পাবনার ডিসি উগ্রহিন্দু রেখা রানী বালো পূজার সময় গরু জবাই বন্ধ রাখতো

পাবনা জেলার ডিসি রেখা রানী বালোকে তার কার্যালয়ে দেখতে না যাওয়ায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মঞ্জুরা রহমানকে ওএসডি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ডা. মঞ্জুরা রহমানের ওএসডি আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন পাবনা জেলার চিকিৎসকরা।
(http://bit.ly/2yHPhD1)

রেখা রানী বালো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাই, মোসাদ কানেকটেড সুকৃতি মণ্ডলের পোর্টাল এই বেলা ডট কমের একটা নিউজে। সেখানে রেখা রানী বালোকে নিয়ে বিরাট করে খবর ছাপে তারা। যার শিরোনাম- “পাবনার ডিসি ‘রেখা রাণী বালোহিন্দু নারীদের অহংকার” (http://bit.ly/2z18MI7)

রেখা রানী বালো সম্পর্কে আমি আগেও ৩টি স্ট্যাটাস দিয়েছি-
এর মধ্যে দুটি ছিলো রেখা রানী বালো ক্ষমতায় এসেই ঘোষণা দেয় ১৬টি মুসলিম পরিবারকে উচ্ছেদ করা হবে এবং পরবর্তীতে সে তা বাস্তবায়নও করে। তার দাবি- ঐ মুসলিম পরিবারগুলো নাকি প্রমথ চৌধুরীর পৈতৃক ভিটা দখল করে রেখেছে।
আমার স্ট্যাটাসে আমি বলেছিলাম- প্রমথ চৌধুরীর বাবা ছিলো এ অঞ্চলের কুখ্যাত জমিদার। সে এ অঞ্চলের মানুষের উপর এত নির্যাতন করেছিলো, ব্রিটিশ আমলের বিখ্যাত কৃষক বিদ্রোহ পাবনা অঞ্চল থেকেই সূচিত হয়েছিলো। প্রমথ চৌধুরীর পরপুরুষ বহু আগেই ভারতের চলে গেছে, কেউ আর অবশিষ্ট নেই। এ অবস্থায় কেন সেই কুখ্যাত জমিদারের নাম দিয়ে ১৬টি মুসলিম পরিবারকে ভিটেমাটি ছাড়া করা হবে ? ডিসি হওয়া মাত্রই (২০১৬ এর সেপ্টেম্বরে) রেখা রানী বালো ঘোষণা দিয়েছিলো কাজটি সে করবে (এ সম্পর্কে আমার স্ট্যাটাস- http://bit.ly/2yHK6mA)। ২০১৭ এর এপ্রিলে এসে পরিবারগুলোকে উচ্ছেদ করে। (এ সম্পর্কে আমার স্ট্যাটাস- http://bit.ly/2yATRnd )

রেখা রানী বালো সম্পর্কে আরেকটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। সেখানে বলেছিলাম রেখা রানী বালো ক্ষমতায় আসার পর দূর্গা পূজার সময় পাবনায় (বিশেষ করে ঈশ্বরদীতে) প্রশাসনের নির্দেশেই গরুর মাংশের দোকানগুলো বাধ্যতামূলক বন্ধ রাখা হচ্ছে। পূজা চলার সময় ৮ দিন সেখানে গরু জবাইও নিষিদ্ধ হয়। (এ সম্পর্কে আমার স্ট্যাটাস- http://bit.ly/2yJtRG2, নিউজলিঙ্ক-http://archive.is/dzopg )

রেখা রানী বালোকে দেখতে না যাওয়ায় ওএসডি হয়েছে ডাক্তার। এটা আমার কাছে খুব স্বাভাবিক মনে হয়েছে। কারণ কিছুদিন আগে সাংবাদিক আনিস আলমগীর এক স্ট্যাটাসে বলেছিলেন- তিনি এক হিন্দু নার্স চিনেন, যে ঢাকায় এক ডাক্তারের বাসা দখল করে রেখেছে। ঐ হিন্দু নার্সকে বাসা ছাড়তে বললেই সে হুমকি দেয়- ভারতীয় হাই কমিশনে বিচার দেবো। কে চায় কে কোন ফাঁদে পড়ে চাকরি হারাতে। অথচ ঐ নার্স সাজা পেলে তা হবে হিন্দু বঞ্চনা। (http://bit.ly/2zEagoR)
এক হিন্দু নার্সের যদি এত ক্ষমতা হয়, তবে এক হিন্দু ডিসির কত ক্ষমতা থাকতে পারে ? আবার যেই রেখা রানী বালো কি না নিজ ফেসবুক এ্যাকাউন্টে ভারতের ছবি দিয়ে রেখেছে । তার একটা ভারতীয় চ্যানেল আছে এটা বোঝাতে হবে না ? (https://www.facebook.com/rekha.balo,http://archive.is/fw12V)

এই রেখা রানী বালো যে হিন্দু উগ্রবাদীদের নেটওয়ার্কে চলে সেটা আমার কাছে আরো স্পষ্ট হয়েছে সুপ্রীম কোর্টে একটি মামলায় তার নিয়োগকৃত উকিলের নাম দেখে (রেখা রানী বালো আদালত অবমানান করে- http://bit.ly/2xZndfx) । এত এত উকিল থাকতে রেখা রানী বালো উকিল হিসেবে পছন্দ করেছে অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীকে। যে সুব্রত চৌধুরী রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম পরিবর্তন করতে কাজ করেছে (http://bit.ly/1RkFkuP), যে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য। সম্প্রতি দেশের বাইরে যাওয়ার আগে বিচারপতি এসকে সিনহা ঢাকেশ্বর মন্দিরের ভেতরে যে গোপন বৈঠক করে, সেখানে রানা দাশগুপ্তের সাথে ছিলো এই সুব্রত চৌধুরী। (http://bit.ly/2z247Sf)

তবে মজা লাগে যখন দেখি-
কোন হিন্দু শিক্ষিকা ক্লাসে দায়িত্বহীনতায় ক্লাসে ঘুমালে দোষ হয় না, বরং সেটা প্রকাশ করলে দোষ হয়।
আর কোন মুসলিম ডাক্তার অতিরিক্ত দায়িত্বশীলতা দেখিয়ে হাসপাতাল ফেলে হিন্দু ডিসি’র বাংলোয় না গেলে উল্টো দোষ হয়ে ওএসডি করা হয়।
সত্যিই এক অদ্ভূত হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র কায়েম হতে চলেছে বাংলাদেশে।

------------------------------------------------------------------

--আমার ফেসবুক মূল পেইজ Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।

--আমার ফেসবুক ব্যাকআপ পেইজ-  Noyon Chatterjee 6

(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)