Header Ads

ad728
  • Breaking News

    অমঙ্গলশোভাযাত্রা নিয়ে অনেক গাধাকে বলতে দেখেছি-



    অমঙ্গলশোভাযাত্রা যে মূর্তি ও মুখোশ (বাঘ, সিংহ, পেচাঁ) ব্যবহার করা হয় সেগুলো নাকি বাংলাদেশের ন্যাশনালিটি বহন করে এবং দেশীয় পশুর মুশোখ ও মূর্তি এনে দেশীয় পরিবেশ তৈরী করা হয়।

    কিন্তু গাধাগুলো যাই বলুক, যারা এই অমঙ্গলশোভাযাত্রার আয়োজন করে তারা কি অর্থে আনে সেটাই বিষয়। যেমন অমঙ্গলশোযাত্রার মূল আয়োজক মানে চারুকলার অনুষদের ডিন ড. নিসার হোসেন গতকালকে দৈনিক সমকালে একটি সাক্ষাতকার দিয়েছে। আসনু দেখি সে কি বলছে-

    ``চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নিসার হোসেন সমকালকে বলেন, 'এবার আমরা অর্জনকে উদযাপন করব। সে জন্য বিগত বছরগুলোতে যেসব শিল্প-কাঠামো মঙ্গল শোভাযাত্রার সম্মুখভাগে ছিল, সেগুলো ফিরিয়ে আনা হবে। যেমন ১৯৮৯ সালের প্রথম শোভাযাত্রার ঘোড়া ও বিশাল বাঘের মুখ এবারের শোভাযাত্রায় থাকছে। থাকছে সমৃদ্ধির প্রতীক হাতি। (http://bit.ly/2nMISkj)

    দেখেছেন- বলছে সমৃদ্ধির প্রতীক নাকি হাতি, অথচ আপনি বলছেন- হাতি হচ্ছে গ্রাম-বাংলার প্রতীক !!!

    কি বুঝলেন ??? আসলে কারণ হচ্ছে অমঙ্গলশোভাযাত্রাটাই হচ্ছে হিন্দু তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। এই লিঙ্কে (http://bit.ly/2nsiHvU) দেখুন, সেখানে ভারতীয় একটি ওয়েসবাইটে স্পষ্ট বলা আছে হিন্দু ধর্ম মতে গনেশ মানে হাতি হচ্ছে সমৃদ্ধির প্রতীক।

    মূলত অমঙ্গলশোভাযাত্রায় যে পেচা, ইদুর, হনুমান, হাস, গাভী, ক্ষ্যাপা ষাড়, ঈগল, রাজহাস, সিংহ, বাঘ ময়ুর, মহিষ, সূর্য বহন করা হয় সেগুলো হিন্দুদের বিভিন্ন বিশ্বাসেরই অংশ। কারণ

    ১) পেঁচা মঙ্গলের প্রতীক ও লক্ষ্মীর বাহন (http://bit.ly/2nvdaWk)

    ২) ইঁদুর গণেশের বাহন,

    ৩) হাঁস স্বরসতীর বাহন,

    ৪) ঈগল বিষ্ণুর বাহন

    ৫) সিংহ ,বাঘ দুর্গার বাহন

    ৬) ময়ূর কার্তিকেয়ার বাহন

    ৭) মহিষ মৃত্যুর দেবীর বাহন

    ৮) সূর্য, সূর্য দেবতার প্রতীক

    ৯) ক্ষ্যাপা ষাড় শিবের বাহন

    এ সম্পর্কে নিউইয়র্ক ইউনিভির্সিটি থেকে প্রকাশিত সালেক খানের লেখা Title Performing the (imagi)nation: A Bangladesh Mise-en-scene নামক বইয়ের ২১৬ পৃষ্ঠায় অমঙ্গলশোভাযাত্রা সম্পর্কে বলা আছে- People Marching in the parade also carry paiper mache portrits Depicting mythical figures and animals. These caracters Are taken from Hindu puja and rituals.
    অর্থাত অমঙ্গল শোভাযাত্রায় ব্যবহৃত বিভিন্ন মূর্তিগুলো হিন্দুদের পূজা অনুষ্ঠান থেকে ব্যবহার করা হয়েছে।


    এরপরও যদি কারো সন্দেহ হয়, তবে গত ৩০ মার্চ দৈনিক কালেরকণ্ঠ খুলে দেখতে পারে। সেখানে বলা হয়েছে-=শ্রীগুরু সংঘের ৫৫তম ধর্মীয় উৎসবে মঙ্গল শোভাযাত্রা
    বিস্তারিত- হিন্দু ধর্মীয় শ্রীগুরু সংঘের উদ্যোগে সংঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্রী শ্রীমদ দুর্গাপ্রসন্ন পরমহংসদেবের স্মরণে ৫দিন ব্যাপি ৫৫তম ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে ভাণ্ডারিয়া কেন্দ্রীয় মন্দির প্রাঙ্গণে প্রাতঃকালীন প্রার্থণা ও শ্রীগুরু বন্ধনা, গীতাপাঠ, সংঘ পতাকা পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে এ ধর্মীয় অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়। (http://bit.ly/2onYufv)

    তারমানে মঙ্গল শোভাযাত্রা যে হিন্দু ধর্মীয় অনুষ্ঠান সেটাতে সন্দেহ করার কোন অবকাশ নেই। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সেই হিন্দু ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের করতে বাধ্য করতে নোটিশ দিয়েছে শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়। অথচ সংবিধানের ৪১- এর ২ ধারায় বলা আছে- এক ধর্মের শিক্ষার্থীদের অন্য ধর্মের অনুষ্ঠান করতে বাধ্য করা যাবে না। সরকার যদি এভাবে প্রকাশ্যে সংবিধান বিরোধী কাজে লিপ্ত হয়, তবে রাষ্ট্র চলবে কিভাবে তা সত্যিই ভাববার বিষয়।


    ---------------------------------------------------
    --আমার ফেসবুক পেইজ Noyon Chatterjee 5
    (https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
    --পেইজ কোড- 249163178818686 ।

    --আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728