Header Ads

ad728
  • Breaking News

    রবীন্দ্রনাথের পূর্বপুরুষ ছিল কুলি সর্দার! অতঃপর পতিতালয় ব্যবসা এবং ব্রিটিশদের চাকর


    তার ঠাকুর পদবী ব্রাহ্মণ অর্থে নয়, বরং কুলি সর্দার অর্থেই রবীন্দ্রনাথের পূর্বপুরুষেরা ছিলেন খুবই সাধারন অখ্যাত মানুষ। তাদের নামগুলিও ছিল অত্যন্ত মামুলি এবং আড়ম্বরবিহীন। যেমন কামদেব, জয়দেব, রতিদেব ও শুকদেব। কামদেব ও জয়দেব হিন্দুধর্ম ত্যাগ করে মুসলমান হয়ে গিয়ে তাঁদের নাম হয়েছিল যথাক্রমে কামালুদ্দিন ও জামালুদ্দিন। রবীন্দ্রনাথের পূর্বপুরুষেরা এত দরিদ্র ছিলেন যে ,দারিদ্রের কারনে ভাগ্যন্বষণে একসময় বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হয়েছিল অন্যত্র।

    প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় তার 'রবীন্দ্রজীবনী' ১ম খন্ডের ৩য় পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন,"....... জ্ঞাতি কলহে বিরক্ত হইয়া মহেশ্বর ও শুকদেব নিজগ্রাম বারোপাড়া হইতে কলিকাতা গ্রামের দক্ষিণে গোবিন্দপুরে আসিয়া বাস করেন। সে সময়ে কলিকাতা ও সুতানুটিতে শেঠ বসাকরা বিখ্যাত বণিক। এই সময়ে ইংরেজদের বাণিজ্যতরণী গোবিন্দপুরের গংগায় আসিয়া দাঁড়াইত। পঞ্চানন কুশারী ( রবীর পূর্বপুরুষ) ইংরেজ কাপ্তেনদের এইসব জাহাজে মালপত্র উঠানো নামানো ও খাদ্য পানীয় সংগ্রহাদি কর্মে প্রবৃত্ত হন। এই সকল শ্রমসাধ্য কর্মে স্থানীয় হিন্দু সমাজের তথাকথিত নিম্নশ্রেণির লোকেরা তাঁহার সহায় ছিল।............... তাহারা পঞ্চাননকে 'ঠাকুর মশায়' বলিয়া সম্বোধন করিত। কালে জাহাজের কাপ্তেনদের কাছে ইনি 'পঞ্চানন ঠাকুর' নামেই চলিত হইলেন; তাহাদের কাগজপত্রে তাহারা Tagore, Tagoure লিখিতে আরম্ভ করল। এইভাবে 'কুশারী ' পদবীর পরিবর্তে 'ঠাকুর ' পদবী প্রচলিত হইল। [ সূত্রঃ চিত্রা দেব রচিত 'ঠাকুর বাড়ির অন্দর মহল' প্রকাশনায়- আনন্দ পাবলিশার্স প্রাঃ লিঃ, কলিকাতা] অর্থাৎ কুলি শ্রমিকেরা তাদের প্রধান বা সর্দারকে ঠাকুর মশাই বলেই সম্বোধন করত। যেমনটি হেলপার বা শ্রমিকেরা একালেও ড্রাইভার বা তাদের প্রধানকে 'ওস্তাদ' সম্বোধন করে।

    এ প্রসংগে তাত্ত্বিক লোক লোকেশ্বর বসু 'আমাদের পদবির ইতিহাস' এ লিখেছেন, "জমিদার বলতে মোঘল যুগে বোঝাতো ক্ষুদ্র অঞ্চলের শাসক, এবং তাঁরা অধিকাংশই ছিলেন মুসলমান।..... কিন্তু ইংরেজ যুগে হিন্দুরা আবার জমিদার হলেন। কার্যক্ষেত্রে এঁরা কিন্তু জামিনদার। এই জমিদারী প্রথার বয়স মাত্র দেড়শো বছর। পলাশীর যুদ্ধের সময়েও কোন বিশিষ্ট বাংগালী হিন্দুর দেখা মেলে না। পরে যে বাংগালীরা কলকাতায় ছুটে এলেন, তাঁদের মধ্যে যেমন ব্রাহ্মণ কায়স্থ ছিল, তেমনি ছিল অন্যান্য জাতি। সে সময় তন্তুবায় এবং বণিকরাই ছিল ধনী।......এই সময় ইংরেজদের সংগে সহযোগীতা করে ব্যবসা করে, নানাভাবে তাদের উপকার করে, দোভাষী হয়ে, জাহাজ ঘাটায় মাল নামানোর কুলি সংগ্রহ করে দিয়ে অনেকেই কপাল ফেরালেন। এদের মধ্যে ধনীরা জমিদারী কিনলেন ইংরেজদের কাছ থেকে। কিন্তু সে জমিদারী আসলে খাজনা আদায়ের ঠিকাদারী। তবু দু-তিন পুরুষেই তাঁরা বনেদী বনে গেলেন।" [সূত্রঃ মুনশী মোহাম্মদ মেহেরুল্লাহ রিসার্চ একাডেমী প্রকাশিত ' এ এক অন্য ইতিহাস' লেখক-গোলাম আহমাদ মোর্তজা]

    লোকেশ্বর বসুর এ লেখনী পুরোপুরিই ঠাকুর বাড়ির সাথে মিলে যায়! Memoir of Dwarakanath Tagore থেকে ড. ভট্টাচার্য উদ্ধৃত করেছেন, "... গরীবের রক্ত শোষণ করা অর্থে প্রিন্সের (রবির ঠাকুর্দা দ্বারকানাথ ) এই প্রাচুর্যের পূর্বে তিনি ছিলেন মাত্র দেড়শো টাকা বেতনের সাহেব ট্রেভর প্লাউডেনের চাকর মাত্র।" এগুলো রবীন্দ্র ভক্তদের জন্য অপ্রিয় হলেও সত্য। এর পরের ইতিহাস আমরা সকলেই কম বেশি জানি।

    রবীন্দ্রনাথের পারিবারিক ব্যবসা ছিলো পতিতালয় ব্যবসা। রবীন্দ্রনাথের দাদার শুধু কলকাতায় ছিলো ৪৩টা পতিতালয় (তথ্যসূত্র: সতীশচন্দ্র চক্রবর্তী সম্পাদিত, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মজীবনী,১৯৬২,পৃ.৩৫৮-৬০; কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা,২৮শে কার্তিক,১৪০৬, রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়)।

    এ প্রসঙ্গে- আবুল আহসান চৌধুরী রচিত ‘অবিদ্যার অন্তঃপুরে, নিষিদ্ধ পল্লীর অন্তরঙ্গ কথকতা’ বইয়ে পাওয়া যায় - বেশ্যাবাজি ছিল বাবু (হিন্দু) সমাজের সাধারণ ঘটনা। নারী আন্দোলনের ভারত পথিক রাজা রামমোহন রায়ের, রক্ষিতা ছিল॥ এমনকি ঐ রক্ষিতার গর্ভে তাঁর একটি পুত্রও জন্মে ছিল। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর (রবীন্দ্রনাথের ভাই) পতিতা সুকুমারী দত্তের প্রেমে মজেছিল। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় নিয়মিত পতিতালয়ে যেত। রবীন্দ্রনাথঠাকুরও পতিতালয়ে যেত। নিষিদ্ধ পল্লীতে গমনের ফলে রবীন্দ্রনাথের সিফিলিস আক্রান্ত হওয়ার খবর তার জীবদ্দশাতেই ‘বসুমতী’ পত্রিকাতে প্রকাশিত হয়েছিল। 


    ---------------------------------------------------
    --আমার ফেসবুক পেইজ Noyon Chatterjee 5
    (https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
    --পেইজ কোড- 249163178818686 ।

    --আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728