বাংলাদেশের ভিটায় ঘুঘু চড়াতে আসছে পোপ !
পোপ বাংলাদেশে আসার ঘোষণা দিয়েছিলো ২৭শে আগস্ট (http://bit.ly/2vkQCzt)। রোহিঙ্গা গণহত্যা শুরুর দিন (যখন অনেকেই কিছুই জানে না) সে মায়ানমার ও বাংলাদেশে আসার ঘোষণা দেয়। মিডিয়ায়ও প্রচার করা হয়, রোহিঙ্গাদের জন্যই আসছে পোপ। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য পোপের শিডিউল প্রকাশিত পর দেখা যাচ্ছে, সেখানে রোহিঙ্গা, রোহিঙ্গা ক্যাম্প বা সে সংক্রান্ত কোন কার্যক্রমই নেই। তারা পুরো শিডিউলই খ্রিস্ট মতবাদ বিস্তারের উদ্দেশ্যে।
পোপ বাংলাদেশে কেন আসছে, এ সম্পর্কে পোপ নিজেই একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছে (http://bit.ly/2jvs91x)। পোপের বক্তব্য হুবুহু- “আমি আসছি যীশু খ্রিস্টের মঙ্গলসমাচারের সেবক হিসেবে; এই মঙ্গলসমাচারের পুনর্মিলন, ক্ষমা এবং শান্তির বার্তা ঘোষণা করতে। আমার সফর বাংলাদেশ কাথলিক সম্প্রদায়ের জন্য এর ঐশ-উপাসনা ও মঙ্গলবাণীর সাক্ষ্য বহনের স্বীকৃতি যা শিক্ষা দেয় প্রত্যেক নর-নারীর মর্যাদা এবং অন্যদের জন্য, বিশেষত: দরিদ্র ও অভাবগ্রস্তদের জন্য আমাদের হৃদয়কে উন্মক্ত করার নির্দেশ দেয় “ (http://bit.ly/2jvs91x)
বাংলাট্রিবিউনে পোপের শিডিউল নিয়ে প্রকাশিত (http://bit.ly/2zxWh3s) খবরও বলছে-“ক্যাথলিক চার্চের প্রধান ধর্মগুরু ও সর্বপ্রধান ধর্মপাল হিসেবে তার সফর হবে ধর্মীয় গুরুত্বকে প্রাধান্য দিয়ে।”
শিডিউল বলছে-
৩০ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার : রাষ্ট্রপ্রধান ও কূটনীতিকদের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ।
১ ডিসেম্বর, শুক্রবার : সোহওয়ার্দী উদ্যানে খ্রিস্টধর্মীয় উপাসনা ও যাজকদের নিয়োগ অনুষ্ঠান, ঢাকায় ভ্যাটিকান দূতাবাস গমন, ক্যাথিড্রাল পরির্দশন, প্রবীণ যাজক ভবনে বাংলাদেশের বিশপদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক, কাকরাইলের আর্চ বিপশ হাউজে সমাবেশ।
২ ডিসেম্বর, শনিবার : তেজগাঁও মাদার তেরেজা ভবন পরির্দশন, তেজগাঁও গির্জায় যাজক, ব্রাদার-সিস্টার, সেমিনারিয়ান ও নবিশদের সমাবেশে বক্তব্য, তেজগাঁও কবরস্থান ও পুরনো গির্জা পরিদর্শন, রাজধানীর নটরডেম কলেজে যুব সমাবেশে বক্তব্য।
পোপের সফর সম্পর্কে বাংলাদেশ ক্যাথলিক বিশপ সম্মিলনির প্রেসিডেন্ট কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি. রোজারিও বলে, ‘পোপের এ সফর অনেক আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল। তখন রোহিঙ্গা ইস্যুটি ছিল না। রোহিঙ্গা ইস্যু পরে সৃষ্টি হয়েছে.... প্রথমে একদিনের সফরের পরিকল্পনা করা হয়েছিল (তারমানে রোহিঙ্গা ইস্যুতে পূজি করে ৩ দিন করা হয়েছে)।” (http://bit.ly/2zxWh3s)
আমি অনেক আগে থেকেই আপনাদের সতর্ক করেছি, তিন পাবর্ত্য জেলা, কক্সবাজার ও ফেনী নদী পযর্ন্ত চট্টগ্রাম নিয়ে একটি পৃথক সংখ্যালঘু রাষ্ট্র (বলা হবে নিরাপদ সংখ্যালঘু রাষ্ট্র) গঠনের পরিকল্পনা হচ্ছে। প্রথম অবস্থায় হয়ত শুধু স্বায়ত্বশাসন দাবি করা হবে, পরবর্তীতে গণভোটের মাধ্যমে তা পৃথক করা হবে। এই সংখ্যালঘু জোট তৈরী করতে এতদিন হিন্দুদের সক্রিয় করা হয়েছে ভারতের মাধ্যমে, বৌদ্ধদের সক্রিয় করা হচ্ছে মায়ানমারের মাধ্যমে, আর এবার পোপ এসে সক্রিয় করে যাচ্ছে খ্রিস্টানদের। অনেকে হয়ত বলতে পারেন, “খ্রিস্টানরা কি তবে তাদের ধর্মীয় প্রচার করবে না ?” যারা এ ধরনের প্রশ্ন করবে, তারা হচ্ছে সেই গোষ্ঠী, যারা প্রথম প্রথম উগ্রহিন্দুত্ববাদদের প্রচার দেখে বলেছিলো, “হিন্দুরা কি হিন্দুদের ধর্মের প্রচার করবে না ? তাদের কি ধর্মীয় অধিকার নেই?” কিন্তু এখন উগ্রহিন্দুত্ববাদ ডাল-পালা মেলে উল্টো মুসলমানদের পেচিয়ে ধরেছে। ঠিক একই সিস্টেম তৈরী হচ্ছে খ্রিস্টানদের মধ্যে। অর্থাৎ এতদিন বাংলাদেশে নিরীহ বনে থাকা খ্রিস্টান সম্প্রদায় হঠাৎ করে উগ্র হয়ে উঠবে এই পোপ সফরের মাধ্যমে। আর হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান উগ্র হওয়ার আলটিমেট রেজাল্ট বাংলাদেশ খণ্ডবিখণ্ড হওয়া।
আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, পোপের এ সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশে মিশনারী এনজিওগুলো ব্যাপক সক্রিয় হয়ে উঠবে। বাংলাদেশে মসজিদ-মাদ্রাসা ও ইসলামী প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে, গুটিকয়েক খ্রিস্টানের কার্যক্রম শীর্ষস্থান দখল করবে এবং মুসলমানদের উপর নানান বিধি নিষেধ আসবে। নতজানু আওয়ামী সরকার এতদিন হিন্দুদের সর্বোচ্চ অধিকার দিতে গিয়ে মুসলমানদের উপর নির্যাতন করতো, এখন নতুন করে এই গুটি কয়েক খ্রিস্টানদের মর্যাদা দিতে গিয়ে সংখ্যাগুরু মুসলমানদের উপর স্টিম রোলার চালাবে।
যাই হোক, পোপের বাংলাদেশ সফর উপলক্ষে একটি লোগো প্রকাশ করেছে ভ্যাটিকান (http://bit.ly/2ifLffC)। সে লোগোর মধ্যে রয়েছে একটি ঘুঘু পাখির ছবি। যদিও তাদের দাবি- ঘুঘু পাখি হচ্ছে শান্তির প্রতীক। কিন্তু বাংলাদেশ লোকভাষায় একটা প্রবাদ আছে- “তোমার ভিটায় ঘুঘু চড়িয়ে ছাড়বো”, যার অর্থ “তোমাকে সর্বস্বান্ত করে ছাড়বো”।
পোপ বাংলাদেশে সেই ‘ঘুঘু চড়াতে’ আসছে কি না, সেটাই এখন চিন্তার বিষয়।
========================================
-----------------------------------------------------------------------
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
-----------------------------------------------------------------------
-----------------------------------------------------------------------
বাংলাদেশে আরেকটি পূর্ব তিমুর-দক্ষিণ সুদান তৈরির পরিকল্পনা খ্রিস্টানদের অনেকদিনের। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের একজনকে কার্ডিনাল করা হয়েছে। এখন, রোহিঙ্গা ইস্যু পোপের জন্য শাপে বর হয়ে গেল। তিনি এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সফর করলেন। আই ওয়াশ করার জন্য আগে মিয়ানামার গেলেন। অথচ, যে ইস্যু নিয়ে তার সফর সেই রোহিঙ্গা শব্দটি পর্যন্ত তিনি মুখে নেন নি। একটি বিষয় খেয়াল করেছেন পোপ কোন সময় এসেছেন। আজ সেই ২ ডিসেম্বর যেদিন পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি হয়েছিল। একটা ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি।
ReplyDelete