ঢাকা শহরের রাস্তাঘাটে হঠাৎ করে কিছু অদ্ভূত আর্ট দেখা যাচ্ছে। সেই আর্টের নাম নাকি ‘সুবোধ তুই পালিয়ে যা’।
দৈনিক যুগান্তরের খবর-
‘সুবোধ তুই পালিয়ে যা, তোর ভাগ্যে কিছু নেই, সুবোধ তুই পালিয়ে যা- এখন সময় পক্ষে না, সুবোধ তুই পালিয়ে যা ভুলেও ফিরে আসিস না! সুবোধ, কবে হবে ভোর?...’। এ রকম রহস্যজনক কিছু বক্তব্য তুলে ধরে রাজধানীর আগারগাঁও, মহাখালী ও পুরাতন বিমানবন্দরের দেয়ালে দেয়ালে ‘সুবোধ’ সিরিজের বেশকিছু গ্রাফিতি আঁকা হয়েছে। তবে কারা কী উদ্দেশ্যে এই প্রচারণা চালাচ্ছেন সেটা এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তাই ‘সুবোধ বালক’ রূপকারদের খোঁজে মাঠে নেমেছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কিছুদিন থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে দেয়ালে দেয়ালে এ ধরনের গ্রাফিতি চিত্র আঁকা হয়েছে। ধাপে ধাপে লেখাগুলো পর্যালোচনা করলে মনে হবে অন্ধকার থেকে আলোর পথে বা আলোর সন্ধানে ‘সুবোধ’ চরিত্রের একজন ছুটছেন। আবার প্রতীকী অর্থে ব্যবহার করা এ সুবোধ কোনো একজন ব্যক্তি নন। এটি সমাজ, রাষ্ট্র কিংবা জনগণকে ইঙ্গিত করে বৃহত্তর অর্থে বোঝানো হয়েছে। বলার চেষ্টা করা হয়েছে, সুবোধ চরিত্রটি খুব কষ্টে আছে। সেখান থেকে মুক্তি পেতে সে প্রহর গুনছে। সময় পক্ষে নেই বলে একবার তাকে পালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরের আঁকা গ্রাফিতি-তে বলা হয়েছে, ‘সুবোধ কবে হবে ভোর? সুবোধ চরিত্রের বিক্ষুব্ধ ব্যক্তির হাতে আছে আছে খাঁচাবন্দি সূর্য। তার পাশে আছে একটি শিশু। যাকে সে বলছে- কবে হবে ভোর?। সবশেষে আঁকা গ্রাফিতিতে কোনো মন্তব্য নেই। তবে সেখানে দেখানো হয়েছে, খাঁচাবন্দি সূর্য বেরিয়ে আসার অপেক্ষায়। তার সামনে ভোরের আগমনী হিসেবে মোরগ ডাকার অঙ্গভঙ্গির প্রতীকী চিত্র দেখানো হয়েছে।
এই গ্রাফিতির বিশ্লেষণ করতে গিয়ে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কিছুটা নড়েচড়ে বসেছেন। সূত্রমতে গোয়েন্দাদের ধারণা, এসব গ্রাফিতি আর যাই কিছু হোক এর যারা রূপকার তাদের নিশ্চয় কোনো না কোনো উদ্দেশ্য আছে। সে উদ্দেশ্য জানতে গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা সংস্থার চৌকস টিম মাঠে কাজ করছে। তাদের প্রধান লক্ষ্য এর রূপকার খুঁজে বের করা। তারা মনে করছেন, সরকারের বিরুদ্ধে একটি বিশেষ চক্র এমন গ্রাফিতির জন্ম দিয়েছে। তার রহস্য দ্রুত বের করতে না পারলে সচেতন মহলে এক ধরনের ভীতি ও আতঙ্ক বাড়তে পারে। (http://bit.ly/2xHEDgM)
আমার মতে, ‘সুবোধ তুই পালিয়ে যা’ এই তত্ত্বটির সম্ভব্য উৎসটা হচ্ছে হিন্দুজনগোষ্ঠী। ২০০১ সালে কথিত হিন্দু নির্যাতন নিয়ে একটি কবিতা লিখেছিলো শামসুর রহমান, যার শিরোনাম ছিলো “সুধাংশু যাবে না”। পরবর্তীতে সেই কবিতার প্যারোডি করে আরেকটি কবিতা লিখেছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করা আলমগীর হুসেন। তার কবিতার শিরোনাম ছিলো “সুধাংশু তুই পালা”।
(http://bit.ly/2zakXy8)
আমার দৃষ্টিতে সুবোধ আর সুধাংশু একই জিনিসের প্রতিনিধিত্ব করে, হিন্দু জনগোষ্ঠীর। এবং আমি নিশ্চিত এই ঘটনাটি পুরো হিন্দু কমিউনিটিকে উত্তপ্ত করতেই প্ল্যান মাফিক করা হয়েছে। হিন্দু কমিউনিটি থেকে আসা প্রধান বিচারপতির দেশত্যাগকে কেন্দ্র করে যেভাবে হিন্দু জনগোষ্ঠীকে উত্তপ্ত করছে ভারতের বিজেপি নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া জি-নিউজ। ঘটনা একই।
আপনাদের জানার জন্য বলছি,
কিছুক্ষণ আগে মোসাদ এজেন্ট এবং হিন্দু স্ট্রাগল কমিটির প্রধান খুলনার ছেলে শিপান কুমার বসু এক স্ট্যাটাসে শেখ হাসিনাকে থ্রেট দিয়েছে। বিচারপতির দেশত্যাগের কারণে সে ক্ষুব্ধ হয়েছে এবং শেখ হাসিনাকে সর্বোচ্চ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেধে দিয়ে বলেছে-
“প্রধানমন্ত্রী, আপনার দিন হয়ত ফুরালো। সময় হলো ইতিহাসের আস্তা কুড়ে নিক্ষিপ্ত হবার। কথায় আছে, পাপ বাপকেও ছাড়েনা। আপনার পাপের কলশি ভরে গেছে সেটা বোধহয় আপনি অনুধাবনও করতে পারছেন না!....... আপনার ও আপনার দলীয় নেতাদের প্রত্যক্ষ মদদে প্রতিদিন শত শত সংখ্যালঘু পরিবার প্রাণ নিয়ে পালিয়ে বাচার চেষ্টা করছে। আপনি কি মনেকরেন এর জন্য আপনাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে না! অবশ্যই আপনার প্রতিটি অন্যায়ের শাস্তি পেতে হবে, কোন ক্ষমা নাই।
পরিশেষে বলতে চাই, আপনার সময় শেষ। খুব বেশীহলে নভেম্বর ২০১৭, গেম ওভার! GET READY TO GET PUNISHED.
শিপন কুমার বসু, প্রেসিডেন্ট হিন্দু স্ট্রাগল কমিটি “ (http://bit.ly/2xGb8fb)
আমার খুব সম্ভবত ধারণা হচ্ছে-
বাংলাদেশের সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু একটি দাঙ্গা বাধানোর চেষ্ঠা চলছে।
এবং সেই দাঙ্গায় সংখ্যাগুরুদের উপর সশস্ত্র হামলার করার জন্য সংখ্যালঘুদের উপর নির্দেশ আছে। দাঙ্গা লাগলে অবশ্যই সংখ্যালঘুরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কিন্তু তারা আক্রমনাত্মক ভূমিকায় থাকলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হবে। এতে সরকার পতনের পাশাপাশি হিন্দুদের পৃথক অবস্থানের কথাটা আরো শক্তিশালী হবে।
বাংলাদেশের গোয়েন্দা বাহিনী যদি আমার কাছে বুদ্ধি চায়, তবে আমি বলবো- খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন, সময় বেশি নাই। তাদের পুরো আন্দোলনটা নষ্ট করতে –
১) প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা বাহিনী ও বিচারবিভাগ থেকে সমস্ত হিন্দুদের ছাটাই করে দিন। এটা সবচেয়ে বেশি জরুরী। কারণ তাদের হাতে ক্ষমতা আছে।
২) হিন্দুদের নেতাদের গ্রেফতার করে জেলে ভরে রাখুন।
৩) হিন্দু সংগঠনগুলোর উপর ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ান।
৪) সম্ভবত হিন্দু এলাকাগুলোতে তারা গোপনে অস্ত্র মজুদ করেছে। সেখান রেইড দিন।
৫) মুসলিম জনগণ হিন্দুদের সম্পর্কে সচেতন হয়ে যান। তাদের যতদূর সম্ভব কাছে ভিড়তে দিবেন না। কারণ দাঙ্গা বাধলে আপনার কাছে থাকা হিন্দুটির দ্বারা আপনি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
খুব সহজ ভাষায় বলবো- বাংলাদেশের হিন্দু কমিউনিটি সম্ভবত ইসরাইল-মার্কিন লবি’র সাথে যুক্ত হয়েছে। তাদের সামনের লক্ষও স্পষ্ট। আমার কথা যারা বোঝার তারা ঠিকই বুঝবে।
------------------------------------------------------------------
--আমার ফেসবুক মূল পেইজ Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
No comments