ঈদের আগের দিন উগ্রহিন্দুত্ববাদীদের রথযাত্রা কি সমস্যা করতে পারে?

গত ২ বছর ধরে একই ঘটনা। রোজার ঈদের সাথে রথযাত্রা মিলে যায়। ২০১৫ সালে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ঈদের দিন রথযাত্রা ফেলানো, ২০১৬ সালে তারিখ বুঝে ফেলালেও সফল হয়নি উগ্রহিন্দুত্ববাদীরা। (বিস্তারিত:http://bit.ly/2sOpiaL) এ বছরও ব্যতিক্রম হয়নি। রথযাত্রা ফেলানো হয়েছে ২৫শে জুন, ঠিক ঈদের আগের দিন। (https://goo.gl/LKy9xm)

অনেকে হয়ত বলতে পারেন, সমস্যা কি ?
হিন্দুরা কি তাদের ধর্ম পালন করবে না ??

আমি হিন্দুদের ধর্ম পালন করতে বাধা দেই না।
কিন্তু রথযাত্রা তো হিন্দুদের ধর্মের অংশই না, এটা ইসকন নামক একটি সংগঠনের চালু করা কালচার,
এই সংগঠনটি আবার হিন্দুদের মধ্যে পশ্চিমাদের তৈরী করা বিষফোড়া। সনাতনি হিন্দুরা এদের মোটেও পছন্দ করে না। (http://bit.ly/2tEnMF1)

এই দলটি বেছে বেছে ঈদের দিনকে কেন্দ্র করে রথযাত্রা ফেলায়। ২০১৫ সালে ঈদের দিন সকাল বেলা ঢোল-তবলা আর রথ-মূর্তি নিয়ে তারা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে ১৫-২০ মিনিট কার্যক্রম চালায়, এগুলো কি উস্কানিমূলক নয় ? (https://goo.gl/Ne2CQu)

আমি আবার বলছি,
হিন্দু ধর্ম কোন সমস্যা নয়, সমস্যা হলো ঐ ধর্মের মানুষগুলোর উপর যখন কুচক্রী ইহুদীরা কলকাঠি নাড়ে।
বর্তমানে বাংলাদেশের উগ্রহিন্দুত্ববাদী উপর থেকে কলকাঠি নাড়ছে-

১) ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ ড্রুজ নেতা মেন্দি এন সাফাদি। তার ফেসবুক আইডি ঘুড়ে দেখেন বাংলাদেশী হিন্দুদের সাথে তার হরদম মিটিং-সমাবেশ চলছে। (http://bit.ly/2rvGOwP) বলাবাহুল্য সিরিয়াতে বর্তমান গৃহযুদ্ধ শুরুর আগে মেন্দি এন সাফাদি সেখানে একই ধরনের কার্যক্রম চালিয়েছিলো।

২) মার্কিন ইহুদী রিচার্ড বেনকিন। তার আইডি ঘুড়লে দেখা যায় সে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের হিন্দুদের উস্কাচ্ছে। (http://bit.ly/2rMwBeo) এছাড়া তার সাথে যে সরকারপক্ষে হিন্দুদের যোগাযোগ চলে সেটার দলিলও পাওয়া যায় (http://bit.ly/2sruj6u)
৩) এছাড়া বর্তমানে হিন্দুদের আড়াল থেকে পরিচালনা করছে ড. কামাল হোসেনের মেয়ে ব্যারিস্টার সারা হোসেনের জামাই ইহুদী ডেভিড বার্গম্যান ।

কুচক্রী ইহুদরা যখন হিন্দুদের ঘাড়ে চেপে বসেছে, তখন ভয়ের কারণ আছে বৈকি। ইতিহাস বলে ইহুদী রথচাইল্ড পরিবার ধন সম্পদে পরিপূর্ণ ভারতবর্ষকে দেখে পাঠিয়েছিলো ‘ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি’কে। সেই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি খুজে পেয়েছিলো তিন হিন্দু বিশ্বাসঘাতক জগতশেঠ, উমিচাদ ও রাজবল্লভকে। তারাই উপায় বাতলে দিয়েছিলো কিভাবে মাথামোটা মীরজাফরকে দিয়ে তাদের গোপন উদ্দেশ্য বাস্তবায় করা যায়। (http://bit.ly/2rMGBo1) যার ফলাফল পোহাতে হলো ২০০ বছর পরাধীনতার শিকল পড়ে।

তাই উগ্রহিন্দুত্ববাদীদের কোন কার্যক্রমই বাড়তে দেয়া ঠিক নয়। এমন হতে পারে, এই রথযাত্রার মাধ্যমে উদ্দেশ্যমূলক সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করে ঈদ উৎসবে বাধা সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলাফল হতে পারে দীর্ঘমেয়াদি। ঠিক যেমনটা গত ঈদের কয়েকদিন আগে হোলি আর্টিসান ঘটনার মাধ্যমে করা হয়েছিলো।

আমার মনে হয় উচিত হবে, আইন করে ঈদের আগে উগ্রহিন্দুদের সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ করা। নয়ত বাংলাদেশ অরক্ষিত উগ্রহিন্দু-ইহুদী জোটের কার্যক্রমের কাছে, এতে কোন সন্দেহ নাই।

---------------------------------------------------

--আমার ফেসবুক পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।

--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)