হলি নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া: নারীর শ্লীলতাহানী হোলি উতসবের প্রধান অঙ্গ
পুরুষের আপত্তিকর স্পর্শে আজ কলঙ্কিত হয় শ্রীকৃষ্ণের ব্রজধাম
ব্রজধামে কৃষ্ণের হোলি খেলার গল্প সকলের জানা। হোলির সময় সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় হোলি খেলা হয়। কিন্তু বৃন্দাবনের ব্রজধামের হোলি উৎসব সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এইখানেই স্বয়ং কৃষ্ণ তাঁর সখা সখীদের সঙ্গে রঙের লীলায় মাততেন। গোপিনীদের পিছনে লাগতে পটু ছিলেন কৃষ্ণ। তাতে গোপিনীরা রেগে গেলেও কৃষ্ণের দিক থেকে কখনই মুখ ফিরিয়ে নিতে পারতেন না। বরং কৃষ্ণ তাদের বিরক্ত করলে তাদের মনে মনে ভালোই লাগতো।
বৃন্দাবনের ব্রজধামে এরকম কৃষ্ণ আজও অনেক দেখা যায়। ব্রজধামের হোলি উৎসবে উপস্থিত পুরুষদের উদ্দেশ্যই থাকে মহিলাদের বিরক্ত করা, পিছনে লাগা। তার পরিবর্তে মহিলারা লাঠি দিয়ে পুরুষদের মারেন। এসবই উৎসবের অংশ হিসেবে চলে। লাঠি দিয়ে মারা হয় বলে একে বলা হয় ‘লাঠ মার হোলি’।
স্থানীয় মহিলারা হোলিতে পুরুষদের থেকে অভ্যস্ত কারন এরকমটাই চলে আসছে বছরের পর। হোলির সময় সাংবাদিক, ফটোগ্রাফার সহ বহু মানুষ বৃন্দাবনের ব্রজধামে হোলি কাটাতে চান। সেরকমই লেখিকা মেঘনা শঙ্খ ও দীপ্তি আস্থানাও হোলি উৎসব দেখতে ব্রজধামে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা শুনলেই কোনও মহিলাই এই সময় বৃন্দাবনে যেতে চাইবেন না।
হোলির সময় বৃন্দাবনে কোনও মহিলা যাওয়া মানেই শ্লীলতাহানির শিকার তাকে হতেই হবে এবং একে উৎসবের অঙ্গ হিসেবেই দেখা হয়। মহিলাদের শরীরে আপত্তিকর ভাবে হাত দিয়েই পুরুষরা ‘বিরক্ত’ করে মহিলাদের। নন্দগাঁওতে গিয়ে এরকমই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলেন মেঘনা শঙ্খ। মেঘনা জানিয়েছেন, “আমরা যখন এলাক্য উপস্থিত ছিলাম কয়েকজন পুরুষ এসে আমার এবং আমার বান্ধবীদের নিতম্বে পিচকারি দিয়ে রঙ ছুঁড়তে লাগে”। এছাড়াও সরাসরি মহিলাদের খারাপ ভাবে স্পর্শ করে বিরক্ত করে তারা। এছাড়া সীসা পাউডার মিশ্রিত রঙ তারা মহিলাদের দিকে ছোঁড়ে। এই রঙ্গে ত্বক পুড়ে পর্যন্ত যায় আর প্রায় দুদিন পর্যন্ত এর ক্ষত থাকে। মহিলারা যাতে মনে রাখেন যে কাদের সঙ্গে তারা রঙ খেলেছেন তাই এই সীসা যুক্ত রঙ ছোড়েন পুরুষরা। এবং এই কথা গর্বের সঙ্গে নিজেরাই বলে তারা।
শ্লীলতাহানি করা, কুইঙ্গিত দেখানো, সীসা যুক্ত রঙ ছোঁড়া- এগুলিই মহিলাদের বিরক্ত করার উপায়। আর এর পড়ে খুশির সঙ্গে লাঠিকাঘাত খেতেও প্রস্তুত থাকে পুরুষরা। একই রকম অভিজ্ঞতা দীপ্তি আস্থানা। মহিলা ফটোগ্রাফাররা মিলে বৃন্দাবনের হোলি উৎসব দেখতে গিয়েছিলেন। এলাকার সংস্কৃতির কথা মাথায় রেখে সালোয়ার কামিজ ও ওড়নায় সেজে গিয়েছিনে দীপ্তিরা। নন্দগাও এর হোলি খেলার প্রাঙ্গণে উপস্থিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একদল পুরুষ তাদের ঘিরে ফেলল। এরপর বালতি বালত রঙ তাদের শরীরে ঢালার পর বিশেষ করে তাদের বুক ও নিতম্বে পিচকারি দিয়ে রঙ ছুঁড়তে তারা। এরপর নানাভাবে হেনস্থা করা হয় দীপ্তিদের।
তখনই দীপ্তি এলাকা থেকে পালিয়ে গিয়ে একটি বাড়ির ছাদ থেকে দেখতে থাকেন যে উপস্থিত সব মহিলাদেরই এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়। উৎসবে উপস্থিত হলেই যেন শ্লীলতাহানির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এটাই এখানকার হোলি খেলার বিধি। স্থানীয় মহিলারা এসবের সঙ্গে যেন ও খুব সহজে মানিয়েও নিয়েছেন। এই রীতি থেকে বাদ যান না ৮ বছরের শিশু থেকে ৬০ বছরের মহিলারাও।
হোলি মানে আনন্দের উৎসব আর ব্রিইন্দাবনের হোলি নিয়ে সবারই উত্তেজনা তুঙ্গে থাকে। কিন্তু মেঘনা, দীপ্তিদের অভিজ্ঞতার কথা শুনলে মহিলারা অন্তত ব্রজধাম মুখী হবেন না।
লিঙ্ক- https://www.kolkata24x7.com/women-get-physically-harassed-in-holi-at-vrindaban.html
---------------------------------------------------
--আমার নতুন পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)
No comments