শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কথিত নিহত ভারতীয় সেনাপরিবারদের ১১৭ কোটি টাকা পুরষ্কৃত করা হবে !
শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কথিত নিহত ভারতীয় সেনাপরিবারদের পুরষ্কৃত করা হবে। (http://bit.ly/2n6u8t6)
পুরস্কারের অ্যামাউন্ট কিন্তু কম নয়। মোট ১৭০০ ভারতীয় পরিবারকে জনপ্রতি ৫ লক্ষ রূপি দেয়া হবে। এ বাবদ মোট খরচ হবে ১১৭ কোটি টাকা (http://bit.ly/2nUzlc9)।
আমরা জানি ভারতীয় সেনাবাহিনী বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর সাথে যুক্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ৩রা ডিসেম্বর। (http://bit.ly/1mTK4wj) কিন্তু কথা হলো দেশ স্বাধীনের মাত্র ১৩ দিন পূর্বে আর কতটুকু যুদ্ধ বাকি ছিলো ? আর সেই সামান্য যুদ্ধে নিহত হয়েছেই বা কতজন ?? আর যুদ্ধ যদি বাকি থেকেও থাকে তবে একেবারে শেষ মুহুর্তে বাংলাদেশে প্রবেশের কারণটা কি ? শুধুই কি পাকিস্তানীদের সাথে যুদ্ধ করা ? নাকি বাংলাদেশকে সাহায্যের নাম দিয়ে আড়ালে অন্যকিছু করা ??? কারণ যুদ্ধ করার ইচ্ছা থাকলে নিশ্চয়ই ভারতীয় বাহিনী দেশ স্বাধীনের মাত্র ১৩ দিন আগে বাংলাদেশে প্রবেশ করতো না, আরো আগে প্রবেশ করতো। তবে মুক্তিযোদ্ধদের ভাষ্য অনুযায়ী, অরক্ষিত বাংলাদেশের থেকে বিশেষ সুবিধা আদায়ের জন্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিলো ভারতীয় বাহিনী।
এ সম্পর্কে –
১) ‘বাংলাদেশ পাস্ট এন্ড প্রেজেন্ট’ পুস্তকে সালাহউদ্দিন আহমদ লিখেছেন, “যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবার পর ভারতীয় সৈন্যরা পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিক সময় অবস্থান করতে থাকায় ভারত সমালোচিত হতে থাকে। অভিযোগ করা হয় যে, ভারতীয় সেনাবাহিনী ট্রাক বহরে করে বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও সাজসরঞ্জাম সরিয়ে নিয়ে যায়। ফলে ভারত বাংলাদেশকে আত্মমর্যাদাশালী রাষ্ট্রের পরিবর্তে একটি তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় এমন একটি আশঙ্কা থেকে বাংলাদেশের প্রতি ভারতীয় নীতির বিরুদ্ধে উত্তেজনা ও সংশয় সৃষ্টি হয়।”
২) আজিজুল করিম ‘হোয়াই সাচ এন্টি-ইন্ডিয়ান ফিলিংস এমং বাংলাদেশী?’ শিরোনামে এক নিবন্ধে ১৯৭৪ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশিত ভারতীয় মাসিক ‘অনিক’-এর রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে লিখেছেন, “ভারতীয় সৈন্যদের লুণ্ঠিত মালামালের মূল্য ছিল প্রায় ১শ’ কোটি মার্কিন ডলার।”
৩) মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক জয়নাল আবেদীনের ‘র এন্ড বাংলাদেশ’ শিরোনামে লেখা একটি বইয়েও বাংলাদেশে ভারতীয়দের লুন্ঠনের বর্ণনা দেয়া হয়েছে। বইটিতে তিনি লিখেছেন, “পাকিস্তানি সৈন্যদের আত্মসমর্পণের পর ভারতীয় সৈন্যদের ব্যাপক লুটতরাজ দেখতে পেয়ে ভারতের প্রকৃত চেহারা আমার কাছে নগ্নভাবে ফুটে উঠে। ভারতীয় সৈন্যরা যা কিছু দেখতে পেতো তার উপর হুমড়ি খেয়ে পড়তো এবং সেগুলো ভারতে বহন করে নিয়ে যেতো। লুটতরাজ সহজতর করার জন্য তারা আমাদের শহর, শিল্প স্থাপনা, বন্দর, সেনানিবাস, বাণিজ্যিক কেন্দ্র এমনকি আবাসিক এলাকায় কারফিউ জারি করে। তারা সিলিং ফ্যান থেকে শুরু করে সামরিক সাজসরঞ্জাম, তৈজষপত্র ও পানির ট্যাপ পর্যন্ত উঠিয়ে নিয়ে যায়। লুণ্ঠিত মালামাল ভারতে পরিবহনের জন্য হাজার হাজার সামরিক যান ব্যবহার করা হয়।”
বইটির আরেকটি অংশে তিনি লিখেছেন, “বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ভারত অর্থনৈতিক, সামরিক, কৌশলগত ও আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক লাভবান হয়েছে। এ কারণে দেশটি তার নিজের স্বার্থে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সম্পৃক্ত হয়, আমাদের স্বার্থে নয়।”
৪) ভারতীয় বাহিনীর অন্যতম সাফল্য হিসেবে দেখানো হয় যশোর ক্যান্টনমেন্ট মুক্ত করা। কিন্তু যশোরের এক মুক্তিযোদ্ধার মুখে শুনুন- মুক্তিযোদ্ধাদের কিভাবে বন্দি করে যশোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে সম্পদ লুটপাট করেছে ভারতীয় বাহিনী। (https://youtu.be/
৫) সিনেমা মেকার জহির রায়হানকে বুদ্ধিজীবি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। কারণ তিনি নাকি যুদ্ধ পরিবর্তি সময়ে মিরপুর থেকে নিখোঁজ হয়। দাবি করা হয়, মিরপুর এলাকাটি যেহেতু বিহারি অধ্যুষিত, সেহেতু বিরাহিরা তাকে হত্যা করে গুম করেছে। কিন্তু ঐ সময় ঢাকাবাসীরা জানিয়েছে, জহির রায়হান ভারতীয় বাহিনীর লুটপাট নিয়ে একটি সচিত্র ফিল্ম তৈরী করেছিলো। সেটা প্রকাশ পেলে ভারতীয় বাহিনীর লুটপাটের পুরো গোমর ফঁাস হয়ে যেতো। সেই গোমর লুকাতেই ৭২ এর জানুয়ারির শেষের দিকে হত্যা করা হয় জহির রায়হানকে। কিন্তু নাম দেয়া হয় মিরপুরের বিহারীদের।
আমরা জানি, বাংলাদেশের অনেক শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার আছে যারা চরম দরিদ্র, অনেক মুক্তিযোদ্ধা আছেন আহত, ভিক্ষা করে খায়, রিকশা চালক। এক্ষেত্রে ১১৭ কোটি টাকা যদি দেওয়া হয়, তবে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের আগে দেওয়া হোক (অবশ্যই প্রকৃত, দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধা। আওয়ামী ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা নয়), ভারতীয়দের কেন ? কারণ ৩রা ডিসেম্বর প্রবেশ করে তারা কি পাকিস্তানী বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করে নিহত হয়েছিলো, নাকি বাংলাদেশের সম্পদ লুটপাট করতে গিয়ে নিহত হয়েছিলো সেটা আগে যাচাই করার দরকার আছে।
আমরা জানি, এই ১১৭ কোটি টাকা সরকার তার বাবার রেখে যাওয়া সম্পদ থেকে দেয়া হবে না, দেয়া হবে জনগণের ট্যাক্সের টাকা থেকে। তাই জনগণের ট্যাক্সের টাকা খরচের আগে জনগণের মতামত নেয়ার প্রয়োজন আছে বলেই মনে করি।
আর যদি ভারতীয় বাহিনীকে টাকা দিতেই হয়, তবে তারা যে পরিমাণ সম্পদ লুটপাট করে নিয়েছে সেটা আগে ফেরত দিক। রেফারেন্স মোতাবেক যদি ঐ সম্পদের পরিমাণ যদি ১০০ কোটি ডলার বা ৮ হাজার কোটি টাকা হয় (৭১ সালে ৮ হাজার কোটি টাকা, এখন কত টাকার সমান হবে ??) তবে আগে সেই টাকা ফেরত দিক, পরে তাদের ১১৭ কোটি টাকা দেয়া যাবে।
---------------------------------------------------
--আমার নতুন পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)
No comments