Header Ads

ad728
  • Breaking News

    ‘ছেলেটি কিন্তু ভালো ছিল’ নামক নাটকের রিভিউ প্রসঙ্গে (১)

    গত কয়েকদিন আগে ৪টি ঈদের নাটক নিয়ে রিভিউ লিখেছিলাম। বলেছিলাম- ৪টি নাটকের মাধ্যমে ইসলামবিরোধী সাবলিমিনাল মেসেজ দেওয়া হচ্ছে। ঐ পোস্টের (৪) নম্বর মানে `ছেলেটি কিন্তু ভালো ছিলো‘ নাটকটির ক্ষেত্রে বলেছিলাম-
    `` একুশে টিভিতে ঈদের চতুর্থ দিন দেখানো হয় ‘ছেলেটি কিন্তু ভালো ছিল’ নামক নাটক । এর পরিচালক আশফাক নিপুন। কাহিনী- গল্পের নায়িকা বিয়ে করতে চায় না ফুটবল খেলতে চায়। এ নাটকটির মাধ্যমে আসলে ‘নারীবাদ’ প্রমোট করা হয়েছে, যা সিআইএ’র একটা প্রজেক্ট। এই একই বিষয়ে গত মার্চ মাসে সিআইএপন্থী বিডিনিউজ২৪ এ একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিলো, প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিলো- ‘বিয়ে চাই না, ফুটবল খেলব’ (http://hello.bdnews24.com/news/article12549.bdnews)“
    এ বিষয়টি নিয়ে অনেকেই দেখলাম দ্বিমত করেছে। অনেকে বলেছে ঐ নাটকটির মধ্যে কিভাবে ইসলামবিরোধী মেসেজ থাকে সেটা তাদের বুঝে আসছে না। আবার অনেকে বিষয়টি যে সিআইএ‘র প্রজেক্ট সেটা নিয়েও সন্দেহ করেছে।
    আসলে আমি একটা লেখা অনেক পযর্বেক্ষণের পরে লিখি। সবগুলো লাইন যদি আপনাদের বুঝিয়ে দিতে হয়, তবে একেকটা বই হয়ে যাবে। তারপরও যেহেতু কিছু লোক বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেছে, তাই এ লেখাটা তাদের জন্য।
    সবর্প্রথম বলে রাখি, নাটকটির পরিচালনায় ছিলো আশফাক নিপুন নামক এক ব্যক্তি। আমি যেহেতু নাটক-ফাটক দেখি না, তাই ওদেরকে চেনার টাইম নাই। তবে এতটুকু বুঝতে পেরেছি ঐ ছেলেটা সম্ভবত মোস্তফা সারোয়ার ফারুকীর চেলা টাইপের কিছু। বিষয়টি আমার চোখে লেগেছে, কারণ `ছেলেটি কিন্তু ভালো ছিলো‘ নাটকে যে মেসেজটা থ্রো করা হয়েছে, তা বহুদিন ধরে ফারুকী নিজেই প্রচার করছিলো।
    এ সম্পকের্ ফারুকীর ছবিয়াল থেকে ২ বছর আগে একটা এ্যাড বের হয়েছিলো। এ্যাড এর ক্যাপশনে বলা ছিলো- `বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছলে একটা মেয়ের দরকার স্রেফ একটা ভালো স্যানিটারি ন্যাপকিন, স্বামী না।‘ ( বিজ্ঞাপনটা দেখতে- https://www.facebook.com/Chabial/videos/592968924139732/)
    ফারুকীর ঐ বিজ্ঞাপন দেখে আমি মন্তব্য করেছিলাম- ``আচ্ছা স্যানিটারী ন্যাপকিন কি ডিলডো হিসেবে কাজ করে ? নয়ত স্বামীর বিকল্প কিভাবে স্যানিটারী ন্যাপকিন হয় ??
    ফারুকীর সেই মেসেজটা কিন্তু আজ ২ বছর পর দিলো তার চেলা আশফাক নিপুন। অর্থাত – বিয়ের বিকল্প ফুটবল খেলা।
    আপনাদের মনে থাকার কথা, কিছুদিন আগে ট্র্যাম্পের বউ মেলানিয়া ট্র্যাম্প বাংলাদেশী একটা মেয়েকে পুরস্কার দিয়েছিলো, মেয়েটির নাম ছিলো শারমিন আক্তার। ঝালকাঠির সেই মেয়েটির গুন (!) ছিলো- সে তার নিজের বিয়ে (কথিত বাল্যবিয়ে) ঠেকিয়ে দিয়েছিলো এবং নিজ মাকে জেলে ভরেছিলো। (http://bit.ly/2tV3dr6)
    কথা হলো- যে মেলানিয়ার জামাই, মানে ট্র্যাম্প সারা দিন মুসলমানকে মারার জন্য প্রকাশ্যে হুমকি ধামকি দেয়,
    যেই মেলানিয়া কিশোরী বয়সে প্লেবয় ম্যাগাজিনে নগ্ন ছবি দিয়ে টাকা কামাতো, সেই মেলানিয়া বাংলাদেশী একটা মেয়েকে ডেকে পুরষ্কার দিবে, বাংলাদেশীদের ভালো চেয়ে ??
    আপনি আমাকে সেটা মেনে নিতে বলেন ???
    ‘ছেলেটি কিন্তু ভালো ছিল’ মূল তত্ত্ব হচ্ছে- মেয়েরা যেন দেরীতে বিয়ে করে। এক্ষেত্রে তার সামনে দাড় করিয়ে দেয়া হয় ক্যারিয়ার। বিয়ের পরে ক্যারিয়ার নয়, বিয়ের আগে ক্যারিয়ার। মানে ক্যারিয়ার আর বিয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব ঘটিয়ে দেয়া। এতে মেয়েটি দেরিতে বিয়ে করবে, আর যত দেরিতে বিয়ে করবে মেয়েটির সন্তান তত কম হবে। ফলে বাংলাদেশের জন সংখ্যা তত কম হবে। আসলে পপুলেশন কন্ট্রোল সিআইএ‘র নতুন কোন প্রজেক্ট না, অনেক আগের প্রজেক্ট। ১৯৭৪ সালের ২৯শে অক্টোবর তারিখে আমেরিকার তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব হেনরি কিসিঞ্জার ২দিনের রাষ্ট্রিয় সফরে বাংলাদেশে এসেছিলো। সে সময় বঙ্গবন্ধুর সাথে আলাপকালে কিসিঞ্জার একটা কথা বার বার বলছিলো- বাংলাদেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
    এ বিষয়ে যদি আরো বুঝতে চান,তবে আপনাদেরকে মার্কিন পলিসি NSSM200 সম্পর্কে বুঝতে হবে। NSSM200 অর্থ National Security Study Memorandum 200। এ পলিসিটি ১৯৭৪ সালে হেনরী কিসিঞ্জারের দিক নির্দেশনায় তৈরী করেছিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল বা (NSC)। এ পলিসি অনুসারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে বিভিন্ন দেশের জনসংখ্যা হ্রাসের জন্য কাজ করবে। এ পলিসিতে ১৩টি রাষ্ট্রের জনসংখ্যাকে আমেরিকা হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে, এরমধ্যে ১টি হচ্ছে বাংলাদেশ। এ পলিসিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক স্বার্থের কথা বলা হয়েছে, তবে অন্যতম স্বার্থ হচ্ছে ঐ দেশের খনিজ সম্পদের নিয়ন্ত্রণ নেয়া। অর্থাত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনসংখ্যা কমাতে এমনি এমনি কাজ করছে না, নিজ স্বার্থ ও মুসলমানদের চেপে রাখার কৌশল হিসেবেই করছে।
    (এ সম্পর্কে জানতে- https://en.wikipedia.org/…/National_Security_Study_Memorand…)
    তাই খুব স্বাভাবিকভাবে বলা যায়, মোস্তাফা সারোয়ার ফারুকী ও তার চেলাপেলারা এ সব নাটক বা বিজ্ঞাপন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ পলিসি বাস্তবায়ন করতেই করছে, এবং এক্ষেত্রে তারা যে মার্কিন ফান্ডিং পাচ্ছে সেটাও নিশ্চিত ভাবে বলা যায়। (চলবে)


    ---------------------------------------------------
    --আমার ফেসবুক পেইজ Noyon Chatterjee 5
    (https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
    --পেইজ কোড- 249163178818686 ।

    --আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728