ভুল তথ্যের উপর ভিত্তি করে মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ইউনেস্কোর ঐতিহ্য নির্ধারণ
ভুল তথ্যের উপর ভিত্তি করে কথিত মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে জাতিসংঘের ইউনেস্কো। ইউনেস্কো কেন মঙ্গল শোভাযাত্রাকে Intangible Cultural Heritage হিসেবে ঘোষণা করলো তার ঐতিহাসিক তাতপর্য হিসেবে বলা আছে-
`the tradition of Mangal Shobhajatra began in 1989 when students, frustrated with having to live under military rule, wanted to bring people in the community hope for a better future.` (http://bit.ly/2oBrEnF)
অর্থাত এরশাদের মিলিটারি রুলে কারণে ছাত্ররা হতাশাগ্রস্ত ছিলো এবং ভবিষ্যতে মঙ্গল কামনায় এই মঙ্গল শোভাযাত্রা তারা শুরু করে।
কিন্তু এই ইতিহাস সম্পূর্ণ ভুল। ইতিহাস বলছে- ১৯৮৯ সালে চারুকলায় এই কথিত শোভাযাত্রা যখন শুরু হয়, তখন তার নাম মঙ্গলশোভাযাত্রা ছিলো না, ছিলো `বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা‘। মঙ্গলশোভাযাত্রা নাম করণ করা হয় ১৯৯৬ সালে। তখন মোটেও মিলিটারি শাসন ছিলো না, ছিলো গণতান্ত্রিক সরকার।
(তথ্যসূত্র: ক) wiki- http://bit.ly/2nCQDJG, খ) বাঙালির বর্ষবরণ মিলন মেলায়, দৈনিক আজকের কাগজ, ১৬ এপ্রিল ১৯৯৬। পৃ ২)
তাছাড়া এই বর্ষবরণ জাতীয়করণ, পৃষ্ঠপোষকতা কিংবা রাষ্ট্রীয় ছুটি ঘোষণা সবটাই করেছে মিলিটারি শাসক এরশাদই। এরশাদই ১৯৮৭ সালে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা করে। (তথ্যসূত্র: ক-http://bit.ly/2nCUgPD , খ- বৈশাখ এলেই উজ্জীবিত এরশাদ, দৈনিক যায় যায় দিন, এপ্রিল ১৬, ২০১৪)
দেখা যাচ্ছে, ইউনেস্কোর ওয়েবসাইটে `মিলিটারি শাসনের বিরুদ্ধে হতাশাগ্রন্ত হয়ে মঙ্গল কামানায় মঙ্গলশোভাযাত্রা চালু করে‘ এই ইতিহাস সম্পূর্ণ ভুল, বরং বলা যায় মিলিটারি শাসকের পৃষ্ঠপোষকতায় খুশিতে উজ্জিবিত হয়ে চারুকলার ছাত্ররা আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে। এ কারণে তার নাম করা হয় আনন্দ শোভাযাত্রা।
তাই ইউনেস্কোর যে তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে কথিত মঙ্গলশোভা যাত্রাকে ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে তা সম্পূর্ণ ভুল ও ভুয়া।
--আমার নতুন পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)
No comments