষতি হয় না বরং সমাজ ও সংসার জীবনের বাস্তব কিছু চিত্র এখানে মাত্র তুলে ধরা হয়।‘
    আব্দুল মতিন খসরুর সাথে তাল মিলিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলে, ‘মাই লর্ড আমি ও আমার স্ত্রী একসঙ্গে বসে এসব ভারতীয় সিরিয়াল দেখি। এসব সিরিয়ালে সংসার জীবন ও পরিবারের নানা সুবিধা ও অসুবিধার চিত্র তুলে ধরা হয়। এখানে আমি খারাপের কিছুই দেখি না। (http://bit.ly/2ks00M7)
    শুনানির এক পর্যায়ে নাকি সেকেন্ড জাজ জে বি এম হাসানও বলে উঠে- ভারতীয় টিভি সিরিয়ালে শিক্ষনীয় অনেক কিছু আছে, আমি এখানে খারাপ কিছু দেখি না।
    বিষয়গুলো আলোচনা করলাম এই কারণে, যাদের কাছে জনগণের অনেক চাওয়া-পাওয়া দাবি করছে, তাদের (হোক জাস্টিজ বা উকিল) নৈতিক অবস্থানটা আসলে কোথায় ?? মানে- বিচারবিভাগের শীর্ষলোক নিজেরাই কতটুকু নৈতিকতা সম্পন্ন, যার কাছে জনগণ কিছু চাইতে পারে ??
    প্রিয় পাঠক ! আপনাদের মনে থাকার কথা, গত বছর ভারত থেকে একটা হাতি বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছিলো। বহুঘটনার শেষে হাতিটি মারা যায়। এরপর এই সুপ্রীম কোর্টের এক আইনজীবি ভারতীয় হাতিটিকে সম্পূর্ণ সম্মান না করা এবং অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে মর্মে ১ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট দায়ের করে। http://bit.ly/2kUlBwE
    লক্ষ্যণীয়- প্রতিদিন বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অনেক বাংলাদেশী হত্যা করে ভারতীয় বিএসএফ, কিন্তু সেটা নিয়ে রিট দায়ের হয় না, কিন্তু ভারতীয় হাতি মারা গেলে সুপ্রীম কোর্টের উকিলরা লাফালাফি শুরু করে, সত্যিই হতবাক হওয়ার মত বিষয়। কেউ হয়ত বলতে পারেন- উকিলের দায়ের করা মামলার দায় তো বিচারবিভাগের কাছে আসবে না। সেটা ঠিক, কিন্তু এই উকিলদেরকেই তো সুপ্রীম কোর্ট থেকে পারমিশন দেয়া হয় প্রাকটিস করার জন্য, তাহলে তারা বিচারবিভাগের বাইরে কেন ?
    এবার আসি বিচারের কথিত রক্ষক বিচারপতিদের কাছে। তাদের হাতে এত ক্ষমতা, তারা যদি কখন পেপার-পত্রিকা পড়ে মনে করে, অমুক বিষয়টি জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে যাচ্ছে, তবে তারা স্বপ্রনদিত হয়ে আদেশ দিতে পারে। তাই মাঝে মাঝে দেখা যায় বিচারপতিরা স্বপ্রনদিত হয়ে রায় দিচ্ছে। কিন্তু কি তাদের আদেশ ?
    ১) হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলার ব্যবস্থা কী: হাইকোর্ট
    (লিংক- http://archive.is/3M890)
    ২) মোহনগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব হরিনাম সংকীর্তন নির্বিঘ্ন করার নির্দেশঃ হাইকোর্ট
    (লিংক- http://archive.is/STyHZ)
    ৩) হিন্দু জমি দখলে জড়িতদের গ্রেফতারে হাইকোর্টের নির্দেশ
    (লিংক- http://archive.is/0cbMQ)
    ৪) সাঁথিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
    (লিংক- http://archive.is/v5ugm)
    ৫) হিন্দু নারী নির্যাতন : লালমনিরহাটের সাবেক এসপি-ওসিকে তলব হাইকোর্টের
    (লিংকhttp://archive.is/wPqcH)
    বলাবাহুল্য সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্ম ইসলামের বিরুদ্ধে অনেক কিছুই প্রকাশ্যে হচ্ছে, কিন্তু সেটা নিয়ে হাইকোর্ট জাস্টিস স্বপ্রণদিত হয় না, এমনকি মুসলমান কষ্ট করে রিট করলে তা বাতিল করে দেয়, কিন্তু হিন্দুদের কিছু হলে গায়ে জ্বালা ধরে যায় তাদের।
    সম্প্রতি সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গনে কথিত গ্রীক দেবির মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। সমস্ত জাস্টিজরা চীফ জাস্টিজের নেতৃত্বে হাতে তালি দিয়ে এই গ্রিক দেবীর মূর্তি উদ্বোধন করে। বলাবাহুল্য এই গ্রিক দেবীর মূর্তির সাথে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নাই।
    উল্লেখ্য গতকালকে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে সুপ্রীম কোর্ট বন্ধ ঘোষনা করে একত্রে সবাই মিলে পূজা করেছে। যদিও সরস্বতী পূজা উপলক্ষে সুপ্রীম কোর্ট বন্ধ করার প্রশ্নই আসে না, কিন্তু তারপরও করা হয়েছে। বলাবাহুল্য সরস্বতী পূজা উপলক্ষে ভারতের সুপ্রীম কোর্টও ছুটি হয় না। ভাবখানা এমন- বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট এখন ভারতের থেকে অধিক হিন্দুত্ববাদী।
    এর অবশ্য কারণ আছে। কারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের বাংলাদেশে বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে বসানো হয়েছে এক নিচু শ্রেণীর হিন্দুকে। যারা কোর্ট সম্পর্কে খোঁজ খবর রাখেন তারা জানেন, দুর্নীতিবাজ ও ঘুষখোর হিসেবে এসকে সিনহার কুখ্যাতি ছিলো অনেক আগে থেকে। কিন্তু সে লোক যে প্রধান বিচারক হয়ে যাবে সেটা কেউ ধারণা করতে পারেনি। জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলার উপজাতি বিষ্ণুপ্রিয়া হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত এসকে সিনহা একজন গোড়া ইসকন সদস্য, বাংলাদেশ ঘুড়ে ঘুড়ে ইসকন মন্দির উদ্ভোধন যার অন্যতম প্রধান কাজ। অনেকে হয়ত জানেন, মৌলভীবাজারের নিচু শ্রেণীর উপজাতি হিন্দুরা সাধারণত চাবাগানের শ্রমিক হিসেবে কাজ করে । এসকে সিনহার বাবাও সে কাজ করতো। তবে এসকে সিনহার বাবা যে ব্যক্তি (রাগীব আলী)-র চাবাগানে কাজ করতো, তার এসকে সিনহা কড়ায় গণ্ডায় মিটিয়ে দিয়েছে। রাগীব আলীর থেকে ১৩০০ বিঘা সম্পত্তি কেড়ে রাগীব আলীকে বৃদ্ধি বয়সে স্বপরিবারে জেলে ভরে দিয়েছে। কয়েকদিন আগে কোর্টের স্ট্যাফ নিয়োগের ক্ষেত্রে মৌলভীবাজার থেকে নিয়োগকৃতদের ১০০% হিন্দু নিয়োগ দেয়া হয়। (http://bit.ly/2kU5lMe) শুধু কি তাই ? সম্প্রতি রাষ্ট্রপতির কাছে নতুন নিয়োগ হবে বলে ২৬ জন সম্ভাব্য বিচারপতির নাম গেছে। রাষ্ট্রপতি নিজেই অবাক হয়ে ফাইল আটকে দিয়েছে, কারণ যাদেরকে প্রমোট করা হয়েছে তাদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু, এমনকি রাষ্ট্রপক্ষে কৌশুলীদের মধ্যে যাদের অফার করা হয়েছে তাদের ৫ জনের মধ্যে ৫জনই হিন্দু (http://bit.ly/2kt5G83)। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, এসকে সিনহা নিজের মুখেই স্বীকার করেছে ৭১ সালে রাজাকার মানে শান্তি কমিটির সদস্য ছিলো (http://bit.ly/2kjXxjC), সাবেক বিচারক মানিকও তার বক্তব্যের সত্যতা দিয়েছে (http://bit.ly/2kVQrld)।
    যাই হোক অনেক কথা হলো। সবশেষে বলবো, সম্প্রতি সুপ্রীম কোর্টের অডিটোরিয়ামে অশ্লীল নৃত্যের প্রদর্শনী দেখে (http://bit.ly/2kt7ttD) অনেকেই অবাক হয়েছেন। ভেবেছেন- গ্রামগঞ্জে অজো পাড়াগায় যাত্রাপালায় হলে এটা মেনে নেয়া যায়, কিন্তু তাই বলে দেশের সর্বোচ্চ বিচারবিভাগে ?? এটাও কি সম্ভব ??
    আসলে অবাক হওয়ার কিছু নেই, এই অশ্লীল নৃত্যই বর্তমানে বিচারবিভাগের চরিত্রের আসল প্রতিফলন। এটাই তাদের নৈতিকতার গোমর। এদের কেউ হয়ত ঢাকা ক্লাবে গিয়ে মদ-মহিলা খায়, আর কেউ বা কোর্ট প্রাঙ্গনেই খাওয়া শুরু করে। নৈতিকতার দিক থেকে এরা নিজেরাই ভিখারী, এদের থেকে জনগণের প্রত্যাশার কিছু অবশিষ্ট থাকতে পারে না।
    ---------------------------------------------------
    --আমার নতুন পেইজ Noyon Chatterjee 5
    (https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
    --পেইজ কোড- 249163178818686 ।

    --আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728