হিন্দুদের অবৈধ স্থাপনার জন্য ৯ বছর আটকে আছে নরসিংদী শহররক্ষা বাঁধ
নরসিংদীর শহর রক্ষা বাঁধ, অতিব প্রয়োজনীয় একটি স্থাপনা। মেঘনা নদীর ভয়ঙ্কর ভাঙ্গন থেকে শহর রক্ষায় এর বিকল্প নাই। কিন্তু সেটা ৯ বছর যাবত আটকে রেখেছে সেখানকার হিন্দু বাউল গোষ্ঠী। সর্বশেষ ভারতীয় হাইকমিশন থেকে কর্মকর্তা এনে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করছে তারা।
জানা যায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০০৮ সাল থেকে প্রায় সাড়ে ২২ কোটি টাকার এ প্রকল্পটি নির্মাণের চেষ্টা করছে। কিন্তু বাধ সেধেছে সেখানকার হিন্দু বাউলগোষ্ঠী। তাদের দাবি সেই যায়গায় তারা বহুদিন যাবত আখড়া বানিয়ে থাকে এবং মেলা করে। সেখানে তাদের উপর্জানের অনেক মাধ্যম আছে। বাধ নির্মাণ হলে সেগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। তাই মিথ্যা মামলা দিয়ে, ভুয়া রিপোর্ট করে, স্থানীয় জনগনকে হয়রানি করে তারা সেখানে বাধা দিচ্ছে। এক্ষেত্রে তারা সাহায্য পেয়েছে- হাইকোর্টের বিচারপতি গোবিন্দ্র চন্দ্র ঠাকুরের বেঞ্চ থেকে, ভারতীয় হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি রমাকান্ত গুপ্তার থেকে এবং ঢাকেশ্বরী মন্দিরের সাবেক পুরোহিত সুজিত চক্রবর্তীর থেকে। গত ১৮ জুন বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট আবেদন রিসিভ করে বাধ নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেয় এবং গত ২৯শে জুন ভারতীয় হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি রমাকান্ত গুপ্তার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল (সাথে ছিলো ঢাকেশ্বরী মন্দিরের সাবেক পুরোহিত সুজিত চক্রবর্তী) নরসিংদীর বাউল আখড়া পরিবর্দন করে সেটা রক্ষায় শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ দাবি করে।
(বিস্তারিত জানতে হিন্দুত্ববাদীদের বিভিন্ন নিউজ পোর্টালগুলো দেখতে পারেন- http://bit.ly/2sKsAIR,http://bit.ly/2u8BovN, http://bit.ly/2u8rAC0,http://bit.ly/2tITQJ2)
উল্লেখ্য গত কয়েকদিন ধরে কামরাঙ্গীরচরের একটি খবর আসছে। নদীর সীমানা পিলারের অবস্থান পরিবর্তন হওয়ায় ২টি মসজিদ এবং ডজন খানেক বাড়ি ভাঙ্গার চেষ্টা করছে প্রশাসন। যদিও প্রত্যেকের বৈধ কাগজ আছে এবং হাইকোর্ট থেকে নিষেধাজ্ঞাও আছে। কিন্তু প্রশাসনের লোকজন জোর করে তা ভাঙ্গার চেষ্টা করছে। গতকালকে আমি ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম- রাজধানীর কামাল সরণী রাস্তা মোটা করতে ৫টা মসজিদ ও ১টি মাদ্রাসাকে সংকুচিত করে ফেলেছে সড়ক বিভাগ, অথচ একই রাস্তায় ‘নাজারেথ নভিসিয়েট ও এসএল লুইজেন সিস্টারস নামক একটি গির্জা ভাঙ্গতে পারেনি। কিছুদিন আগে খবর এসেছিলো- রাস্তার জন্য ফেনীর মহিপাল মসজিদ, রংপুরের শাহী মসজিদ, রাজধানীর মাটিকাটায় বায়তুন নূর জামে মসজিদ ভাঙ্গা হয়। প্রত্যেকটি মসজিদ ওয়াকফকৃত, কিন্তু তারপরেও প্রশাসন তা মানতে নারাজ। কিছুদিন আগে চট্টগ্রামের পটিয়ায় একটি রাস্তা নির্মাণকালে ৪০টি হিন্দু পরিবারের বাসা ও ১টি মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। এরপর হিন্দু নেতারা সড়কমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সাথে দেখা করে। সে আশ্বাস দেয় রাস্তা বাইপাস করে হিন্দুদের বাড়িঘর ও মন্দির রক্ষা করা হবে।
(http://bit.ly/2tIzfV7)
উল্লেখ রাজধানীর হাতিরঝিল সংযোগ সড়ক করতে গিয়ে শুধু সৌন্দর্য বর্ধণের নামে দুইটি মসজিদ ও ১টি মাদ্রাসা, নাম মধুবাগ ঝিলপাড় অংশে সৈয়দ আবদুল কাদের জিলানি জামে মসজিদ ও মাদরাসা এবং লেকের মোড়লবাড়ি অংশে মসজিদে বাইতুল মাহফুজ (মসজিদ মাদ্রাসা ভাঙ্গার খবর-http://
পোস্ট শুরু করেছিলাম, নরসিংদীর শহর রক্ষার বাঁধ দিয়ে। শহররক্ষার বাঁধের কত গুরুত্ব সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। অনেকে আছে যারা মানবতার দোহাই দিয়ে মসজিদ-মাদ্রাসা ভেঙ্গে ফেলার পক্ষে মত দেয়। কিন্তু আজকে তাদের কাছেই শহর রক্ষার বাধের থেকে বাউল আখড়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে । প্রথম আলো বা কালেরকন্ঠ তাদের পক্ষেই নিউজ করেছে, বাধের বিরুদ্ধে নিউজ করেছে (http://bit.ly/2u3z2P5,http://bit.ly/2t8P9GK)।
সত্যিই এদের মানবিক চেতনার সাম্প্রদায়িক অবস্থান দেখলে আমি হতবাক হয়ে যাই।
মুসলমানদের স্থাপনা হলে ভাঙ্গা যাবে, কিন্তু হিন্দু বা অন্যধর্মের স্থাপনা হলে ভাঙ্গা যাবে না, এটা যেন বাংলাদেশে এখন অঘোষিত আইন।
---------------------------------------------------
--আমার ফেসবুক পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/
No comments