Header Ads

ad728
  • Breaking News

    আব্দুল্লাহ খালিদ : তার কি জানাজা হবে ? কবর কি মুসলমানদের গোরস্থানে হবে ?


    মারা গেছে ‘অপরাজেয় বাংলা’ নামক মূর্তির নির্মাতা আব্দুল্লাহ খালিদ : তার কি জানাজা হবে ? কবর কি মুসলমানদের গোরস্থানে হবে ??

    খবর পেলাম, ঢাবির ‘অপরাজেয় বাংলা’ নামক মূর্তির নির্মাতা আব্দুল্লাহ খালিদ বারডেম হাসপাতালে মারা গেছে। আব্দুল্লাহ খালিদ ‘অপরাজেয় বাংলা’ নামক মূর্তিটি নির্মাণ শুরু করে ১৯৭৩ সালে। তবে ১৯৭৭ সালে মূর্তিটি ভেঙ্গে ফেলার জন্য মুসলমানরা তীব্র আন্দোলন হয়। সেই সময় মুসলমান ছাত্ররা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মূর্তিটি ভেঙ্গে ফেলার জন্য গণসাক্ষর সংগ্রহ করার উদ্যোগ নেয়। তবে গণসাক্ষর গ্রহণকালে মুসলমানদের বেদম প্রহার করে আব্দুল্লাহ খালিদের লোকজন। কিছুদিন আগেও এক স্ট্যাটাসে আব্দুল্লাহ খালিদ সেই মুসলমানদের মৌলবাদী বলে উল্লেখ করেছিলো। বলেছিলো- The project remained incomplete till the end of 1978. Some fundamentalist groups tried to demolish the sculpture in 1977. However, the brave students of Dhaka University fiercely guarded the work. (http://archive.is/8neWF)।
    আব্দুল্লাহ খালিদের মেয়ে রুহী শরীফ – আমেরিকা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক আজকাল পত্রিকায় (তারিখ:১৮ই ফেব্রুয়ারী, ২০১৭) প্রকাশিত কলামে বলে - ``ভাস্কর্য সম্পর্কে আমাদের দেশের মানুষের অজ্ঞতাপ্রসূত একটা ভ্রান্ত ধারণা বিরাজিত রয়েছে। এই ভ্রান্ত ধারণাকে আরো তিক্ত করে তোলার জন্য সর্বদা সক্রিয় রয়েছে ধর্মের নামে সমাজকে পেছনে নিয়ে যেতে তৎপর উগ্র ধর্মান্ধ মহল। তারা ভাস্কর্যকে কখনই শিল্প বলে মনে করে না। তারা একে মনে করে ধর্মের কাজে ব্যবহার্য মূর্তি বিশেষ, আর মূর্তি মানেই পূজার উপাদান। এরই সঙ্গে রয়েছে স্বাধীনতা বিরোধী মহলের অশুভ তৎপরতা। তারা সর্বদাই ভাস্কর্য শিল্পের বিরোধিতা করে আসছে। তারা সুযোগ পেলেই ভাস্কর্যের ওপর হামলা চালিয়েছে, ভেঙে দিয়েছে। তারা ভেঙে দিয়েছে শিশু একাডেমীতে নির্মিত ‘দুরন্ত’। ভাস্কর্যটি। রাতের আঁধারে উপড়ে নিয়ে গেছে জিপিও’র সামনে স্থাপিত জিরো পয়েন্টের ভাস্কর্য। ভেঙে দিয়েছে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে নির্মিত ভাস্কর্য। এখন আবার তারা সোচ্চার সুপ্রীম কোর্ট ভবনের সামনে নির্মিত ভাস্কর্য অপসারনের দাবীতে।
    এসব ঘটনার অনেক আগে এমনই একটি প্রতিকূলতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খোলা প্রান্তরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিতে ‘অপরাজেয় বাংলা’ নামে বিশাল একটি ভাস্কর্য নির্মানের কাজ খুব একটা সহজসাধ্য ছিল না। এটি ছিল একটি চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জটিই বাবা নিয়েছিলেন।” (http://bit.ly/2qJ0FsE)
    আব্দুল্লাহ খালিদ শুধু অপরাজেয় বাংলা মূর্তি নিমাণ করে ক্ষান্ত হয়নি, সে ঢাবির চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষক ছিলো। সে নিজ হাতে বহু মূর্তিনির্মাণকারী তৈরী করছে, যারা সারা দেশকে অসংখ্য মূর্তি দিয়ে ভরিয়ে ফেলছে। শুনেছি ইসলাম ধর্ম অনুসারে মূর্তি নির্মাণ করা নাকি নিষিদ্ধ, কিছুদিন আগে ফেসবুকে মুসলমানদের স্ট্যাটাসে পেয়েছিলাম মূর্তির পক্ষে বললে নাকি তাকে ধর্মচ্যূত বা মুরতাদ বলা হয়, মুসলমানী কায়দায় নাকি তার জানাজা, কবর সব হওয়া নিষিদ্ধ।

    এখন আমার কথা হচ্ছে, আব্দুল্লাহ খালিদের তাহলে কি হবে ?? তার কি জানাজা হবে, মুসলমানী কায়দায় কবর হবে ??? জানতে বাসনা রাখি।



    ---------------------------------------------------
    --আমার ফেসবুক পেইজ Noyon Chatterjee 5
    (https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
    --পেইজ কোড- 249163178818686 ।

    --আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728