সরকার কি তবে রাষ্ট্রধর্ম বাতিল ইস্যুটি জিয়িয়ে রাখতে চায় ?
প্রসঙ্গ : রাষ্ট্রধর্ম বাতিলে রিট শুনানী বাতিল:
সরকার কি তবে রাষ্ট্রধর্ম বাতিল ইস্যুটি জিয়িয়ে রাখতে চায় ?
সরকার কি তবে রাষ্ট্রধর্ম বাতিল ইস্যুটি জিয়িয়ে রাখতে চায় ?
আজকে ১৯শে মার্চ রাষ্ট্রধর্ম বাতিলে রিট শুনানীর দিন ধার্য ছিলো। কিন্তু অজ্ঞাত কারণবশতঃ রিট শুনানী কোর্টের কার্যতালিকায় আনা হয় নি। কিন্তু কি কারণে আনা হলো না, এই বিষয়টি নিয়ে কিছু আলোচনার দরকার আছে।
আপনারা জানেন, আজকে যে রিট শুনানীর কথা ছিলো তা মূলত ২০১৫ সালের খারিজ হওয়া একটি রিট। রিটটি খারিজ হওয়ার পর চেম্বারজজে না শুনানী করে ডাইরেক্ট আপীল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে উঠোনোর কথা ছিলো আজকে। কিন্তু মুসলমানরা সচেতন হয়ে যাওয়ায় বলতে হবে ভয় পেয়েই বিষয়টি লুকিয়ে ফেলা হলো। সোজা ভাষায় টেস্টকেসের মত, মুসলমানদের অনুভূতি ঠিক আছে কি না, তা যাচাই-বাছাই মাত্র। কিন্তু আমার আলোচনার বিষয় সেটি নয়, আমার আলোচনার বিষয়- যদি আজকে রিটের শুনানী হতো তবে কি হতো ??
যদি রিটটি পরিপূর্ণ বাতিল হতো তবে তা মুসলমানদের জন্য একটি বিরাট অর্জন হয়ে দাড়াতো। কারণ আপীল বিভাগের রায় একটি চূড়ান্ত বিষয় হয়ে দাড়াতো যে, আর কেউ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের জন্য রিট করতে পারতো না, এই রিটের মাধ্যমেই বিষয়টি স্থায়ী হতো।
যদি রিটটি পরিপূর্ণ বাতিল হতো তবে তা মুসলমানদের জন্য একটি বিরাট অর্জন হয়ে দাড়াতো। কারণ আপীল বিভাগের রায় একটি চূড়ান্ত বিষয় হয়ে দাড়াতো যে, আর কেউ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের জন্য রিট করতে পারতো না, এই রিটের মাধ্যমেই বিষয়টি স্থায়ী হতো।
আর যদি রিটটি জারি হতো, তবে রাষ্ট্রধর্ম বাতিল হয়ে যেতো। তখন স্বাভাবিকভাবে দেশের একটি অরাজকতাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হতো, যা সরকার তার বর্তমান অবস্থায় কখন চাবে না।
আজকে কজলিস্টে না উঠানো দ্বারা প্রমাণ হয়, সরকার দুটোর মাঝখান দিয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ সে চায় রাষ্ট্রধর্ম বাতিলের ইস্যুটি টিকে থাক, আবার সুযোগ মত ব্যবহার করা হবে। তবে হ্যা এখন সময় হয়নি, তাই লুকিয়ে ফেলা হলো।
বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ার আরেকটি কারণ- আপনারা জানেন গত বছর মার্চে রাষ্ট্রধর্ম বাতিলে আরেকটি রিট খারিজ করে দিয়েছিলো হাইকোর্ট। তখন খারিজের বিষয়টি কিন্তু রাষ্ট্রধর্মের যথার্থ প্রমাণ করে হয়নি, হয়েছিলো যে ১৫ জন নাগরিক একটি সংগঠনের নামে রিটটি দায়ের করেছিলো তাদের লোকাস স্ট্যান্ডি বা যোগ্যতা নাই বলে (http://www.ittefaq.com.bd/…/first-pa…/2016/03/29/110906.html)। তারমানে লোকাস স্ট্যান্ডি নিয়ে আসলে অন্য যে কেউ রাষ্ট্রধর্ম
ইসলাম বাতিলে রিট করতে পারবে।
ইসলাম বাতিলে রিট করতে পারবে।
যদি ঐ সময় রাষ্ট্রধর্ম যথার্থ বলে রিট খারিজ করা হতো, তবে মুসলমানদের প্রাপ্য থাকতো এবং বিরোধী পক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হতো। কিন্তু প্রতিবারই খারিজ করা হচ্ছে বা লুকিয়ে ফেলা হচ্ছে কৌশল করে, আবার সুযোগ বুঝে জাগ্রত করা হচ্ছে। কিন্তু রাষ্ট্রধর্ম বিরোধী ইস্যুটিকে মেরে ফেলা হচ্ছে না, জিয়িয়ে রাখা হচ্ছে, সুযোগ রাখা হচ্ছে পুনরায় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলে রিট করার।
আমার মনে হয়, এ ব্যাপারগুলো বাংলাদেশের মুসলমানদের আরো অধিক অনুধাবন করার চেষ্টা করা উচিত। রাষ্ট্রধর্ম বিরোধী ইস্যুকে কেন কৌশলে জিয়িয়ে রাখা হচ্ছে সেটা নিয়ে আন্দোলনে নামা উচিত।
---------------------------------------------------
--আমার নতুন পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)
No comments