রাষ্ট্রধর্ম কি হবে সেটা নির্ধারণের দায়িত্ব কি কোর্টের ?
একটি রাষ্ট্রের সংবিধান রচিত হয় জনগণের কথা বিবেচনা করে। জনগণের মনমানসিকতা, চাহিদা, কালচার সবকিছু নির্ধারণ করে সংবিধান নীতিসমূহ কেমন হবে। যেমন বাংলাদেশের সংবিধানের ৭ এর ২ ধারায় বলা হয়েছে- “জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তিরূপে এই সংবিধান প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ আইন ”।
তারমানে বোঝা যাচ্ছে- জনগণের চাহিদার উপর নির্ভর করছে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক ধর্ম কি হবে। আচ্ছা আপনারা কি বলেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ কি চায় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল হোক ? আমার মনে হয় এখন গণভোট হলে দেশের ৯৫% জনগণ বলবে তারা চায় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকুক। (বিশ্বাস না হয়, ফেসবুকে একটা গণভোটের আয়োজন করেই দেখতে পারেন, কতগুলো কমেন্ট পক্ষে আসে, আর কতগুলো বিপক্ষে।)
তারমানে বোঝা যাচ্ছে, জনগণের চাওয়া-পাওয়ার উপর নির্ভর করছে, রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে সংবিধানে কোনটি স্বীকৃতি পাবে। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, সম্পূর্ণ উল্টো। কোর্টের অজুহাত দিয়ে রাষ্ট্রধর্ম পরিবর্তন করা হচ্ছে। কিন্তু রাষ্ট্রের ধর্ম কোনটি হবে, সেটা কি নির্ধারণ করার দায়িত্ব কি কোর্টের ??? কোর্ট আইন দিয়ে নির্ধারণ করবে কে আসামী, আর কে অপরাধী। কিন্তু রাষ্ট্রধর্ম কোনটা হবে সেটা তো আইন বা যুক্তি দিয়ে নির্ধারণ করা যাবে না, যাবে জনগণের চাহিদার উপর ভিত্তি করে।
আগামীকাল ১৯শে মার্চ রবিবার কোর্টে রিট শুনানী হচ্ছে, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকবে নাকি না থাকবে। কথা শুনে মনে হচ্ছে, ‘ইসলাম’ বোধ হয় এক বিরাট অপরাধী, তাকে কোর্টে তোলা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তব ঘটনা কিন্তু উল্টো। যারা ইসলামকে কাঠ গড়ায় দাড় করাচ্ছে, তারা নিজেরাই বিরাট অপরাধী। এরা সোজা পথে ব্যর্থ হয়ে, এখন কোর্টের মাধ্যমে উল্টো পথে রাষ্ট্রধর্মের বিরুদ্ধে লেগেছে। উচিত ছিলো- যারা গণমানুষের চাহিদার বিরুদ্ধে গিয়ে কোর্টে রিট করে তাদের গ্রেফতার করে রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে চিহ্নিত করে ফাঁসি দেয়া, কিন্তু বাংলাদেশের মুসলমানদের মধ্যে হিজরা টাইপের লক্ষণ ফুটে উঠায় তা আপাতত করা যাচ্ছে না।
---------------------------------------------------
--আমার নতুন পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)
No comments