Header Ads

ad728
  • Breaking News

    গোল্ডেন ট্রায়াংগল ও মায়ানমারের সাথে আওয়ামী সরকারের বন্ধুত্ব


    বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক সম্প্রতি বলেছেন, মায়ানমারে যে এরকম কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে তা অনেক আগেই অনুধাবন করতে পেরেছিলো তারা। এজন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে গত জানুয়ারী মাসেই একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছিলো। কিন্তু শেখ হাসিনা সেই প্রতিবেদনে উল্লেখিত অ্যাগ্রেসিভ ব্যবস্থাগুলো বাদ দিতে বলে। শেখ হাসিনার কথা হলো- মায়ানমারের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে, শত্রুতা করা যাবে না।” সরকারের সেই বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবস্থার ফলাফল হচ্ছে আজকে রোহিঙ্গা সঙ্গট, যা ৯ মাস আগে জেনেও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় ব্যর্থ হয়েছে সরকার।
    (http://bit.ly/2yqR6En)

    সরকার যে মায়ানমারের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে মরিয়া তো আরো স্পষ্ট হয়, রোহিঙ্গা গণহত্যা চলার সময় বাংলাদেশের মন্ত্রীর মায়ানমারে অপ্রয়োজনীয় আতপ চাল কিনতে যাওয়া।

    এখন কথা হলো,
    বাংলাদেশের আওয়ামী সরকার কেন, মায়ানমারের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখতে আগ্রহী ? যে মায়ানমার বাংলাদেশকে এত এত কষ্ট দিচ্ছে, তারপরও কেন বাংলাদেশ চুপ, এটা কি শুধুই কৌশল , নাকি আরো গোপন কোন কারণ আছে ?

    উল্লেখ্য দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এ অংশটিতে ‘গোল্ডেন ট্রায়াংগ ‘ নামক একটি ভূমি আছে,যা তিনটি দেশের (মায়ানমার, থাইল্যান্ড ও লাউস) মর্ধবর্তী অঞ্চলে পড়েছে। গোল্ডেন ট্রায়াংগল হচ্ছে মাদকের স্বর্গ, যেখানে প্রচুর পরিমাণে মাদক দ্রব্য চাষ করা হয়। এসব মাদক থেকে তৈরী হয় ইয়াবাসহ অন্যান্য প্রডাক্ট। (http://bit.ly/2gfduGC)

    উল্লেখ্য, ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ পত্রিকার ২৬শে মে, ২০১৬ তারিখের রিপোর্ট অনুযায়ী-
    বাংলাদেশে ইয়াবা সেবীর সংখ্যা ৩০ লক্ষ
    যারা দৈনিক ইয়াবার পেছনে খরচ করে ১৩৫ কোটি টাকা
    অর্থাৎ বাৎসরিক খরচ করে ৪৯ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা।
    (http://bit.ly/2gwBNmr)

    আবার
    মিয়ারনমারে প্রতিটি ইয়াবা ট্যাবলেট বাংলাদেশি টাকায় পাওয়া যায় ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। সীমান্ত পার হলেও দাম বাড়ছে দ্বিগুণ। চট্টগ্রামে দাম হয় ১২০ থেকে ১৬০। ঢাকায় পৌঁছাতে পারলেই প্রতিটি ইয়াবা ট্যাবলেটের দাম হয়ে যাচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। (http://bit.ly/2hM74iv)
    অর্থ্যাৎ ইয়াবা ব্যবসার কারণে মায়ানমার যদি ১ টাকা পায়, তবে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা পায় ১০ টাকা, মানে লাভ প্রায় ১০ গুন। অর্থাৎ ইয়াবা ব্যবসার কারণে ভুলে ফেপে কলা গাছ হচ্ছে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা।

    আমরা সবাই জানি, আওয়ামী সরকারের এমপি বদি, এই ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত, এটা প্রশাসনও স্বীকার করে। উল্লেখ্য ২০১৬ সালে বদি জেলে যায়, কিন্তু মাত্র ১৮ দিনের মাথায় সে জেল থেকে বের হয়ে আসে। যতদূর আমার কাছে তথ্য আসে, সে সময় বদি দেশনেত্রীর কাছে মাত্র ১১০০ কোটি টাকা উপঢৌকন পাঠিয়েছিলো, যার দরুণ তাকে মুক্তি দেয়া হয়।

    বাংলা নিউজের রিপোর্ট মতে, বদি ছাড়াও আরেকটি সিন্ডিকেট ইয়াবা’র সাথে জড়িত। কিন্তু ঐ মহলটি এতটাই প্রভাবশালী যে প্রশাসন তা কখনই মুখে উচ্চারণ করে না।
    http://bit.ly/2wWRgDj, আর্কাইভ-http://archive.is/MNXEw))

    এটা স্পষ্ট,
    মায়ানামরের গোল্ডেন ট্রায়াংগল বা মাদক ব্যবসার সাথে বাংলাদেশের আওয়ামী সরকার ওতপ্রোতভাবে জড়িত, যেখানে তাদের ইনকামও প্রচুর। এ কারণে সম্ভবত সরকার চায় না- মায়ানমারের সাথে তাদের সম্পর্ক খারাপ হোক। কারণ রোহিঙ্গাদের কারণে তাদের যদি বার্ষিক ১০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়, কিন্তু মায়ানমারে দেয়া ইয়াবা ব্যবসা করে দৈনিক তার থেকে বেশি লাভবান হয়।

    কিন্তু কষ্টদায়ক হচ্ছে,
    এসব কালো টাকার লোভে দেশের ক্ষমতাবানরা হয়ত অনেক ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যা ভুক্তভোগী হচ্ছে সারধণ জনগণ, টানাটানি লাগছে দেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্বের।



    ------------------------------------------------------------------

    --আমার ফেসবুক মূল পেইজ Noyon chatterjee 5
    (https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
    --পেইজ কোড- 249163178818686 ।

    --আমার ফেসবুক ব্যাকআপ পেইজ-  Noyon Chatterjee 6
    (https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728