Header Ads

ad728
  • Breaking News

    মালিবাগ ফ্লাইওভার ধস

    খবর শুনলাম, মালিবাগ ফ্লাইওভার নাকি ধসে পড়েছে। বেশ কয়েকজন মারাও গেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত যে গার্ডার ধসে পড়েছে, সেটা এখন তোলা হচ্ছে না, কারণ তার নিচে ঠিক কতজন ভর্তা হয়ে আছে তার সঠিক সংখ্যা বের হয়ে যাবে। উল্লেখ্য এর আগে গত বছর মার্চে এই ফ্লাইওভার থেকেই মাথায় রড পড়ে এক যুবক নিহত হয়েছিলো (http://bangla.samakal.net/2016/03/16/199899)।
    যাই হোক, মালিবাগ ফ্লাইওভারটি বানাচ্ছে তমা কন্সট্রাকশন নামক একটা কোম্পানি। তমা গ্রুপের চেয়্যারম্যান হিসেবে আতাউর রহমান ভূঁইয়া (মানিক) নামক একটা লোককে সামনে দেখানো হলেও মূল মালিক আওয়ামীলীগের মির্জা আযম (পাট ও বস্ত্রপ্রতিমন্ত্রী) ও জাহাঙ্গীর কবির নানক। যতদূর জানা যায়, তমা প্রথমে একটা রিয়েল স্টেট কোম্পানি ছিলো, ছোট ছোট ফ্ল্যাটবাড়ি বানাতো। কিন্তু আওয়ামীলীগের ফ্লাইওভার আমলে তার পোয়াবাড়ো শুরু হয়। একের পর এক বিরাট বিরাট ফ্লাইওভারের কাজ পেয়ে যায়, যদিও তা বানানোর বিন্দুমাত্র অভিজ্ঞতা তার নেই।
    আসলে তমা মূল কাজ কখনই করে না। সে অনেকটা দালাল টাইপের কোম্পানি। কাজ নেয়, এরপর সেটা ভারতীয় কোম্পানিকে দিয়ে করায়। যেমন- যাত্রাবাড়ি ফ্লাইওভার। মূল টেন্ডার নেয় তমা গ্রুপ। কিন্তু ভেতরে কাজ করে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান সিমপ্লেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারাল লিমিটেড এবং নির্মাণ কাজের ব্যবস্থাপনা করে লাসা নামে ভারতের আরেকটি কোম্পানি। যতটুকু জানতে পেরেছি মালিবাগ ফ্লাইওভারও একই রকম। মূল কাজ নিয়েছে তমা গ্রুপ, কিন্তু আড়ালে রয়েছে অন্যকোন ভারতীয় কোম্পানি।
    উল্লেখ্য, এই ফ্লাইওভারের যতটুকু না গুরুত্ব আছে, তার থেকে বেশি গুরুত্ব হচ্ছে আওয়ামী নানক গংদের টাকা পয়সা মারার গুরুত্ব। যত ফ্লাইওভার তত টাকা, যদিও মানুষের তা প্রয়োজন না থাকুক, মানুষকে হাজারো কষ্ট দিক। কিংবা ফ্লাইওভার যথাযথ না হোক, টাকা হলেই হলো।
    ইতিমধ্যে খবর বেড়িয়েছে, পৃথিবীর অন্যতম ব্যয়বহুল মালিবাগ-মৌচাক ফ্লাইওভার নকশায় ভুল হয়েছে, মূল গুরুত্বই বাতিল, কিন্তু তারপরও নানক গং সফল। উল্লেখ্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের একটা মাত্র ছেলে, একটা মাত্র মেয়ে। ছেলেটা রোড এক্সিডেন্টে মারা যায়, মারা যাওয়ার সময় তার রেখে যাওয়া রেসিং কার সংখ্যা ছিলো ৭০ এর উপর । শুনেছি জাহাঙ্গীর কবির নানকের মেয়েকে ১-২ সপ্তাহের পর পর ব্রিটেন যেতে হয় সুটকেসে করে টাকা রাখার জন্য। জাহাঙ্গীর কবির নানকের নাকি ভারত কানেকশন খুব ভালো, বিডিআর বিদ্রোহের সময় কথিত সমঝোতা নাটকের সময় এই নানককেই দেখা গিয়েছিলো সামনে।
    আবার ফ্লাইওভার প্রসঙ্গে আসি। মালিবাগ ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ সম্পর্কে যেটা জানা যায়, প্রচণ্ড ব্যস্ত মালিবাগ-মৌচাক-মগবাজার-রাজারবাগ-শান্তিনগর রাস্তায় মানুষের মাথার উপর দিয়েই চলছে কাজ। নিচে হাজার হাজার মানুষ, উপর দিয়ে ক্রেন দিয়ে তোলা হচ্ছে গার্ডার। রাত নাই, দিন নাই ভারি কাজ চলছে। স্বাভাবিকভাবে একটু চিন্তা করুণ- একটা সামান্য এপ্যার্টমেন্টে কাজ হচ্ছে, সেখানে রাষ্ট্রীয় নির্দেশনা থাকে সব ধরণের সিকিউরিটি নেয়ার জন্য। লেখা থাকে- সিকিউরিটি ফার্স্ট। ভারি জিনিস উপর থেকে পড়তে পারে, ইলেকট্রিক লাইন, ক্রেন আনুসাঙ্গিক সব বিপদজনক বিষয় ঘটতে পারে এমন স্থানে চলাচল নিষিদ্ধ থাকে। অথচ এসব ফ্লাইওভারের ক্ষেত্রে দেখা যায় ব্যক্তিক্রম। উপর দিয়ে ভারি কাজ চলছে, নিচে দিব্বি চলছে হাজার হাজার মানুষ। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এটা কিভাবে সম্ভব ? এটা কি কোন সভ্য রাষ্ট্রের কাজ হতে পারে ??
    কিছুদিন আগে ঢাবির সামনে দিয়ে পাতাল রেলের বিরোধীতা করেছিলো ঢাবি শিক্ষার্থীরা। এ সময় সরকার অস্ট্রেলিয়া থেকে এক বিশেষ অজ্ঞকে ভাড়া করে নিয়ে আসে। সে বলে- অস্ট্রেলিয়ার মত উন্নত দেশে ভার্সিটির সামনে পাতাল রেল থাকলে, বাংলাদেশে সমস্যা কি ?? অথচ ভাড়া করা ঐ বিশেষ অজ্ঞটা জানে না, পুরো ৭৬ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যা আড়াই কোটি, আর মাত্র ৩০০ বর্গ কিলোমিটারের ঢাকা সিটির জনসংখ্যাও আড়াই কোটি। সুতরাং এত বিশাল ঘনত্বের ঢাকা শহরে ফ্লাইওভার বা পাতাল রেল বানানো যে সুস্থ মাথার লক্ষণ বহন করে না, এটা বোঝা উচিত।
    বাংলাদেশে যেটা হচ্ছে, সেটা হলো কেন্দ্রীভূতকরণ, মানে শুধু ৩০০ বর্গকিলোমিটারকে কেন্দ্র করে কথিত উন্নয়নের নামে লুটপাটকরণ। সব উন্নয়ন শুধু ঢাকাকে কেন্দ্র করে হবে। মনে হচ্ছে, ঢাকা হচ্ছে পশ্চিম পাকিস্তান, আর বাকি দেশটা পূর্ব পাকিস্তান। আগে যেমন পূর্ব পাকিস্তান থেকে সম্পদ দিয়ে শুধু পশ্চিম পাকিস্তানকে উন্নত করা হতো, আর এখন সারা বাংলাদেশ থেকে টাকা নিয়ে শুধু ঢাকাকে উন্নত করা হয়। কি আছে ঢাকার বাইরের জেলা শহরগুলোতে বলুন তো ?? না আছে ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, না আছে ভালো হাসপাতাল,না আছে চাকুরী-ব্যবসার সুযোগ। সরকার চাইলেই ঢাকা শহরকে বাইরে অন্য জেলাশহরকে উন্নত করতে পারে। কিন্তু করে না, কয়েকটা কারণে-
    ১) সবকিছুকে ঢাকা কেন্দ্রীকরণ, এতে দেশ নিয়ন্ত্রণ করা সোজা। কারণ পুরো দেশের উপর নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন, কিন্তু ঢাকার সামান্য এলাকার মধ্যে মূল ক্ষমতা নিয়ে আসলে শাসন চালনা সোজা।
    ২) খুব কম এলাকা থেকে বেশি টাকা মারা যায়, পুরো দেশ থেকে মারাটা কঠ্নি।
    ৩) বিদেশী কুবুদ্ধি ।
    সবশেষে বলবো- সরকার যানজটের অজুহাত দিয়ে যতই ফ্লাইওভার নির্মাণ করুক, ফ্লাইওভার কখনও জানজটের সমাধান হতে পারে না। যানজটের একমাত্র সমাধান ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ, জনসংখ্যাকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেয়া, সুষম বণ্টন। জনসংখ্যাকে যদি দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেয়া যায়, যানজট কিংবা জনসংখ্যা কোন সমস্যাই থাকে না। কিন্তু সরকার সেটা করতে নারাজ। সরকার নিজেও চায় যানজট সমস্যা টিকে থাকুক, কথিত জনসংখ্যা সমস্যা টিকে থাকুন। এজন্য দেড় লক্ষ বর্গকিলোমারকে সীমবদ্ধ করা হয়েছে মাত্র ৩০০ বির্গকিলোমিটারের ঢাকার মধ্যে, আর এতেই ঘটেছে বিপত্তি, বাধছে যানজট, আর সেই যানজটের অজুহাতে কাড়ি কাড়ি টাকা কামিয়ে বিদেশ ব্যাঙ্ক ভড়ছে নানক গংরা।
    ছবি : মৌচাক-মালিবাগ ফ্লাইওভার ভেঙ্গে পরার কিছু ছবি।





    ---------------------------------------------------
    --আমার নতুন পেইজ Noyon Chatterjee 5
    (https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
    --পেইজ কোড- 249163178818686 ।

    --আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728